সম্পাদকীয়
গৌরিপুর রাজপরিবারের কুমার প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া এলেন চলচ্চিত্র তৈরি করতে, চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে। সংগীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিককে একদিন নতুন ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাচ্ছিলেন। এক নিঃসঙ্গ চরিত্রের মানুষ এই ছবির নায়ক। চিত্রকর তিনি, আপন শিল্পকর্মে বিভোর, মেশার মতো মানুষ খুঁজে পান না।
পঙ্কজ মল্লিক স্ক্রিপ্ট শোনেন আর স্ক্রিপ্টের সঙ্গে মিল আছে, এমন গানের কথা গুনগুন করতে থাকেন। প্রমথেশ বড়ুয়া সেদিকে খেয়াল না করেই পড়ে যান। একটা সিচুয়েশনে পঙ্কজ মল্লিকের কণ্ঠ থেকে বের হয়ে এল ‘ঘরেও নহে, পারেও নহে, যে জন আছে মাঝখানে...’। আরেকটি দৃশ্যে এল, ‘ঘরে যারা যাবার তারা কখন গেছে ঘরপানে, পারে যারা যাবার গেছে পারে...’।
‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ গানের এই লাইন শোনার পর পঙ্কজের দিকে তাকালেন প্রমথেশ। স্ক্রিপ্ট পড়া বন্ধ করে বললেন, ‘চোখের জল ফেলতে হাসি পায়?’ কেন! চোখের জল ফেলতে আবার হাসি পাবে কী করে? এর মানে কি তুমি বোঝো পঙ্কজ? ‘পুরো গানটা একবার শোনাও তো পঙ্কজ।’
পঙ্কজ মল্লিক পুরো গানটি শোনালেন প্রমথেশকে। বিভোর হয়ে শুনলেন তিনি। পরদিন স্টুডিওতে এসে প্রমথেশ বললেন, “‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে...” গানটি আমি আমার ছবিতে দিতে চাই।’
পঙ্কজ খুশি হয়েও বললেন, ‘এটা তো রবিবাবুর গান নয়, তাঁর কবিতা। আমি নিজে সুর করে গেয়ে থাকি। ওঁর অনুমতি চাইতে হবে।’
প্রমথেশ অবিচল। ‘যাও না হে। তুমি তো নাম করেছ। কবিগুরুকে একটু মিনতি করো।’
পঙ্কজ রবীন্দ্রনাথের কাছে গিয়ে শুধু অনুমতিই পেলেন না, সিনেমার নামটিও পেয়ে গেলেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘পঙ্কজ, আমি দেখছি তোমাদের ছবির শুরুতেই দ্বার মুক্ত। তোমাদের ছবির নায়ক যেন কী থেকে মুক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছে?’
পঙ্কজ ফিরে এসে প্রমথেশকে সে কথা বলায় তিনি উৎফুল্ল হয়ে বললেন, ‘আরে পঙ্কজ! স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের মুখ থেকেই আমার ছবির নাম বেরিয়েছে ভাই! মুক্তি! ছবির নাম দেব মুক্তি!’
সূত্র: পঙ্কজ মল্লিক, আমার যুগ, আমার গান, পৃষ্ঠা ৮৭-৯০
গৌরিপুর রাজপরিবারের কুমার প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া এলেন চলচ্চিত্র তৈরি করতে, চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে। সংগীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিককে একদিন নতুন ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাচ্ছিলেন। এক নিঃসঙ্গ চরিত্রের মানুষ এই ছবির নায়ক। চিত্রকর তিনি, আপন শিল্পকর্মে বিভোর, মেশার মতো মানুষ খুঁজে পান না।
পঙ্কজ মল্লিক স্ক্রিপ্ট শোনেন আর স্ক্রিপ্টের সঙ্গে মিল আছে, এমন গানের কথা গুনগুন করতে থাকেন। প্রমথেশ বড়ুয়া সেদিকে খেয়াল না করেই পড়ে যান। একটা সিচুয়েশনে পঙ্কজ মল্লিকের কণ্ঠ থেকে বের হয়ে এল ‘ঘরেও নহে, পারেও নহে, যে জন আছে মাঝখানে...’। আরেকটি দৃশ্যে এল, ‘ঘরে যারা যাবার তারা কখন গেছে ঘরপানে, পারে যারা যাবার গেছে পারে...’।
‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ গানের এই লাইন শোনার পর পঙ্কজের দিকে তাকালেন প্রমথেশ। স্ক্রিপ্ট পড়া বন্ধ করে বললেন, ‘চোখের জল ফেলতে হাসি পায়?’ কেন! চোখের জল ফেলতে আবার হাসি পাবে কী করে? এর মানে কি তুমি বোঝো পঙ্কজ? ‘পুরো গানটা একবার শোনাও তো পঙ্কজ।’
পঙ্কজ মল্লিক পুরো গানটি শোনালেন প্রমথেশকে। বিভোর হয়ে শুনলেন তিনি। পরদিন স্টুডিওতে এসে প্রমথেশ বললেন, “‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে...” গানটি আমি আমার ছবিতে দিতে চাই।’
পঙ্কজ খুশি হয়েও বললেন, ‘এটা তো রবিবাবুর গান নয়, তাঁর কবিতা। আমি নিজে সুর করে গেয়ে থাকি। ওঁর অনুমতি চাইতে হবে।’
প্রমথেশ অবিচল। ‘যাও না হে। তুমি তো নাম করেছ। কবিগুরুকে একটু মিনতি করো।’
পঙ্কজ রবীন্দ্রনাথের কাছে গিয়ে শুধু অনুমতিই পেলেন না, সিনেমার নামটিও পেয়ে গেলেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘পঙ্কজ, আমি দেখছি তোমাদের ছবির শুরুতেই দ্বার মুক্ত। তোমাদের ছবির নায়ক যেন কী থেকে মুক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছে?’
পঙ্কজ ফিরে এসে প্রমথেশকে সে কথা বলায় তিনি উৎফুল্ল হয়ে বললেন, ‘আরে পঙ্কজ! স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের মুখ থেকেই আমার ছবির নাম বেরিয়েছে ভাই! মুক্তি! ছবির নাম দেব মুক্তি!’
সূত্র: পঙ্কজ মল্লিক, আমার যুগ, আমার গান, পৃষ্ঠা ৮৭-৯০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে