সেজদায়ে তিলাওয়াতের ফজিলত

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ০৬: ৩২
আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, ১২: ২৬

পবিত্র কোরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য এ গ্রন্থে রয়েছে অফুরন্ত পাথেয়, যা অনুসরণ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সহজ হয়। কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম নফল ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইবাদতগুলোর মধ্যে কোরআন তিলাওয়াতই সর্বোত্তম।’ কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলতও অনেক বেশি। এর একেকটি অক্ষর তিলাওয়াত করলে ১০টি সওয়াব পাওয়া যায়। তেমনিভাবে কোরআনে ১৪টি সেজদার আয়াত রয়েছে। যখন কোনো পাঠক আয়াতগুলো থেকে কোনো একটি তিলাওয়াত করে তখন তার জন্য একটি সেজদা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর প্রতিটি সেজদার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য একটি জান্নাত নির্ধারণ করেন।

মানুষকে আল্লাহর দরবারে সেজদা দিতে দেখলে অভিশপ্ত শয়তান নিজের জন্য আফসোস করতে থাকে এবং হিংসায় ফেটে পড়ে। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আদমসন্তান যখন সেজদার আয়াত তিলাওয়াত করে, এরপর সেজদা আদায় করে তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে দূরে চলে যায়। সে বলতে থাকে, হায়! আমার দুর্ভাগ্য, আদমসন্তান সেজদার জন্য আদিষ্ট হলো, তারপর সেজদা করল এবং এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত হলো।’ (মুসলিম)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত