জাহানারা ইমাম
১৯৮৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলেন শহীদজননী জাহানারা ইমাম। মেলা উদযাপন কমিটির কয়েকজন তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে এলেন বেগম মুশতারী শফীর বাড়িতে। ছুটে গিয়ে গেটের কাছে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মুশতারী শফী। জাহানারা ইমাম তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। সেভাবেই থাকলেন অনেকক্ষণ।
সেদিনই প্রেস থেকে এসেছিল মুশতারী শফীর ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ বইটি। তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন, বইটির দুই কপি জাহানারা ইমাম আর সৈয়দ শামসুল হককে দেবেন। কাকতালীয়ভাবে জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আপনি তো লেখেন। আপনার কোনো বই থাকলে দিন।’
মুশতারী শফী বইটি দিলেন। সেই হাত চেপে ধরলেন জাহানারা ইমাম। বললেন, ‘মুশতারী, চট্টগ্রামে এসে আপনার বাড়িতে উঠতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কারণ কি জানেন? মুক্তিযুদ্ধে আপনি আপনার স্বামী আর একমাত্র ভাইকে হারিয়েছেন। আমিও স্বামী আর ছেলেকে হারিয়েছি। আপনিও লেখেন, আমিও লিখি। ব্যক্তিজীবনে আমাদের অনেক মিল। সম্ভবত চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রেও।’
জাহানারা ইমামের কথা শুনে মুশতারী শফীর চোখে পানি চলে এল।
দুপুরে খেতে ডাকতে এসে মুশতারী দেখেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে জাহানারা ইমাম তাঁর বইটি পড়ছেন। তাঁর চোখ জলে ভেজা। চোখ দুটো রুমালে মুছে চশমা চোখে দিয়ে জাহানারা ইমাম তাকিয়ে রইলেন মুশতারী শফীর দিকে।
মুশতারী শফী বললেন, ‘কী দেখছেন অমন করে আপা?’
জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আপনি খুব সুন্দর।’
এমন উত্তরে ভড়কে গেলেন মুশতারী। বললেন, ‘আপনি কি ঠাট্টা করছেন?’
জাহানারা ইমাম দৃঢ়স্বরে বললেন, ‘না, ঠাট্টা করছি না। সংগ্রাম যারা করে, তারাই সুন্দর। আর সেই সুন্দর সবাই দেখতে পায় না।’
মুশতারী শফী তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকেন জাহানারা ইমামের দিকে। এমন অদ্ভুত কথা তিনি জীবনে শোনেননি।
সূত্র: তাহমীদা সাঈদা, জাহানারা ইমাম, পৃষ্ঠা ৯০-৯১
১৯৮৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলেন শহীদজননী জাহানারা ইমাম। মেলা উদযাপন কমিটির কয়েকজন তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে এলেন বেগম মুশতারী শফীর বাড়িতে। ছুটে গিয়ে গেটের কাছে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মুশতারী শফী। জাহানারা ইমাম তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। সেভাবেই থাকলেন অনেকক্ষণ।
সেদিনই প্রেস থেকে এসেছিল মুশতারী শফীর ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ বইটি। তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন, বইটির দুই কপি জাহানারা ইমাম আর সৈয়দ শামসুল হককে দেবেন। কাকতালীয়ভাবে জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আপনি তো লেখেন। আপনার কোনো বই থাকলে দিন।’
মুশতারী শফী বইটি দিলেন। সেই হাত চেপে ধরলেন জাহানারা ইমাম। বললেন, ‘মুশতারী, চট্টগ্রামে এসে আপনার বাড়িতে উঠতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কারণ কি জানেন? মুক্তিযুদ্ধে আপনি আপনার স্বামী আর একমাত্র ভাইকে হারিয়েছেন। আমিও স্বামী আর ছেলেকে হারিয়েছি। আপনিও লেখেন, আমিও লিখি। ব্যক্তিজীবনে আমাদের অনেক মিল। সম্ভবত চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রেও।’
জাহানারা ইমামের কথা শুনে মুশতারী শফীর চোখে পানি চলে এল।
দুপুরে খেতে ডাকতে এসে মুশতারী দেখেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে জাহানারা ইমাম তাঁর বইটি পড়ছেন। তাঁর চোখ জলে ভেজা। চোখ দুটো রুমালে মুছে চশমা চোখে দিয়ে জাহানারা ইমাম তাকিয়ে রইলেন মুশতারী শফীর দিকে।
মুশতারী শফী বললেন, ‘কী দেখছেন অমন করে আপা?’
জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আপনি খুব সুন্দর।’
এমন উত্তরে ভড়কে গেলেন মুশতারী। বললেন, ‘আপনি কি ঠাট্টা করছেন?’
জাহানারা ইমাম দৃঢ়স্বরে বললেন, ‘না, ঠাট্টা করছি না। সংগ্রাম যারা করে, তারাই সুন্দর। আর সেই সুন্দর সবাই দেখতে পায় না।’
মুশতারী শফী তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকেন জাহানারা ইমামের দিকে। এমন অদ্ভুত কথা তিনি জীবনে শোনেননি।
সূত্র: তাহমীদা সাঈদা, জাহানারা ইমাম, পৃষ্ঠা ৯০-৯১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে