রোগীর সেবাযত্নে ইসলামি শিষ্টাচার

শায়খ ওবাইদুল্লাহ
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৫৯
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ০৪

রোগ-ব্যাধি মানুষের দুর্বলতার প্রকাশ। অসুস্থ হলে মানুষ অসহায়বোধ করে। এ সময় তার সেবাযত্ন করা এবং সহানুভূতি দেখানো ইসলামের শিক্ষা। রোগীর সেবায় মহানবী (সা.)-এর শেখানো শিষ্টাচার থেকে কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো—

১. রোগীকে দেখতে যাওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, এক মুসলিমের প্রতি অন্য মুসলিমের হক পাঁচটি। তার মধ্যে একটি হলো অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া। (বুখারি: ১২৪০; মুসলিম: ২১৬২)

২. প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সুন্নত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এক রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি কিছু খেতে চাও?’ সে বলল, ‘যবের রুটি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘যার কাছে যবের রুটি আছে, সে যেন এই ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৪৪০)

৩. রোগীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করা সুন্নত। ইবনে ওমর (রা.) রোগীর কুশল জানতে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেন—সে ব্যক্তি কেমন আছে। আর বের হওয়ার সময় বলতেন, ‘আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।’ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতেন না। (আদাবুল মুফরাদ: ৫৮২)

৪. রোগীর জন্য দোয়া করা সুন্নত। ইবনে আব্বাস (রা.) অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে তার শিয়রে বসে সাতবার বলতেন—আসআলুল্লাহাল আজিম, রব্বাল আরশিল আজিম, আন ইয়াশফিয়াকা।অর্থ: মহান আল্লাহ ও মহান আরশের অধিপতির কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে সুস্থ করে দেন। (আবু দাউদ: ৩১০৬; তিরমিজি: ২০৮৩)

৫. রোগীর আশপাশে শোরগোল করা উচিত নয়। হাদিসে এসেছে, সুন্নত হলো রোগীর পাশে কম বসা এবং বড় আওয়াজে কথা না বলা। (মিশকাত: ১৫৮৯) ৬. রোগীর কাছে দোয়া চাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, তোমরা রোগী দেখতে গেলে দোয়া চাইবে। কারণ তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ: ১৪৪১)

লেখক: শায়খ ওবাইদুল্লাহ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত