কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি চাষিদের। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
চাষিরা বলছেন, প্রতি মৌসুমে বৈশাখের তপ্ত রোদে লবণ উৎপাদন বেশি হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে বৈশাখের শুরুতে তিন থেকে চার দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও পরবর্তী সময় হঠাৎ ঝড় নামে। ফলে ভরা মৌসুমের শুরু থেকে লবণ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে।
গতকাল বুধবার সরেজমিন উপজেলার উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠে লবণ মোড়ানো পলিথিনের স্তূপ হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় দেখা গেছে, শ্রমিকেরা কাঁধে করে লবণ উৎপাদনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব ও বৈশাখীর তাণ্ডব কবে নাগাদ দূর হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক চাষি।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের লবণচাষি আলী আকবর বলেন, ‘পুরো মৌসুমের জন্য মজুরি কাটিয়ে একজন শ্রমিক নিয়ে লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছি। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর আগেই মৌসুমের শেষে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় বৈশাখ মাসজুড়ে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। তবে বৈশাখের শেষে আবহাওয়া ভালো থাকলে আবারও লবণ উৎপাদন করা যাবে।’
লেমশীখালী শাহাজিরপাড়ার লবণচাষি মনজুর আলম জানান, হঠাৎ বৃষ্টি আসায় তাঁদের মাঠে ছড়িয়ে থাকা লবণ ওঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে শেষ মুহূর্তে একরে অন্তত ৩০ মণ লবণ উৎপাদন কম হবে। প্রতি মণ লবণ ২৫০ টাকা হলেও ঘাটতি পোষাতে পারবেন না তাঁরা।
লবণ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লবণ উৎপাদন কম হলেও এ বছর লবণের দাম ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি মণ লবণ ৩০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে চাষিরা লাভবান হবেন। তিনি বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
লেমশীখালী ইউনিয়নের লবণচাষি আবু তাহের বলেন, ‘প্রতিবছর কানিপ্রতি লবণ উৎপাদন হতো ৩৫০ থেকে ৪০০ মণ পর্যন্ত। কিন্তু চলতি মৌসুমে বৃষ্টির কারণে কয়েকবার লবণ উৎপাদন থেমে যায়। যার কারণে অন্যান্য বছরের মতো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে বাজারে লবণের মূল্য কিছুটা বাড়তি থাকায় বিগত কয়েক বছরের মতো লোকসান গুনতে হবে না।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) উপজেলার লেমশীখালী লবণ প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে কুতুবদিয়ার ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ছয় হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন করছেন চাষিরা।
বিসিক কক্সবাজার কার্যালয়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনজুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় কয়েকবার লবণ উৎপাদন বন্ধ থাকায় লক্ষ্যমাত্রার ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ ভাগ লবণ উৎপাদন হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উৎপাদন চলমান থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেত বলে মনে করেন। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর লবণের বাজারমূল্য কিছুটা বৃদ্ধি থাকায় কোনো চাষি লোকসানের সম্মুখীন হবে না বলে জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি চাষিদের। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
চাষিরা বলছেন, প্রতি মৌসুমে বৈশাখের তপ্ত রোদে লবণ উৎপাদন বেশি হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে বৈশাখের শুরুতে তিন থেকে চার দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও পরবর্তী সময় হঠাৎ ঝড় নামে। ফলে ভরা মৌসুমের শুরু থেকে লবণ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে।
গতকাল বুধবার সরেজমিন উপজেলার উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠে লবণ মোড়ানো পলিথিনের স্তূপ হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় দেখা গেছে, শ্রমিকেরা কাঁধে করে লবণ উৎপাদনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব ও বৈশাখীর তাণ্ডব কবে নাগাদ দূর হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক চাষি।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের লবণচাষি আলী আকবর বলেন, ‘পুরো মৌসুমের জন্য মজুরি কাটিয়ে একজন শ্রমিক নিয়ে লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছি। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর আগেই মৌসুমের শেষে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় বৈশাখ মাসজুড়ে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। তবে বৈশাখের শেষে আবহাওয়া ভালো থাকলে আবারও লবণ উৎপাদন করা যাবে।’
লেমশীখালী শাহাজিরপাড়ার লবণচাষি মনজুর আলম জানান, হঠাৎ বৃষ্টি আসায় তাঁদের মাঠে ছড়িয়ে থাকা লবণ ওঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে শেষ মুহূর্তে একরে অন্তত ৩০ মণ লবণ উৎপাদন কম হবে। প্রতি মণ লবণ ২৫০ টাকা হলেও ঘাটতি পোষাতে পারবেন না তাঁরা।
লবণ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লবণ উৎপাদন কম হলেও এ বছর লবণের দাম ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি মণ লবণ ৩০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে চাষিরা লাভবান হবেন। তিনি বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
লেমশীখালী ইউনিয়নের লবণচাষি আবু তাহের বলেন, ‘প্রতিবছর কানিপ্রতি লবণ উৎপাদন হতো ৩৫০ থেকে ৪০০ মণ পর্যন্ত। কিন্তু চলতি মৌসুমে বৃষ্টির কারণে কয়েকবার লবণ উৎপাদন থেমে যায়। যার কারণে অন্যান্য বছরের মতো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে বাজারে লবণের মূল্য কিছুটা বাড়তি থাকায় বিগত কয়েক বছরের মতো লোকসান গুনতে হবে না।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) উপজেলার লেমশীখালী লবণ প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে কুতুবদিয়ার ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ছয় হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন করছেন চাষিরা।
বিসিক কক্সবাজার কার্যালয়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনজুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় কয়েকবার লবণ উৎপাদন বন্ধ থাকায় লক্ষ্যমাত্রার ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ ভাগ লবণ উৎপাদন হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উৎপাদন চলমান থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেত বলে মনে করেন। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর লবণের বাজারমূল্য কিছুটা বৃদ্ধি থাকায় কোনো চাষি লোকসানের সম্মুখীন হবে না বলে জানান তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে