বরগুনা প্রতিনিধি
প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষে এবার নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে, এমন প্রত্যাশা ছিল মৎস্যজীবীদের। কিন্তু ঘটছে তার উল্টোটা। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে এখন আর বড় ইলিশ ধরা পড়ছে না। ইলিশ শিকারে গিয়ে শূন্য হাতেই ফিরে আসছে শত শত নৌকা-ট্রলার। জেলেরা মনে করছেন, প্রজনন মৌসুমে ডিম ছাড়ার পর গভীর সমুদ্রে ফিরে গেছে ইলিশ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় হতাশ উপকূলের জেলেরা। বরগুনার পাথরঘাটার পদ্মা এলাকার জেলে পনু মিয়া বলেন, ‘এখন নদীতে কেউ জাটকা ধরে না, মোরা বড় ফাঁসের জাল বানাইছি, এই জালে দুই এউক্কা যা ইলিশ পাই, হেইয়াই বেইচ্চা কিন্না কোনো রহম দিন কাডাই।’
তবে বড় ইলিশ না পেলেও জাটকা যে ধরা যাবে না, এই সচেতনতা বাড়ছে জেলেদের মধ্যে। এ জন্য এখন আর ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করেন না তাঁরা। বরগুনা সদরের বরইতলা এলাকার জেলে নুরুল ইসলামের ভাষ্য, ‘ইলিশের পোনা না বাঁচাইলে মোরাও বাঁচতে পারমু না। গাঙে মোরা কেউ ছোডো ফাঁসের জাল হালাই না। এহন যদি পোনা মারি, তয় হারা বচ্ছর ধরমু কী?’
এদিকে এবার প্রজনন মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, গত বছর দেশের নদ-নদী ও মোহনায় ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মা-ইলিশ ডিম ছেড়েছিল। এ বছর ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ মা-ইলিশ ডিম ছেড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বরগুনা, পটুয়াখালী ভোলা, চাঁদপুর, শরীয়তপুরসহ মোট ১০টি পয়েন্টে আমরা ইলিশের ডিম ছাড়া পর্যবেক্ষণ করেছি। এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। আমরা আশা করছি, এই মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এখন আমাদের এই ইলিশ রক্ষা করতে হবে, মাছ বড় হতে দিতে হবে। জাটকা সংরক্ষণের চলমান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা যথাযথভাবে করা সম্ভব হলে অধিকাংশ ইলিশ সংরক্ষণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া অভয়াশ্রমগুলোতে শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বরগুনার তিনটি প্রধান নদ-নদী ও মোহনায় এ বছর মা-ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিশ্বজিত কুমার দেব। তিনি বলেন, মা-ইলিশ সংরক্ষণে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। যার ফলে এবার ডিম ছাড়ার হার বেড়েছে। প্রজননের সময় শেষ হওয়ায় ইলিশ নদী থেকে সমুদ্রে ফিরতে শুরু করেছে। এখন জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নেও আমরা জেলেদের সচেতন করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, ইলিশ সুরক্ষায় আমরা এবারও সফল হব।
প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষে এবার নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে, এমন প্রত্যাশা ছিল মৎস্যজীবীদের। কিন্তু ঘটছে তার উল্টোটা। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে এখন আর বড় ইলিশ ধরা পড়ছে না। ইলিশ শিকারে গিয়ে শূন্য হাতেই ফিরে আসছে শত শত নৌকা-ট্রলার। জেলেরা মনে করছেন, প্রজনন মৌসুমে ডিম ছাড়ার পর গভীর সমুদ্রে ফিরে গেছে ইলিশ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় হতাশ উপকূলের জেলেরা। বরগুনার পাথরঘাটার পদ্মা এলাকার জেলে পনু মিয়া বলেন, ‘এখন নদীতে কেউ জাটকা ধরে না, মোরা বড় ফাঁসের জাল বানাইছি, এই জালে দুই এউক্কা যা ইলিশ পাই, হেইয়াই বেইচ্চা কিন্না কোনো রহম দিন কাডাই।’
তবে বড় ইলিশ না পেলেও জাটকা যে ধরা যাবে না, এই সচেতনতা বাড়ছে জেলেদের মধ্যে। এ জন্য এখন আর ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করেন না তাঁরা। বরগুনা সদরের বরইতলা এলাকার জেলে নুরুল ইসলামের ভাষ্য, ‘ইলিশের পোনা না বাঁচাইলে মোরাও বাঁচতে পারমু না। গাঙে মোরা কেউ ছোডো ফাঁসের জাল হালাই না। এহন যদি পোনা মারি, তয় হারা বচ্ছর ধরমু কী?’
এদিকে এবার প্রজনন মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, গত বছর দেশের নদ-নদী ও মোহনায় ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মা-ইলিশ ডিম ছেড়েছিল। এ বছর ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ মা-ইলিশ ডিম ছেড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বরগুনা, পটুয়াখালী ভোলা, চাঁদপুর, শরীয়তপুরসহ মোট ১০টি পয়েন্টে আমরা ইলিশের ডিম ছাড়া পর্যবেক্ষণ করেছি। এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। আমরা আশা করছি, এই মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এখন আমাদের এই ইলিশ রক্ষা করতে হবে, মাছ বড় হতে দিতে হবে। জাটকা সংরক্ষণের চলমান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা যথাযথভাবে করা সম্ভব হলে অধিকাংশ ইলিশ সংরক্ষণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া অভয়াশ্রমগুলোতে শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বরগুনার তিনটি প্রধান নদ-নদী ও মোহনায় এ বছর মা-ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিশ্বজিত কুমার দেব। তিনি বলেন, মা-ইলিশ সংরক্ষণে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। যার ফলে এবার ডিম ছাড়ার হার বেড়েছে। প্রজননের সময় শেষ হওয়ায় ইলিশ নদী থেকে সমুদ্রে ফিরতে শুরু করেছে। এখন জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নেও আমরা জেলেদের সচেতন করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, ইলিশ সুরক্ষায় আমরা এবারও সফল হব।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে