গাজীউল হক
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা বলতে গেলে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের প্রতিবাদের কথা শুরুতেই বলতে হবে। ঢাকায় সেই সাধারণ ধর্মঘট সফল হয়েছিল। শওকত আলী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদসহ অনেকেই সেদিন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সেই আন্দোলন শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ঢাকার বাইরেও হয়েছিল। অন্যান্য শহরের মতো বগুড়া শহরেও ছাত্ররা মিছিল বের করেন। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বগুড়া কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ব্যাপারটা ছিল এ রকম। কলেজছাত্র গাজীউল হক ছিলেন সেই মিছিলে। মিছিলটি কলেজ থেকে বের হয়ে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো পথ ধরে রিকশায় করে কলেজে যাচ্ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ছাত্ররা অধ্যক্ষকে গিয়ে ধরলেন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রিকশা থেকে নামলেন। মিছিলের সবাই হর্ষধ্বনি দিয়ে উঠলেন এবং করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বললেন, ‘মানে কি যে আঁ, আমাকে কী করতে হবে?’
গাজীউল হক বললেন, ‘স্যার, আপনাকে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে হবে, এটা আমাদের দাবি।’
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হাসলেন। ‘মানে কি যে আঁ, পীরসাহেব, তাহলে তুমি আমার বোঝাটা নাও, আমি তোমার বোঝাটা নিলুম।’
গাজীউল হকের বাবা পীরসাহেব ছিলেন, তাই মাঝে মাঝে ঠাট্টা করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ গাজীউল হককে পীরসাহেব বলে ডাকতেন। আর ‘আঁ’ বলা ছিল তাঁর অভ্যাসগত।
কলেজের অধ্যক্ষ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ায় ছাত্ররা দারুণ রকম উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সেদিন স্কুল ময়দানে যে সভা হয়েছিল, তার সভাপতিও হয়েছিলেন।
সভাপতি হয়েছিলেন গাজীউল হকও। তবে সেটা ১৯৫২ সালে। একুশে ফেব্রুয়ারি আমতলার সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাজীউল হক। সভাপতির ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হবে।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে ১০ জন মিছিল বের হয়েছিল। সৃষ্টি হয়েছিল এক অভূতপূর্ব ইতিহাসের।
সূত্র: গাজীউল হক, একুশের সংকলন ৮০
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা বলতে গেলে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের প্রতিবাদের কথা শুরুতেই বলতে হবে। ঢাকায় সেই সাধারণ ধর্মঘট সফল হয়েছিল। শওকত আলী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদসহ অনেকেই সেদিন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সেই আন্দোলন শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ঢাকার বাইরেও হয়েছিল। অন্যান্য শহরের মতো বগুড়া শহরেও ছাত্ররা মিছিল বের করেন। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বগুড়া কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ব্যাপারটা ছিল এ রকম। কলেজছাত্র গাজীউল হক ছিলেন সেই মিছিলে। মিছিলটি কলেজ থেকে বের হয়ে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো পথ ধরে রিকশায় করে কলেজে যাচ্ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ছাত্ররা অধ্যক্ষকে গিয়ে ধরলেন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রিকশা থেকে নামলেন। মিছিলের সবাই হর্ষধ্বনি দিয়ে উঠলেন এবং করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বললেন, ‘মানে কি যে আঁ, আমাকে কী করতে হবে?’
গাজীউল হক বললেন, ‘স্যার, আপনাকে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে হবে, এটা আমাদের দাবি।’
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হাসলেন। ‘মানে কি যে আঁ, পীরসাহেব, তাহলে তুমি আমার বোঝাটা নাও, আমি তোমার বোঝাটা নিলুম।’
গাজীউল হকের বাবা পীরসাহেব ছিলেন, তাই মাঝে মাঝে ঠাট্টা করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ গাজীউল হককে পীরসাহেব বলে ডাকতেন। আর ‘আঁ’ বলা ছিল তাঁর অভ্যাসগত।
কলেজের অধ্যক্ষ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ায় ছাত্ররা দারুণ রকম উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সেদিন স্কুল ময়দানে যে সভা হয়েছিল, তার সভাপতিও হয়েছিলেন।
সভাপতি হয়েছিলেন গাজীউল হকও। তবে সেটা ১৯৫২ সালে। একুশে ফেব্রুয়ারি আমতলার সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাজীউল হক। সভাপতির ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হবে।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে ১০ জন মিছিল বের হয়েছিল। সৃষ্টি হয়েছিল এক অভূতপূর্ব ইতিহাসের।
সূত্র: গাজীউল হক, একুশের সংকলন ৮০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে