হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি মো. আনাম চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএসসি কী ধরনের প্রতিষ্ঠান আমি নিজেও নিশ্চিত নই। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নাকি সেবাধর্মী? বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হলে তারা বাণিজ্যিকভাবে চলুক। আর যদি সেবাধর্মী হয়, তাহলে তাদের উচিত চার্টারিংয়ে না দিয়ে দেশীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা। নিজেদের লোকজন থাকার পরও বিএসসি জাহাজগুলো বিদেশি কোম্পানিকে চার্টারিংয়ে দিয়ে দিচ্ছে। চার্টারিংয়ে দিলে বিএসসিতে এত লোকবলের দরকার কী?’
বহির্বিশ্বের সঙ্গে খাদ্যশস্য, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, পোশাক, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যসহ কনটেইনারজাত মালামাল আমদানি ও রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। প্রতিষ্ঠার পর সময়ে সময়ে বিএসসির বহরে যুক্ত করা হয় জাহাজ। কিন্তু ওই জাহাজগুলো নিজেরা পরিচালনা না করে (চার্টারিং) লিজে দেওয়ায় সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চার্টারিংয়ে দেওয়ায় জাহাজগুলোর একটি লভ্যাংশ নিয়ে যাচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বিএসসির নিজস্ব জনবল থাকার পরও জাহাজগুলো কেন চার্টারিংয়ে দিতে হবে? নিজেরা যদি জাহাজ পরিচালনা করতেই না পারে, তাহলে বিএসসির বহরে নতুন নতুন জাহাজ যুক্ত করার কী দরকার? তবে বিএসসি বলছে, চার্টারিংয়ে জাহাজ পরিচালনায় লাভ বেশি হওয়ায় তারা জাহাজগুলো লিজে দিয়ে পরিচালনা করে। জাহাজগুলো চার্টারিংয়ে দিলেও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা তাদের (বিএসসি) হাতেই থাকে।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৮টি জাহাজের মধ্যে ৬টি এখন চার্টারিংয়ে (লিজে) আছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়া এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনমার্কের ডেলটা করপোরেশনের কাছে ৩ মাসের জন্য লিজে আছে। বাকি ৫টি জাহাজ (বাংলার জয়যাত্রা, বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলার অর্জন, বাংলার অগ্রগতি, বাংলার অগ্রযাত্রা ও বাংলার অগ্রদূত) বিদেশের আরও দুটি চার্টার প্রতিষ্ঠানের কাছে লিজ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ৩০ বছরের বেশি পুরোনো হওয়ায় বাকি দুটি এমটি বাংলার জ্যোতি এবং এমটি বাংলার সৌরভ এখন নিজেরা পরিচালনা করছে। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডেই এসব জাহাজ লিজে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, সংস্থার সক্ষমতা ও আয় বাড়াতে জাহাজ ছয়টি কেনা হয়। কিন্তু জাহাজগুলো নিজেরা পরিচালনা না করায় লাভের একটি অংশ বিদেশি কোম্পানি নিয়ে যাচ্ছে, যা বিএসসির পাওয়ার কথা ছিল।
বিএমএমওএ সভাপতি বলেন, বিএসসির আমূল পরিবর্তন দরকার। ওখানে বিভিন্ন দপ্তর থেকে হায়ার করে কিছু লোককে প্রতিষ্ঠানটি চালানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা কিছুদিন থাকে, এরপর চলে যায়। প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের সেই দায়বদ্ধতা থাকে না।
তবে চার্টারিংয়েই লাভ বেশি বলে জানিয়েছেন বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (চার্টারিং, পরিকল্পনা) ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘শুধু টাইম চার্টারিংয়ে (ভাড়ায়) দিই তাই নয়, নিজেরা পণ্য ভাড়ায় পরিবহন করি। টাইম চার্টারিংয়ে লাভ বেশি হওয়ায় বিএসসি টাইম চার্টারিংয়ে দেয়। তবে এটি খুব বেশি সময়ের জন্য দিই না। তিন-চার মাসের জন্য দিই। ’
এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ব্রোকার ছাড়া এখন কিছুই সম্ভব হয় না। ভাড়া পেতে ব্রোকার দরকার হয়। আমাদের দেশে আমদানি বেশি হয়, রপ্তানি কম হয়। এ কারণে ওয়ানওয়ে পণ্য পরিবহন করে লাভ করা যায় না। তাই চার্টারে জাহাজ দিয়েছি।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি মো. আনাম চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএসসি কী ধরনের প্রতিষ্ঠান আমি নিজেও নিশ্চিত নই। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নাকি সেবাধর্মী? বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হলে তারা বাণিজ্যিকভাবে চলুক। আর যদি সেবাধর্মী হয়, তাহলে তাদের উচিত চার্টারিংয়ে না দিয়ে দেশীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা। নিজেদের লোকজন থাকার পরও বিএসসি জাহাজগুলো বিদেশি কোম্পানিকে চার্টারিংয়ে দিয়ে দিচ্ছে। চার্টারিংয়ে দিলে বিএসসিতে এত লোকবলের দরকার কী?’
বহির্বিশ্বের সঙ্গে খাদ্যশস্য, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, পোশাক, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যসহ কনটেইনারজাত মালামাল আমদানি ও রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। প্রতিষ্ঠার পর সময়ে সময়ে বিএসসির বহরে যুক্ত করা হয় জাহাজ। কিন্তু ওই জাহাজগুলো নিজেরা পরিচালনা না করে (চার্টারিং) লিজে দেওয়ায় সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চার্টারিংয়ে দেওয়ায় জাহাজগুলোর একটি লভ্যাংশ নিয়ে যাচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বিএসসির নিজস্ব জনবল থাকার পরও জাহাজগুলো কেন চার্টারিংয়ে দিতে হবে? নিজেরা যদি জাহাজ পরিচালনা করতেই না পারে, তাহলে বিএসসির বহরে নতুন নতুন জাহাজ যুক্ত করার কী দরকার? তবে বিএসসি বলছে, চার্টারিংয়ে জাহাজ পরিচালনায় লাভ বেশি হওয়ায় তারা জাহাজগুলো লিজে দিয়ে পরিচালনা করে। জাহাজগুলো চার্টারিংয়ে দিলেও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা তাদের (বিএসসি) হাতেই থাকে।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৮টি জাহাজের মধ্যে ৬টি এখন চার্টারিংয়ে (লিজে) আছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়া এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনমার্কের ডেলটা করপোরেশনের কাছে ৩ মাসের জন্য লিজে আছে। বাকি ৫টি জাহাজ (বাংলার জয়যাত্রা, বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলার অর্জন, বাংলার অগ্রগতি, বাংলার অগ্রযাত্রা ও বাংলার অগ্রদূত) বিদেশের আরও দুটি চার্টার প্রতিষ্ঠানের কাছে লিজ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ৩০ বছরের বেশি পুরোনো হওয়ায় বাকি দুটি এমটি বাংলার জ্যোতি এবং এমটি বাংলার সৌরভ এখন নিজেরা পরিচালনা করছে। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডেই এসব জাহাজ লিজে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, সংস্থার সক্ষমতা ও আয় বাড়াতে জাহাজ ছয়টি কেনা হয়। কিন্তু জাহাজগুলো নিজেরা পরিচালনা না করায় লাভের একটি অংশ বিদেশি কোম্পানি নিয়ে যাচ্ছে, যা বিএসসির পাওয়ার কথা ছিল।
বিএমএমওএ সভাপতি বলেন, বিএসসির আমূল পরিবর্তন দরকার। ওখানে বিভিন্ন দপ্তর থেকে হায়ার করে কিছু লোককে প্রতিষ্ঠানটি চালানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা কিছুদিন থাকে, এরপর চলে যায়। প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের সেই দায়বদ্ধতা থাকে না।
তবে চার্টারিংয়েই লাভ বেশি বলে জানিয়েছেন বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (চার্টারিং, পরিকল্পনা) ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘শুধু টাইম চার্টারিংয়ে (ভাড়ায়) দিই তাই নয়, নিজেরা পণ্য ভাড়ায় পরিবহন করি। টাইম চার্টারিংয়ে লাভ বেশি হওয়ায় বিএসসি টাইম চার্টারিংয়ে দেয়। তবে এটি খুব বেশি সময়ের জন্য দিই না। তিন-চার মাসের জন্য দিই। ’
এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ব্রোকার ছাড়া এখন কিছুই সম্ভব হয় না। ভাড়া পেতে ব্রোকার দরকার হয়। আমাদের দেশে আমদানি বেশি হয়, রপ্তানি কম হয়। এ কারণে ওয়ানওয়ে পণ্য পরিবহন করে লাভ করা যায় না। তাই চার্টারে জাহাজ দিয়েছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে