সম্পাদকীয়
নূরলদীনের কোনো হদিস কেউ করেনি কখনো। হদিস করার মতো তথ্য-উপাত্তও ছিল না। কিন্তু পড়াশোনার খাতিরেই লন্ডনের বিবিসি লাইব্রেরিতে গিয়ে একদিন সৈয়দ শামসুল হক আবিষ্কার করলেন নূরলদীনকে।
বিলেতে সাড়ে ছয় বছর বিবিসিতে কাজ করেছিলেন সৈয়দ হক। সে সময় ভাষাতত্ত্ব আর ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ জেগেছিল তাঁর। ইতিহাসের মধ্যে ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাস, বিশেষ করে বাংলার ইতিহাস। সেখানে মস্কো থেকে প্রকাশিত দুই খণ্ডের ভারতের ইতিহাস পেয়ে গেলেন। দ্বিতীয় খণ্ডে এক জায়গায় দেখলেন লেখা আছে, পলাশীযুদ্ধের মাত্র ১০/১২ বছর পর কোম্পানির দালালদের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন হয়েছিল রংপুরে। রংপুর! শব্দটি পড়ে চমকে উঠলেন সৈয়দ হক। খোঁজ করতে লাগলেন, আর কোথাও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না। পেলেন সুপ্রকাশ রায়ের বইয়ে কিছু তথ্য। ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে গিয়ে নথি খুঁজলেন। কিছু নথি পেলেন। দেখলেন, সে সময় কালেক্টর ছিলেন গুডল্যান্ড। তিনি নিজের হাতে যে রিপোর্ট লিখেছেন, তাতে আছে ‘ডেকোইটস’ নামে একটি শব্দ। পাকিস্তানিরাও স্বাধীনতাকামী মানুষের পরিচয় ব্যবহার করতে আরেকটি শব্দ ব্যবহার করত—মিসক্রিয়েন্ট!
কী লিখেছিলেন গুডল্যাড? ডাকাত দলে অর্থাৎ নূরলদীনের দলে মাদ্রাসা, মক্তব, টোলের ছাত্ররা, জেলে, কামার-কুমারেরা যোগ দিয়েছে। দপ করে একাত্তরের একটা সমান্তর ছবি ভেসে উঠল সৈয়দ হকের মাথায়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষ যোগ দিয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধে! এবং দেখা গেল ওয়ারেন হেস্টিংস মার্শাল ল জারি করেছিলেন নূরলদীনের বিদ্রোহের পরপর।
নূরলদীন তখন বঙ্গ প্রদেশের পৌনে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৩৫ হাজার লোকের একটা বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন, এ কথা কালেক্টরই লিখেছেন। সেই মানুষটির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে পরিচিত করে তোলার জন্য সৈয়দ হক বেছে নিলেন মঞ্চকে।
ইতিহাস বলে, নূরলদীন সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন ১৭৮৩ সালে। আর কাকতালীয়ভাবে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা নূরলদীনের সারাজীবন ঢাকার মঞ্চে প্রথম আসে ১৯৮৩ সালে।
সূত্র: হাসান শাহরিয়ার সম্পাদিত থিয়েটারওয়ালা
নূরলদীনের কোনো হদিস কেউ করেনি কখনো। হদিস করার মতো তথ্য-উপাত্তও ছিল না। কিন্তু পড়াশোনার খাতিরেই লন্ডনের বিবিসি লাইব্রেরিতে গিয়ে একদিন সৈয়দ শামসুল হক আবিষ্কার করলেন নূরলদীনকে।
বিলেতে সাড়ে ছয় বছর বিবিসিতে কাজ করেছিলেন সৈয়দ হক। সে সময় ভাষাতত্ত্ব আর ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ জেগেছিল তাঁর। ইতিহাসের মধ্যে ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাস, বিশেষ করে বাংলার ইতিহাস। সেখানে মস্কো থেকে প্রকাশিত দুই খণ্ডের ভারতের ইতিহাস পেয়ে গেলেন। দ্বিতীয় খণ্ডে এক জায়গায় দেখলেন লেখা আছে, পলাশীযুদ্ধের মাত্র ১০/১২ বছর পর কোম্পানির দালালদের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন হয়েছিল রংপুরে। রংপুর! শব্দটি পড়ে চমকে উঠলেন সৈয়দ হক। খোঁজ করতে লাগলেন, আর কোথাও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না। পেলেন সুপ্রকাশ রায়ের বইয়ে কিছু তথ্য। ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে গিয়ে নথি খুঁজলেন। কিছু নথি পেলেন। দেখলেন, সে সময় কালেক্টর ছিলেন গুডল্যান্ড। তিনি নিজের হাতে যে রিপোর্ট লিখেছেন, তাতে আছে ‘ডেকোইটস’ নামে একটি শব্দ। পাকিস্তানিরাও স্বাধীনতাকামী মানুষের পরিচয় ব্যবহার করতে আরেকটি শব্দ ব্যবহার করত—মিসক্রিয়েন্ট!
কী লিখেছিলেন গুডল্যাড? ডাকাত দলে অর্থাৎ নূরলদীনের দলে মাদ্রাসা, মক্তব, টোলের ছাত্ররা, জেলে, কামার-কুমারেরা যোগ দিয়েছে। দপ করে একাত্তরের একটা সমান্তর ছবি ভেসে উঠল সৈয়দ হকের মাথায়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষ যোগ দিয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধে! এবং দেখা গেল ওয়ারেন হেস্টিংস মার্শাল ল জারি করেছিলেন নূরলদীনের বিদ্রোহের পরপর।
নূরলদীন তখন বঙ্গ প্রদেশের পৌনে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৩৫ হাজার লোকের একটা বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন, এ কথা কালেক্টরই লিখেছেন। সেই মানুষটির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে পরিচিত করে তোলার জন্য সৈয়দ হক বেছে নিলেন মঞ্চকে।
ইতিহাস বলে, নূরলদীন সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন ১৭৮৩ সালে। আর কাকতালীয়ভাবে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা নূরলদীনের সারাজীবন ঢাকার মঞ্চে প্রথম আসে ১৯৮৩ সালে।
সূত্র: হাসান শাহরিয়ার সম্পাদিত থিয়েটারওয়ালা
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে