ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। একে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: আমরা যে বাজারকে জানি, সেটি ইক্যুইটি মার্কেট। আমরা ইক্যুইটি মার্কেটকে মনে করি ক্যাপিটাল মার্কেট। ইক্যুইটি একটি মাত্র উপাদান, যা নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট কাজ করে। এর সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডসহ আরও বহু ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে। এই সবকিছুই সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেড হয়। মিউচুয়াল ফান্ড একটা বড় ইস্যু। এটি মার্কেটকে স্থিতিশীল রাখে। সারা বিশ্বে তাই হয়। এত দিন বন্ড মার্কেটের অভাব ছিল। যদি ডেট ইনস্ট্রুমেন্ট না থাকে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নে ক্যাপিটাল মার্কেট কীভাবে কাজ করবে? এখান থেকে কতটুকুইবা পুঁজির সংস্থান করা যাবে? পঞ্চাশ, এক শ বা দেড় শ কোটি টাকা মাত্র। বাংলাদেশের জিডিপির যে আকার, সেখানে এই কয়েক শ কোটি টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট অর্থায়ন করে কুলাতে পারবে না।
আজকের পত্রিকা: তাহলে কী করতে হবে?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: এই জন্যই বন্ড লাগবে। ১০, ২০, ৫০ কোটি টাকার কোম্পানি এখন বেসরকারি খাতই বানাতে পারে। সামনে যা করতে হবে, তা অবকাঠামো উন্নয়ন বন্ড দিয়ে করতে হবে। রাজস্ব খাতে মানুষের কাছ থেকে কর নিয়ে দেশের উন্নয়ন এখন বিশ্বে খুব কমই হয়। আপনার কাছে ১ হাজার প্রকল্প আছে। রাজস্ব খাত ১০০ প্রকল্প অর্থায়ন করতে পারবে, বাকি ৯০০ পিছিয়ে পড়বে। আর এটা নিয়মিত হতে ৫ বছর লাগবে।
আজকের পত্রিকা: বন্ড মার্কেট থেকে এটা করা সম্ভব—এ আত্মবিশ্বাস পেলেন কীভাবে?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: আমরা এখন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রেলওয়ের প্রকল্প বন্ডের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে সুকুক আসবে, ইসলামি ফান্ড আসবে। বেসরকারি খাতেও ফান্ড আছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারী আছে। বিদেশি মিউচুয়াল ফান্ড আছে, পেনশন ফান্ড আছে। ওরাও তো বিনিয়োগ করতে চায়। ওরা কোথায় বিনিয়োগ করবে? ইক্যুইটিতে। শুধু ভালো রিটার্ন দিলে বন্ডে বিদেশিরা আসবে। সেই মার্কেট আমরা এখন তৈরি করছি। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের আরও টাকা দরকার। দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে, সরকারকে সাহায্য করতে হবে। বন্ডই হবে এর সমাধান।
আজকের পত্রিকা: বাজারটা কতটা কমপ্লায়েন্ট? কেন এ বাজারে বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখবেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: বাজারের সুশাসনের ব্যাপারটা সিরিয়াসলি মনিটরিং করছি। আমরা খুবই আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছি। এরই মধ্যে কমবেশি ৮০-৯০ শতাংশ গ্রাহক ইস্যু করা বন্ড নিয়েছেন। পাবলিক সেক্টরের সুকুক বন্ড, পানি শোধনাগারের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড প্রায় ১০-১২ গুণের বেশি সাবস্ক্রাইব হয়েছে। বেসরকারি খাতের সুকুক বন্ডও ইতিমধ্যে ৮৫-৯৫ শতাংশ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। সোলার পাওয়ারের জন্য রয়েছে গ্রিন বন্ড। আমাদের ছোট ছোট কিছু বন্ড এসেছে—প্রাণ গ্রুপ ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের জন্য। এগুলোও প্রায় শতভাগ সাবস্ক্রাইব। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়েই সাবস্ক্রিপশন খুব ভালো। ঠিকমতো রিটার্ন পেলে এবং মনিটরিং করতে পারলে, বিদেশ থেকে আরও বন্ডে বিনিয়োগ আসবে। বন্ডে বিনিয়োগ শুরু হলে শিল্প, অবকাঠামো এবং সার্বিক অর্থনীতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আমেরিকা-ইউরোপে রোডশো থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: রোডশোর সাড়া আছে। বেশ কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আসলে বড় স্কেলের জিনিস রাতারাতি হয় না। ছয় মাস থেকে দুই বছর লাগে। অনেকে আসছেন, তাঁরা দেশের বড় বড় গ্রুপের সঙ্গে কথা বলছেন, পরিচিত হচ্ছেন। তাঁরা এখন সাহস পাচ্ছেন। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা।
আজকের পত্রিকা: বাজারে পতন ঠেকাতে কী করছেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: মার্কেট এখন স্থিতিশীলই আছে। এই বাজার ১৯৯৬ কিংবা ২০১০ হবে না। সূচক ৩৯০০ পয়েন্ট থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সব সময় তো বাজার বাড়বে না। একটা সময় সংশোধন হয়। মুনাফা তুলে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্লোজিং ৩১ ডিসেম্বর। তারা লাভ-লোকসান হিসাব করবে। জানুয়ারি থেকে আবার ঠিক হয়ে যায়। সবাই শুধু বাড়াটাই পছন্দ করে। কমলে যে কিনবে এ জিনিসটা তারা শেখেনি। মার্কেট তো অস্বাভাবিক উচ্চতায় কখনো যাবে না। আর সেটা হতেও দেব না। কমলে কিনতে হবে, বাড়লে বেচতে হবে—এটাই মার্কেটের সাইকেল। সবাই শুধু বাড়ার জন্য বসে থাকলে তো হবে না। শুধু বিক্রির মার্কেট নয়; কেনার মার্কেটও তো লাগবে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। একে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: আমরা যে বাজারকে জানি, সেটি ইক্যুইটি মার্কেট। আমরা ইক্যুইটি মার্কেটকে মনে করি ক্যাপিটাল মার্কেট। ইক্যুইটি একটি মাত্র উপাদান, যা নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট কাজ করে। এর সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডসহ আরও বহু ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে। এই সবকিছুই সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেড হয়। মিউচুয়াল ফান্ড একটা বড় ইস্যু। এটি মার্কেটকে স্থিতিশীল রাখে। সারা বিশ্বে তাই হয়। এত দিন বন্ড মার্কেটের অভাব ছিল। যদি ডেট ইনস্ট্রুমেন্ট না থাকে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নে ক্যাপিটাল মার্কেট কীভাবে কাজ করবে? এখান থেকে কতটুকুইবা পুঁজির সংস্থান করা যাবে? পঞ্চাশ, এক শ বা দেড় শ কোটি টাকা মাত্র। বাংলাদেশের জিডিপির যে আকার, সেখানে এই কয়েক শ কোটি টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট অর্থায়ন করে কুলাতে পারবে না।
আজকের পত্রিকা: তাহলে কী করতে হবে?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: এই জন্যই বন্ড লাগবে। ১০, ২০, ৫০ কোটি টাকার কোম্পানি এখন বেসরকারি খাতই বানাতে পারে। সামনে যা করতে হবে, তা অবকাঠামো উন্নয়ন বন্ড দিয়ে করতে হবে। রাজস্ব খাতে মানুষের কাছ থেকে কর নিয়ে দেশের উন্নয়ন এখন বিশ্বে খুব কমই হয়। আপনার কাছে ১ হাজার প্রকল্প আছে। রাজস্ব খাত ১০০ প্রকল্প অর্থায়ন করতে পারবে, বাকি ৯০০ পিছিয়ে পড়বে। আর এটা নিয়মিত হতে ৫ বছর লাগবে।
আজকের পত্রিকা: বন্ড মার্কেট থেকে এটা করা সম্ভব—এ আত্মবিশ্বাস পেলেন কীভাবে?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: আমরা এখন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রেলওয়ের প্রকল্প বন্ডের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে সুকুক আসবে, ইসলামি ফান্ড আসবে। বেসরকারি খাতেও ফান্ড আছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারী আছে। বিদেশি মিউচুয়াল ফান্ড আছে, পেনশন ফান্ড আছে। ওরাও তো বিনিয়োগ করতে চায়। ওরা কোথায় বিনিয়োগ করবে? ইক্যুইটিতে। শুধু ভালো রিটার্ন দিলে বন্ডে বিদেশিরা আসবে। সেই মার্কেট আমরা এখন তৈরি করছি। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের আরও টাকা দরকার। দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে, সরকারকে সাহায্য করতে হবে। বন্ডই হবে এর সমাধান।
আজকের পত্রিকা: বাজারটা কতটা কমপ্লায়েন্ট? কেন এ বাজারে বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখবেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: বাজারের সুশাসনের ব্যাপারটা সিরিয়াসলি মনিটরিং করছি। আমরা খুবই আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছি। এরই মধ্যে কমবেশি ৮০-৯০ শতাংশ গ্রাহক ইস্যু করা বন্ড নিয়েছেন। পাবলিক সেক্টরের সুকুক বন্ড, পানি শোধনাগারের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড প্রায় ১০-১২ গুণের বেশি সাবস্ক্রাইব হয়েছে। বেসরকারি খাতের সুকুক বন্ডও ইতিমধ্যে ৮৫-৯৫ শতাংশ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। সোলার পাওয়ারের জন্য রয়েছে গ্রিন বন্ড। আমাদের ছোট ছোট কিছু বন্ড এসেছে—প্রাণ গ্রুপ ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের জন্য। এগুলোও প্রায় শতভাগ সাবস্ক্রাইব। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়েই সাবস্ক্রিপশন খুব ভালো। ঠিকমতো রিটার্ন পেলে এবং মনিটরিং করতে পারলে, বিদেশ থেকে আরও বন্ডে বিনিয়োগ আসবে। বন্ডে বিনিয়োগ শুরু হলে শিল্প, অবকাঠামো এবং সার্বিক অর্থনীতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আমেরিকা-ইউরোপে রোডশো থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: রোডশোর সাড়া আছে। বেশ কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আসলে বড় স্কেলের জিনিস রাতারাতি হয় না। ছয় মাস থেকে দুই বছর লাগে। অনেকে আসছেন, তাঁরা দেশের বড় বড় গ্রুপের সঙ্গে কথা বলছেন, পরিচিত হচ্ছেন। তাঁরা এখন সাহস পাচ্ছেন। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা।
আজকের পত্রিকা: বাজারে পতন ঠেকাতে কী করছেন?
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম: মার্কেট এখন স্থিতিশীলই আছে। এই বাজার ১৯৯৬ কিংবা ২০১০ হবে না। সূচক ৩৯০০ পয়েন্ট থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সব সময় তো বাজার বাড়বে না। একটা সময় সংশোধন হয়। মুনাফা তুলে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্লোজিং ৩১ ডিসেম্বর। তারা লাভ-লোকসান হিসাব করবে। জানুয়ারি থেকে আবার ঠিক হয়ে যায়। সবাই শুধু বাড়াটাই পছন্দ করে। কমলে যে কিনবে এ জিনিসটা তারা শেখেনি। মার্কেট তো অস্বাভাবিক উচ্চতায় কখনো যাবে না। আর সেটা হতেও দেব না। কমলে কিনতে হবে, বাড়লে বেচতে হবে—এটাই মার্কেটের সাইকেল। সবাই শুধু বাড়ার জন্য বসে থাকলে তো হবে না। শুধু বিক্রির মার্কেট নয়; কেনার মার্কেটও তো লাগবে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে