সম্পাদকীয়
সত্যজিৎ রায়কে একজন অসাধারণ অভিনেতা বলে মনে করতেন রবি ঘোষ। সত্যজিৎ রায়ের ‘বাঘা বাইন’ কিন্তু শুধু বাঘা হয়েই সত্যজিতের সঙ্গে থাকেননি। আরও কয়েকটি ছবিতে করেছেন অভিনয়। সেই ১৯৫২-৫৩ সালের দিকে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর কফি হাউসে যখন আড্ডা হতো, তখন লর্ডস আর কমনসেও চলত আড্ডা। সেই সময় এই লর্ডসেই সত্যজিৎ রায়কে প্রথম দেখেছিলেন রবি ঘোষ। সে সময় ‘মি. রয়’ একজন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট মাত্র। এরপরই তো ‘পথের পাঁচালী’। এরপরই তো নামধাম।
ষাটের দশকে মঞ্চে ‘অঙ্গার’ নাটকটি দেখতে এসেছিলেন সত্যজিৎ রায়। প্রশংসা করেছিলেন। রবি ঘোষ তখন মঞ্চে অভিনয় করেন। তবে দিনে দিনে সেই সুযোগ কমতে লাগল। দলের সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করলেন রবি। এ রকম এক সময় শুনলেন সত্যজিৎ রায় তাঁকে খুঁজছেন। জীবনে এই প্রথম সত্যজিতের সঙ্গে সামনাসামনি কথা হলো রবি ঘোষের। সত্যজিৎ তখন রবির মানিকদা। মানিকদা বললেন, ‘তোমাকে একটা পার্ট করতে হবে। মোটরগাড়ির ক্লিনার। করবে তো?’
করবে মানে! রবি তো তখন আনন্দে সপ্তম আসমানে! কী করতে হবে, তা যেভাবে অভিনয় করে বুঝিয়ে দিতেন সত্যজিৎ যে নতুন করে কিছু ভাবতে হতো না অভিনয়শিল্পীকে—ইমপ্রোভাইজটুকু করা ছাড়া। যতক্ষণ ফ্রেম নষ্ট না হচ্ছে, ততক্ষণ অভিনয়শিল্পীকে সেই সুযোগ দিতেন সত্যজিৎ।
‘অভিযান’ সিনেমার একটি দৃশ্যে ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন রবি। তাঁর হাতে একটি খেলনা। এই শটে শুধু হেঁটে যাওয়ারই নির্দেশ ছিল। কিন্তু শটের মধ্যে রবি দেখতে পেলেন একটা মোষ শুয়ে আছে মাটিতে। তিনি একটা লাফ দিয়ে মোষটাকে টপকে চলে গেলেন। মোষটাও দাঁড়িয়ে গেল। রবি ভয় পেলেন—বোধ হয় শটটা নষ্ট করে ফেলেছেন। কিন্তু অভয় পেলেন স্বয়ং সত্যজিতের কাছ
থেকে, ‘ফাইন!’ অর্থাৎ বাড়তি এই কাণ্ডটাকে মেনে নিলেন পরিচালক।
সূত্র: রবি ঘোষ, আপনমনে, সম্পাদনা: অভীক চট্ট্যোপাধ্যায়
সত্যজিৎ রায়কে একজন অসাধারণ অভিনেতা বলে মনে করতেন রবি ঘোষ। সত্যজিৎ রায়ের ‘বাঘা বাইন’ কিন্তু শুধু বাঘা হয়েই সত্যজিতের সঙ্গে থাকেননি। আরও কয়েকটি ছবিতে করেছেন অভিনয়। সেই ১৯৫২-৫৩ সালের দিকে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর কফি হাউসে যখন আড্ডা হতো, তখন লর্ডস আর কমনসেও চলত আড্ডা। সেই সময় এই লর্ডসেই সত্যজিৎ রায়কে প্রথম দেখেছিলেন রবি ঘোষ। সে সময় ‘মি. রয়’ একজন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট মাত্র। এরপরই তো ‘পথের পাঁচালী’। এরপরই তো নামধাম।
ষাটের দশকে মঞ্চে ‘অঙ্গার’ নাটকটি দেখতে এসেছিলেন সত্যজিৎ রায়। প্রশংসা করেছিলেন। রবি ঘোষ তখন মঞ্চে অভিনয় করেন। তবে দিনে দিনে সেই সুযোগ কমতে লাগল। দলের সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করলেন রবি। এ রকম এক সময় শুনলেন সত্যজিৎ রায় তাঁকে খুঁজছেন। জীবনে এই প্রথম সত্যজিতের সঙ্গে সামনাসামনি কথা হলো রবি ঘোষের। সত্যজিৎ তখন রবির মানিকদা। মানিকদা বললেন, ‘তোমাকে একটা পার্ট করতে হবে। মোটরগাড়ির ক্লিনার। করবে তো?’
করবে মানে! রবি তো তখন আনন্দে সপ্তম আসমানে! কী করতে হবে, তা যেভাবে অভিনয় করে বুঝিয়ে দিতেন সত্যজিৎ যে নতুন করে কিছু ভাবতে হতো না অভিনয়শিল্পীকে—ইমপ্রোভাইজটুকু করা ছাড়া। যতক্ষণ ফ্রেম নষ্ট না হচ্ছে, ততক্ষণ অভিনয়শিল্পীকে সেই সুযোগ দিতেন সত্যজিৎ।
‘অভিযান’ সিনেমার একটি দৃশ্যে ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন রবি। তাঁর হাতে একটি খেলনা। এই শটে শুধু হেঁটে যাওয়ারই নির্দেশ ছিল। কিন্তু শটের মধ্যে রবি দেখতে পেলেন একটা মোষ শুয়ে আছে মাটিতে। তিনি একটা লাফ দিয়ে মোষটাকে টপকে চলে গেলেন। মোষটাও দাঁড়িয়ে গেল। রবি ভয় পেলেন—বোধ হয় শটটা নষ্ট করে ফেলেছেন। কিন্তু অভয় পেলেন স্বয়ং সত্যজিতের কাছ
থেকে, ‘ফাইন!’ অর্থাৎ বাড়তি এই কাণ্ডটাকে মেনে নিলেন পরিচালক।
সূত্র: রবি ঘোষ, আপনমনে, সম্পাদনা: অভীক চট্ট্যোপাধ্যায়
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে