রহমত লাভের মাস রমজান

মুনীরুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ১০
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২০: ৫৯

রহমত আল্লাহর বিশেষ গুণ। রহমান অর্থ পরম করুণাময়। আল্লাহ চান তাঁর বান্দারা তাঁর গুণে গুণান্বিত হয়ে তাঁর সৃষ্টির প্রতি সেই গুণের প্রকাশ ঘটাক। বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া বা রহমত সর্বকালে সর্বক্ষণ বর্ষিত হতে থাকে, বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানে এর ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ জন্য রমজানের প্রথম দশক রহমতের দশক হিসেবে বিশেষায়িত। এ মাসে আল্লাহর রহমতে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে মুমিন ব্যক্তিরা রোজা পালন, নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা, ফিতরা, জাকাত প্রদান ও জিকির-আজকার ইত্যাদিতে মশগুল হয়ে তাকওয়া অর্জনে অধিক সচেষ্ট হতে পারেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাজাতপ্রাপ্তির।’ (মিশকাত)

রমজান মাসে নেক কাজের প্রতিযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং অফুরন্ত রহমত-বরকতের কারণ। উবাদা ইবনে সামিত বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান মাস এসে গেছে। তা বরকতের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন। বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন। গুনাহ মাফ করেন। দোয়া কবুল করেন। এ মাসে আল্লাহ তাআলা তোমাদের তানাফুস তথা নেক কাজের প্রতিযোগিতা দেখেন এবং ফেরেশতাদের সঙ্গে তা নিয়ে গর্ব করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে তোমাদের নেক আমল দেখাও। যে ব্যক্তি এ মাসেও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকে, সে হতভাগা।’ (তাবারানি)

মুনীরুল ইসলাম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত