খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
বগুড়ার নাম শুনলে যেমন দইয়ের কথা মনে হয়, তেমনি মনে হয় কটকটির কথা। শুকনো এই মিষ্টি খাবারটি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার। জানা যায়, উনিশ শতকের দিকে গুড়ের তৈরি এই মিষ্টি খাবারের যাত্রা শুরু হয় স্থানীয়ভাবে।
খেতে কটকট শব্দ হওয়ায় এর নাম কটকটি রাখা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। অবশ্য অনেকে এ ধারণাটিকে বাতিলও করে দেন। জানা যায়, শুরুর দিকে কটকটি বেশ শক্ত ছিল এবং খেতে কটকট শব্দ হতো। সে জন্যই এর নাম কটকটি কি না, সেটা কেউ বলতে পারে না অবশ্য। কিন্তু এখন এ খাবারটি অনেকটাই নরম করে বানানো হয়।
উনিশ শতকের দিকে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী উত্তরপাড়া গ্রামের জয়নাল আলী মণ্ডল, ভোলা মণ্ডল ও গেদা মণ্ডলের হাতে কটকটির জন্ম বলে অনেকে জানান। জীবিকার তাগিদে নিজ বাড়িতে একেবারে সাধারণভাবে গমের আটা দিয়ে কটকটি বানিয়ে মহাস্থান, শিবগঞ্জ, মোকামতলাসহ এলাকার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতেন তাঁরা। কটকটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে এমন গল্পই জানা যায়। ধীরে ধীরে সে সুস্বাদু মিষ্টিজাতীয় খাবারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে মহাস্থানে মাজার জিয়ারত করতে আসা দর্শনার্থীরা তবারক হিসেবে কটকটিকেই প্রাধান্য দেন।
আদিতে এর উপাদান ছিল গমের আটা। ধীরে ধীরে এর উপকরণে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ সুগন্ধি চাল। চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। একেবারে নরম হলে সেই চাল ছেঁকে শুকানোর জন্য রেখে দিতে হবে প্রায় পনেরো মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ঢেঁকি, মেশিন বা অন্য উপায়ে একেবারে মিহি আটায় রূপান্তর করা হয়। এই আটার সঙ্গে বিভিন্ন মসলা ও সয়াবিন তেল ভালোভাবে মিশিয়ে গাঢ় করে খামির করা হয়।
এরপর আকৃতির জন্য ছাঁচ দিয়ে কেটে নিতে হয়। তারপর বড় বড় কড়াইয়ে ভোজ্যতেল, ঘি-ডালডার সংমিশ্রণে ভাজা হয় লাল করে। ভাজা হয়ে গেলে গুড়ের রসে ভাজা কটকটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলেই খাওয়ার উপযোগী হয় স্বাদের কটকটি। এর আকৃতি সাধারণত এক থেকে দেড় বর্গ ইঞ্চি হয়ে থাকে।
মহাস্থান বাজারে কটকটিকে কেন্দ্র করে শতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লাল মিয়া কটকটি হাউস, নাসির কটকটি, হামু মামা কটকটি প্যালেস, আলাউদ্দিন কটকটি ভান্ডার ইত্যাদি।
দরদাম
আকৃতিতে খুব একটা পার্থক্য দেখা না গেলেও স্বাদে একটির সঙ্গে আরেক দোকানের তফাত রয়েছে। অবশ্য উপাদানের ভিন্নতার জন্য যেমন স্বাদে আলাদা, তেমনি দামেও রয়েছে রকমফের। ৮০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কটকটি। ঢাকায় বসেও মহাস্থানগড়ের কটকটি পাওয়া যাবে। দাম পড়বে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। বিভিন্ন এফ কমার্স প্রতিষ্ঠান কটকটি বিক্রি করে থাকে।
বগুড়ার নাম শুনলে যেমন দইয়ের কথা মনে হয়, তেমনি মনে হয় কটকটির কথা। শুকনো এই মিষ্টি খাবারটি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার। জানা যায়, উনিশ শতকের দিকে গুড়ের তৈরি এই মিষ্টি খাবারের যাত্রা শুরু হয় স্থানীয়ভাবে।
খেতে কটকট শব্দ হওয়ায় এর নাম কটকটি রাখা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। অবশ্য অনেকে এ ধারণাটিকে বাতিলও করে দেন। জানা যায়, শুরুর দিকে কটকটি বেশ শক্ত ছিল এবং খেতে কটকট শব্দ হতো। সে জন্যই এর নাম কটকটি কি না, সেটা কেউ বলতে পারে না অবশ্য। কিন্তু এখন এ খাবারটি অনেকটাই নরম করে বানানো হয়।
উনিশ শতকের দিকে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী উত্তরপাড়া গ্রামের জয়নাল আলী মণ্ডল, ভোলা মণ্ডল ও গেদা মণ্ডলের হাতে কটকটির জন্ম বলে অনেকে জানান। জীবিকার তাগিদে নিজ বাড়িতে একেবারে সাধারণভাবে গমের আটা দিয়ে কটকটি বানিয়ে মহাস্থান, শিবগঞ্জ, মোকামতলাসহ এলাকার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতেন তাঁরা। কটকটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে এমন গল্পই জানা যায়। ধীরে ধীরে সে সুস্বাদু মিষ্টিজাতীয় খাবারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে মহাস্থানে মাজার জিয়ারত করতে আসা দর্শনার্থীরা তবারক হিসেবে কটকটিকেই প্রাধান্য দেন।
আদিতে এর উপাদান ছিল গমের আটা। ধীরে ধীরে এর উপকরণে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ সুগন্ধি চাল। চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। একেবারে নরম হলে সেই চাল ছেঁকে শুকানোর জন্য রেখে দিতে হবে প্রায় পনেরো মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ঢেঁকি, মেশিন বা অন্য উপায়ে একেবারে মিহি আটায় রূপান্তর করা হয়। এই আটার সঙ্গে বিভিন্ন মসলা ও সয়াবিন তেল ভালোভাবে মিশিয়ে গাঢ় করে খামির করা হয়।
এরপর আকৃতির জন্য ছাঁচ দিয়ে কেটে নিতে হয়। তারপর বড় বড় কড়াইয়ে ভোজ্যতেল, ঘি-ডালডার সংমিশ্রণে ভাজা হয় লাল করে। ভাজা হয়ে গেলে গুড়ের রসে ভাজা কটকটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলেই খাওয়ার উপযোগী হয় স্বাদের কটকটি। এর আকৃতি সাধারণত এক থেকে দেড় বর্গ ইঞ্চি হয়ে থাকে।
মহাস্থান বাজারে কটকটিকে কেন্দ্র করে শতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লাল মিয়া কটকটি হাউস, নাসির কটকটি, হামু মামা কটকটি প্যালেস, আলাউদ্দিন কটকটি ভান্ডার ইত্যাদি।
দরদাম
আকৃতিতে খুব একটা পার্থক্য দেখা না গেলেও স্বাদে একটির সঙ্গে আরেক দোকানের তফাত রয়েছে। অবশ্য উপাদানের ভিন্নতার জন্য যেমন স্বাদে আলাদা, তেমনি দামেও রয়েছে রকমফের। ৮০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কটকটি। ঢাকায় বসেও মহাস্থানগড়ের কটকটি পাওয়া যাবে। দাম পড়বে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। বিভিন্ন এফ কমার্স প্রতিষ্ঠান কটকটি বিক্রি করে থাকে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে