সম্পাদকীয়
এক দারুণ ঘটনা ঘটেছিল রবীন্দ্রনাথের ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়...’ গানটি নিয়ে। ইএমআই কর্তৃপক্ষ চিন্তা করেছিল, রবীন্দ্রনাথের গান যদি বিলেতি অর্কেস্ট্রাসহ রেকর্ড করা যায়, তাহলে রবীন্দ্রসংগীতের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়বে, তেমনি বাণিজ্যিক সফলতাও আসবে।
ক্যালকাটা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টর ছিলেন ফ্রান্সিসকো ক্যাসানোভা। তিনি বললেন, অর্কেস্ট্রার সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত হলে তা বিলেতেও বাজার করে নিতে পারবে। কিন্তু সবাই বুঝতে পারছিল, রবীন্দ্রসংগীত অর্কেস্ট্রাসহ পরিবেশনের অনুমতি বিশ্বভারতী দেবে না। তাহলে কীভাবে এ কাজটি করা যায়?
তখন ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়...’ গানটি হিন্দিতে অনুবাদ করা হলো। তাতে বিশ্বভারতীর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না। কিন্তু ক্যাসানোভা বারবার পঙ্কজকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘প্রাণ চায়, চক্ষু না চায়...’-এর মানেটা আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারো?’
পঙ্কজ তাঁর অক্ষম ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করতেন, কিন্তু ক্যাসানোভা তা বুঝতেন না। তবে একদিন বোঝানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো। তাঁরা দুজন ট্রামে করে মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন ফারপোর হোটেলের দিকে। ট্রামে তাঁদের ঠিক পেছনের সিটে বসেছিলেন এক অপূর্ব সুন্দরী ইউরোপীয় ললনা। পঙ্কজ যেখানে বসেছিলেন, সেখান থেকে তরুণীকে কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ক্যাসানোভা যদি মেয়েটাকে দেখতে চান, তাহলে পুরো মাথা ঘুরিয়ে দেখতে হবে।
তখন পঙ্কজ ফিসফিস করে ক্যাসানোভাকে বললেন, ‘কী, দেখতে পাচ্ছ না? দেখোই না ঘাড় ঘুরিয়ে।’
ক্যাসানোভা বললেন, ‘আরে নানা, তা কী হয়! কী যে বলো, দেখতে গেলে অসভ্যতা হয়ে যাবে।’
পঙ্কজ আবার ফিসফিস করে বললেন, ‘এবারে বুঝেছ কবির গানের অর্থ? প্রাণ চাইছে, কিন্তু চক্ষু চাইতে পারছে না, এমন অবস্থাও মানুষের জীবনে আসে।’
ক্যাসানোভা লজ্জা আর পুলকে বলে উঠলেন, ‘এবার কথাটার মানে একেবারে পরিষ্কার আমার কাছে!’
সূত্র: পঙ্কজ কুমার মল্লিক, আমার যুগ আমার গান, পৃষ্ঠা ১০৮-১০৯
এক দারুণ ঘটনা ঘটেছিল রবীন্দ্রনাথের ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়...’ গানটি নিয়ে। ইএমআই কর্তৃপক্ষ চিন্তা করেছিল, রবীন্দ্রনাথের গান যদি বিলেতি অর্কেস্ট্রাসহ রেকর্ড করা যায়, তাহলে রবীন্দ্রসংগীতের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়বে, তেমনি বাণিজ্যিক সফলতাও আসবে।
ক্যালকাটা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টর ছিলেন ফ্রান্সিসকো ক্যাসানোভা। তিনি বললেন, অর্কেস্ট্রার সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত হলে তা বিলেতেও বাজার করে নিতে পারবে। কিন্তু সবাই বুঝতে পারছিল, রবীন্দ্রসংগীত অর্কেস্ট্রাসহ পরিবেশনের অনুমতি বিশ্বভারতী দেবে না। তাহলে কীভাবে এ কাজটি করা যায়?
তখন ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়...’ গানটি হিন্দিতে অনুবাদ করা হলো। তাতে বিশ্বভারতীর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না। কিন্তু ক্যাসানোভা বারবার পঙ্কজকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘প্রাণ চায়, চক্ষু না চায়...’-এর মানেটা আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারো?’
পঙ্কজ তাঁর অক্ষম ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করতেন, কিন্তু ক্যাসানোভা তা বুঝতেন না। তবে একদিন বোঝানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো। তাঁরা দুজন ট্রামে করে মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন ফারপোর হোটেলের দিকে। ট্রামে তাঁদের ঠিক পেছনের সিটে বসেছিলেন এক অপূর্ব সুন্দরী ইউরোপীয় ললনা। পঙ্কজ যেখানে বসেছিলেন, সেখান থেকে তরুণীকে কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ক্যাসানোভা যদি মেয়েটাকে দেখতে চান, তাহলে পুরো মাথা ঘুরিয়ে দেখতে হবে।
তখন পঙ্কজ ফিসফিস করে ক্যাসানোভাকে বললেন, ‘কী, দেখতে পাচ্ছ না? দেখোই না ঘাড় ঘুরিয়ে।’
ক্যাসানোভা বললেন, ‘আরে নানা, তা কী হয়! কী যে বলো, দেখতে গেলে অসভ্যতা হয়ে যাবে।’
পঙ্কজ আবার ফিসফিস করে বললেন, ‘এবারে বুঝেছ কবির গানের অর্থ? প্রাণ চাইছে, কিন্তু চক্ষু চাইতে পারছে না, এমন অবস্থাও মানুষের জীবনে আসে।’
ক্যাসানোভা লজ্জা আর পুলকে বলে উঠলেন, ‘এবার কথাটার মানে একেবারে পরিষ্কার আমার কাছে!’
সূত্র: পঙ্কজ কুমার মল্লিক, আমার যুগ আমার গান, পৃষ্ঠা ১০৮-১০৯
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে