মাসুদ উর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সবজি পোলাও এবং ভুনা খিচুড়ি প্লেট প্রতি ৪০ টাকা, সাদা ভাত ১০ টাকা, রুটি প্রতিটি ৫ টাকা এবং সবজি প্রতি বাটি ১০ টাকা করে বিক্রি হয় এখানে। সবজি চাহিদামতো দ্বিতীয়বার সরবরাহ করা হয়। হিন্দু হোটেল হিসেবে পরিচিত হলেও যেকোনো ধর্ম-বর্ণ-পেশার মানুষ এই দুর্মূল্যের বাজারে মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ টাকায় পেটপুরে খেতে পারে এখানে। আর সবজি পোলাওর কথা কী বলব! স্বাদ-ঘ্রাণ বিবেচনায় এ যেন ভিন্ন স্বাদের পলান্ন।
বলছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগন্নাথ হোটেলের কথা। সম্ভবত নাম শুনেই অনুমান করা যাচ্ছে, এই হোটেলের বিশেষত্ব কী। যাঁরা অনুমান করতে পারছেন না তাঁদের বলছি, এটি এমন একধরনের বিশেষায়িত হোটেল, যেখানে প্রাণিজ আমিষ একেবারেই অনুপস্থিত। শুধু তা-ই নয়, তরকারির অপরিহার্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজ-রসুন পর্যন্ত এখানে অচল!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাদল মল্লিক ব্যাপারটি খেয়াল করেছিলেন আজ থেকে দেড় দশক আগে। তখন তিনি শহরের সড়ক বাজারে জগন্নাথ হোটেল নামে এই নিরামিষ হোটেলটি চালু করেন। শুরুতে হিন্দু হোটেল নামে পরিচিতি পাওয়া এই নিরামিষ হোটেলটি খাবারের মান, পরিচ্ছন্নতা ও মূল্য বিবেচনায় নিরামিষভোজীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। বাড়তে থাকে কলেবর। প্রয়োজন হয়ে পড়ে বড় পরিসরের।
বর্ধিত কলেবরে এর নতুন ঠিকানা হয় শহরের কে দাস মোড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরোনো কোর্ট বিল্ডিং থেকে আনন্দবাজারের দিকে কোর্ট রোড ধরে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই কে দাস মোড়। একে তো সরু রাস্তা, তার ওপর চারটি পথ চারদিক থেকে এখানে এসে মিলেছে। এ জন্য সব সময়ই এখানে জ্যাম লেগে থাকে। মোড়টা পার হয়ে হাতের বাঁ দিকে যে সুউচ্চ ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় এই জগন্নাথ হোটেল।
গত সপ্তাহে কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে দুপুরে খেতে গিয়েছিলাম জগন্নাথ হোটেলে। রুচিসম্মত, পরিচ্ছন্ন এবং ইলেকট্রিক ফিল্টারিংয়ে নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগল। নিরামিষ হোটেলও যে দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং সেখানে মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা যায়, তার উদাহরণ এই জগন্নাথ হোটেল।
জগন্নাথ হোটেলে সকালের খাদ্যতালিকায় থাকে আটার রুটি আর ভুনাখিচুড়ি। দুপুরে সাদা ভাত ও সবজি পোলাও। বিকেলে সবজি বান, রোল ও শিঙাড়া। রাতে সাদা ভাত ও রুটি। তিন বেলায়ই থাকে নানা পদের সবজি।
এখানে সকালের খাদ্যতালিকায় থাকে আটার রুটি আর ভুনাখিচুড়ি। দুপুরে সাদা ভাত ও সবজি পোলাও। বিকেলে সবজি বান, রোল ও শিঙাড়া। রাতে সাদা ভাত ও রুটি। তিন বেলায়ই থাকে নানা পদের সবজি। ভাত বা সবজি পোলাওয়ের সঙ্গে সেদিনের রান্না করা সব পদের সবজি ছোট ছোট বাটিতে পরিবেশন করা হয়। যার যেগুলো খেতে ইচ্ছে করে, সেগুলো রেখে বাকিগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
বাজারে যেদিন যে সবজি পাওয়া যাবে, সেগুলোই রান্না হবে সেদিন। আলু-বেগুন ভাজা, পাঁচমিশালি সবজি, কাশ্মীরি, সয়ামিট, বেগুন-ডাঁটা, ফুলকপির ডালনা, বাঁধাকপির শাক, শিম-আলুর তরকারি, ছানার তরকারি, বুটের ডাল, মুগ ডাল, লালশাক, পালংশাক, শিমবিচির তরকারিসহ ঋতুভিত্তিক আরও কিছু পদ পাওয়া যাবে জগন্নাথ হোটেলে। এ ছাড়া বেগুনি হয় প্রতিদিন। আছে তাদের নিজস্ব জোগানের অনেক শুকনো খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, ডালের বড়ি, ভোজ্যতেল, বিস্কুট, চানাচুর।
সবজি পোলাও এবং ভুনা খিচুড়ি প্লেট প্রতি ৪০ টাকা, সাদা ভাত ১০ টাকা, রুটি প্রতিটি ৫ টাকা এবং সবজি প্রতি বাটি ১০ টাকা করে বিক্রি হয় এখানে। সবজি চাহিদামতো দ্বিতীয়বার সরবরাহ করা হয়। হিন্দু হোটেল হিসেবে পরিচিত হলেও যেকোনো ধর্ম-বর্ণ-পেশার মানুষ এই দুর্মূল্যের বাজারে মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ টাকায় পেটপুরে খেতে পারে এখানে। আর সবজি পোলাওর কথা কী বলব! স্বাদ-ঘ্রাণ বিবেচনায় এ যেন ভিন্ন স্বাদের পলান্ন।
বলছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগন্নাথ হোটেলের কথা। সম্ভবত নাম শুনেই অনুমান করা যাচ্ছে, এই হোটেলের বিশেষত্ব কী। যাঁরা অনুমান করতে পারছেন না তাঁদের বলছি, এটি এমন একধরনের বিশেষায়িত হোটেল, যেখানে প্রাণিজ আমিষ একেবারেই অনুপস্থিত। শুধু তা-ই নয়, তরকারির অপরিহার্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজ-রসুন পর্যন্ত এখানে অচল!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাদল মল্লিক ব্যাপারটি খেয়াল করেছিলেন আজ থেকে দেড় দশক আগে। তখন তিনি শহরের সড়ক বাজারে জগন্নাথ হোটেল নামে এই নিরামিষ হোটেলটি চালু করেন। শুরুতে হিন্দু হোটেল নামে পরিচিতি পাওয়া এই নিরামিষ হোটেলটি খাবারের মান, পরিচ্ছন্নতা ও মূল্য বিবেচনায় নিরামিষভোজীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। বাড়তে থাকে কলেবর। প্রয়োজন হয়ে পড়ে বড় পরিসরের।
বর্ধিত কলেবরে এর নতুন ঠিকানা হয় শহরের কে দাস মোড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরোনো কোর্ট বিল্ডিং থেকে আনন্দবাজারের দিকে কোর্ট রোড ধরে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই কে দাস মোড়। একে তো সরু রাস্তা, তার ওপর চারটি পথ চারদিক থেকে এখানে এসে মিলেছে। এ জন্য সব সময়ই এখানে জ্যাম লেগে থাকে। মোড়টা পার হয়ে হাতের বাঁ দিকে যে সুউচ্চ ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় এই জগন্নাথ হোটেল।
গত সপ্তাহে কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে দুপুরে খেতে গিয়েছিলাম জগন্নাথ হোটেলে। রুচিসম্মত, পরিচ্ছন্ন এবং ইলেকট্রিক ফিল্টারিংয়ে নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগল। নিরামিষ হোটেলও যে দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং সেখানে মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা যায়, তার উদাহরণ এই জগন্নাথ হোটেল।
জগন্নাথ হোটেলে সকালের খাদ্যতালিকায় থাকে আটার রুটি আর ভুনাখিচুড়ি। দুপুরে সাদা ভাত ও সবজি পোলাও। বিকেলে সবজি বান, রোল ও শিঙাড়া। রাতে সাদা ভাত ও রুটি। তিন বেলায়ই থাকে নানা পদের সবজি।
এখানে সকালের খাদ্যতালিকায় থাকে আটার রুটি আর ভুনাখিচুড়ি। দুপুরে সাদা ভাত ও সবজি পোলাও। বিকেলে সবজি বান, রোল ও শিঙাড়া। রাতে সাদা ভাত ও রুটি। তিন বেলায়ই থাকে নানা পদের সবজি। ভাত বা সবজি পোলাওয়ের সঙ্গে সেদিনের রান্না করা সব পদের সবজি ছোট ছোট বাটিতে পরিবেশন করা হয়। যার যেগুলো খেতে ইচ্ছে করে, সেগুলো রেখে বাকিগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
বাজারে যেদিন যে সবজি পাওয়া যাবে, সেগুলোই রান্না হবে সেদিন। আলু-বেগুন ভাজা, পাঁচমিশালি সবজি, কাশ্মীরি, সয়ামিট, বেগুন-ডাঁটা, ফুলকপির ডালনা, বাঁধাকপির শাক, শিম-আলুর তরকারি, ছানার তরকারি, বুটের ডাল, মুগ ডাল, লালশাক, পালংশাক, শিমবিচির তরকারিসহ ঋতুভিত্তিক আরও কিছু পদ পাওয়া যাবে জগন্নাথ হোটেলে। এ ছাড়া বেগুনি হয় প্রতিদিন। আছে তাদের নিজস্ব জোগানের অনেক শুকনো খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, ডালের বড়ি, ভোজ্যতেল, বিস্কুট, চানাচুর।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪