শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
আবাদি জমি না থাকায় দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন তারাগঞ্জের মাটিয়ালপাড়া গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম। কিন্তু নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে শুধু মজুরির টাকায় কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই চলতি বোরো মৌসুমে অন্যের ৫০ শতক জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হলেও এখন বাজারের নিম্নমুখী দামে তাঁর মুখ মলিন হয়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবার আলাপকালে মোজাহারুল বলেন, ‘ধানের ফলন ভালো হইছে, কিন্তু বাজারোত দাম কম। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। চালের দাম বাড়লে তো ধানের দামও বাড়বে। কিন্তু হাটোত চালের দাম চড়চড় করি বাড়লেও ধানের দাম কমতে আছে। দ্যাশোত যে কী হইল! সউগ উল্টাউল্টি চলোছে।’
তারাগঞ্জে এবার চাল ও ধানের দাম বিপরীতমুখী। ধানের দাম কমলেও চালের দাম বাড়ছে। গত চার দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ (স্থানীয় হিসাবে ২৮ কেজি) ধানে দাম গড়ে ৮০ টাকা কমেছে। আর সাত দিনের মধ্যে চালের দাম প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি ৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ধান ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার বিআর ১৫ জাতের (চিকন) প্রতি মণ ধান স্থানীয় হাটবাজারসহ বিভিন্ন আড়তে বিক্রি হয়েছে ৭৮০ টাকায়। গতকাল তা ছিল ৭০০ টাকা। একই সময়ে মোটা জাতের ধান ৬৮০ টাকা থেকে কমে ৫৯০ টাকা হয়েছে। বিআর-২৯ জাতের ধানও মণপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কমেছে।
তবে বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানের দাম কমলেও চালের দাম কমেনি। অন্তত আটজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সপ্তাহখানেক আগে মোটা জাতের চাল (গুটি স্বর্ণা) ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি করেছেন ৯৫০ টাকায়। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। আর স্বর্ণা-৫ জাতের চিকন চালের বস্তা ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩১০ টাকা হয়েছে।
গতকাল তারাগঞ্জ হাটে চাল কিনতে আসা ডাঙ্গাপাড়া ইয়াছিন আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এক কেজি চাউল ৭০ টাকা বাহে। এক বছরে তেলে দাম দ্বিগুণ হইল। মরিচ মসল্লা, সবজির দাম তো দিনাও বাড়োছে। আশা করছেনো নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচমো। কান্দাঘসা শোনোছুং এই চাল নাকি হামাক ১০০ টাকাত কেজি কিনি খাবার নাগবে। এমন হইলে তো সাদা ভাতও খাবার পামো না।’
ধান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জাতের ধানের দাম তিন দিনের ব্যবধানে মণপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কমেছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। আর বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপাতত ধানের দাম আর বাড়বে না।
অন্যদিকে চাল ব্যবসায়ী আমছার ইসলাম বলেন, ‘আড়ত থেকে চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও সেই অনুযায়ী চাল বিক্রি করছি। এবারই চাল ও ধানের বাজার ভিন্ন। এখানে বড় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কারসাজি আছে।’
মেনানগর গ্রামের কৃষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সারা জীবন দেখে আসছি চালের দাম বাড়লে ধানের দাম বাড়ে। ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়ে। এবারেই ভিন্ন, চালের দাম বাড়লেও ধানের দাম কমছে। এটা থেকে কী বুঝা যায়? বড় বড় অটোরাইস মিলের মালিকেরা চাল বিক্রি করেন। কৃষকের মতো তাঁরা অভাবী নন। তাঁদের যখন ইচ্ছা হবে, তখন চালের দাম কমাবেন। আর ধানে লোকসান গুনবেন কৃষকেরা।’
ইকরচালী বাজারে আসা স্কুলশিক্ষক রমজান আলী বলেন, ‘ধানের দাম কমছে কিন্তু চালের দাম কমছে। তবে কি ধান থেকে চাল হচ্ছে না! বড় ব্যবসায়ী, মিল মালিকেরা অবৈধভাবে মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, খুবই শিগগিরই খাদ্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ধান ও চালের বাজারের বৈষম্য বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আবাদি জমি না থাকায় দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন তারাগঞ্জের মাটিয়ালপাড়া গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম। কিন্তু নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে শুধু মজুরির টাকায় কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই চলতি বোরো মৌসুমে অন্যের ৫০ শতক জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হলেও এখন বাজারের নিম্নমুখী দামে তাঁর মুখ মলিন হয়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবার আলাপকালে মোজাহারুল বলেন, ‘ধানের ফলন ভালো হইছে, কিন্তু বাজারোত দাম কম। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। চালের দাম বাড়লে তো ধানের দামও বাড়বে। কিন্তু হাটোত চালের দাম চড়চড় করি বাড়লেও ধানের দাম কমতে আছে। দ্যাশোত যে কী হইল! সউগ উল্টাউল্টি চলোছে।’
তারাগঞ্জে এবার চাল ও ধানের দাম বিপরীতমুখী। ধানের দাম কমলেও চালের দাম বাড়ছে। গত চার দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ (স্থানীয় হিসাবে ২৮ কেজি) ধানে দাম গড়ে ৮০ টাকা কমেছে। আর সাত দিনের মধ্যে চালের দাম প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি ৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ধান ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার বিআর ১৫ জাতের (চিকন) প্রতি মণ ধান স্থানীয় হাটবাজারসহ বিভিন্ন আড়তে বিক্রি হয়েছে ৭৮০ টাকায়। গতকাল তা ছিল ৭০০ টাকা। একই সময়ে মোটা জাতের ধান ৬৮০ টাকা থেকে কমে ৫৯০ টাকা হয়েছে। বিআর-২৯ জাতের ধানও মণপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কমেছে।
তবে বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানের দাম কমলেও চালের দাম কমেনি। অন্তত আটজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সপ্তাহখানেক আগে মোটা জাতের চাল (গুটি স্বর্ণা) ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি করেছেন ৯৫০ টাকায়। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। আর স্বর্ণা-৫ জাতের চিকন চালের বস্তা ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩১০ টাকা হয়েছে।
গতকাল তারাগঞ্জ হাটে চাল কিনতে আসা ডাঙ্গাপাড়া ইয়াছিন আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এক কেজি চাউল ৭০ টাকা বাহে। এক বছরে তেলে দাম দ্বিগুণ হইল। মরিচ মসল্লা, সবজির দাম তো দিনাও বাড়োছে। আশা করছেনো নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচমো। কান্দাঘসা শোনোছুং এই চাল নাকি হামাক ১০০ টাকাত কেজি কিনি খাবার নাগবে। এমন হইলে তো সাদা ভাতও খাবার পামো না।’
ধান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জাতের ধানের দাম তিন দিনের ব্যবধানে মণপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কমেছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। আর বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপাতত ধানের দাম আর বাড়বে না।
অন্যদিকে চাল ব্যবসায়ী আমছার ইসলাম বলেন, ‘আড়ত থেকে চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও সেই অনুযায়ী চাল বিক্রি করছি। এবারই চাল ও ধানের বাজার ভিন্ন। এখানে বড় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কারসাজি আছে।’
মেনানগর গ্রামের কৃষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সারা জীবন দেখে আসছি চালের দাম বাড়লে ধানের দাম বাড়ে। ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়ে। এবারেই ভিন্ন, চালের দাম বাড়লেও ধানের দাম কমছে। এটা থেকে কী বুঝা যায়? বড় বড় অটোরাইস মিলের মালিকেরা চাল বিক্রি করেন। কৃষকের মতো তাঁরা অভাবী নন। তাঁদের যখন ইচ্ছা হবে, তখন চালের দাম কমাবেন। আর ধানে লোকসান গুনবেন কৃষকেরা।’
ইকরচালী বাজারে আসা স্কুলশিক্ষক রমজান আলী বলেন, ‘ধানের দাম কমছে কিন্তু চালের দাম কমছে। তবে কি ধান থেকে চাল হচ্ছে না! বড় ব্যবসায়ী, মিল মালিকেরা অবৈধভাবে মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, খুবই শিগগিরই খাদ্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ধান ও চালের বাজারের বৈষম্য বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১০ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪