সম্পাদকীয়
যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখনো রেডিও জনপ্রিয় নয়। জনপ্রিয় হলো রেকর্ড। গান রেকর্ড করার ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমানরা ছিল পিছিয়ে। আবুল কাসেম মল্লিক গান করতে ভালো বাসতেন। কিন্তু এই নামে গান করলে রেকর্ড বিক্রি হবে না বলে সন্দেহ করল গ্রামোফোন কোম্পানি। তাই তাঁর নাম হলো কে মল্লিক। ‘লোহারই বাঁধনে বেঁধেছ সংসার’… তাঁর গাওয়া একটি জনপ্রিয় গান। কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমারে চোখ ইশারায়’ আর ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে’ গান দুটি দিয়ে প্রথম রেকর্ডও করেন কে মল্লিক।
দ্বিতীয় মুসলমান গায়ক আব্বাসউদ্দীন। তাঁর সুললিত কণ্ঠে মদিরা ছিল। কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে চাকরি করতেন তিনি। থাকতেন বউবাজার স্ট্রিটে এক মেসে। আবদুল আহাদ প্রায়ই বিকেলের দিকে আব্বাসউদ্দীনের মেসে যেতেন। একদিন বিকেলে আবদুল আহাদ আসতেই আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘চলো, আমার সঙ্গে। আমাকে গান করতে হবে এক জায়গায়।’
ক্যামবেল হাসপাতালে কোনো এক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়োজনে গান হবে। তখন গাইছিলেন সুধীরলাল চক্রবর্তী। এরপর মঞ্চে উঠলেন আব্বাসউদ্দীন। তখনো মঞ্চে মাইক্রোফোনের প্রচলন হয়নি। খালি গলায়ই গাইতে হতো গান। আব্বাসউদ্দীন ধরলেন ‘আমার হাড়কালা হলোরে, দেহ কালার লাগি…’। প্যান্ডেলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে গেল ঢেউখেলানো কণ্ঠ। স্তব্ধ হয়ে মানুষ শুনতে লাগল গান। গান শেষ হতেই করতালিতে ফেটে পড়ল চারদিক।
সেটা মুসলিম জাগরণের সময়। আব্বাসউদ্দীন তখন পল্লির গানগুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন। উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া, পূর্ব বাংলার ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি, মুর্শিদি, মারফতি, সারি ইত্যাদি গান সুধীসমাজে পরিচিত হলো আব্বাসউদ্দীনের মাধ্যমেই। মুকুন্দ দাসের পর আব্বাসউদ্দীনই ছিলেন প্রকৃত গণশিল্পী। পল্লির হাজার হাজার মানুষের সামনে তিনি গান করেছেন।
আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ…’ গানটি এখন ধ্রুপদি সংগীতে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: আবদুল আহাদ, আসা যাওয়ার পথের ধারে, পৃষ্ঠা ৪৬-৪৮
যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখনো রেডিও জনপ্রিয় নয়। জনপ্রিয় হলো রেকর্ড। গান রেকর্ড করার ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমানরা ছিল পিছিয়ে। আবুল কাসেম মল্লিক গান করতে ভালো বাসতেন। কিন্তু এই নামে গান করলে রেকর্ড বিক্রি হবে না বলে সন্দেহ করল গ্রামোফোন কোম্পানি। তাই তাঁর নাম হলো কে মল্লিক। ‘লোহারই বাঁধনে বেঁধেছ সংসার’… তাঁর গাওয়া একটি জনপ্রিয় গান। কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমারে চোখ ইশারায়’ আর ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে’ গান দুটি দিয়ে প্রথম রেকর্ডও করেন কে মল্লিক।
দ্বিতীয় মুসলমান গায়ক আব্বাসউদ্দীন। তাঁর সুললিত কণ্ঠে মদিরা ছিল। কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে চাকরি করতেন তিনি। থাকতেন বউবাজার স্ট্রিটে এক মেসে। আবদুল আহাদ প্রায়ই বিকেলের দিকে আব্বাসউদ্দীনের মেসে যেতেন। একদিন বিকেলে আবদুল আহাদ আসতেই আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘চলো, আমার সঙ্গে। আমাকে গান করতে হবে এক জায়গায়।’
ক্যামবেল হাসপাতালে কোনো এক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়োজনে গান হবে। তখন গাইছিলেন সুধীরলাল চক্রবর্তী। এরপর মঞ্চে উঠলেন আব্বাসউদ্দীন। তখনো মঞ্চে মাইক্রোফোনের প্রচলন হয়নি। খালি গলায়ই গাইতে হতো গান। আব্বাসউদ্দীন ধরলেন ‘আমার হাড়কালা হলোরে, দেহ কালার লাগি…’। প্যান্ডেলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে গেল ঢেউখেলানো কণ্ঠ। স্তব্ধ হয়ে মানুষ শুনতে লাগল গান। গান শেষ হতেই করতালিতে ফেটে পড়ল চারদিক।
সেটা মুসলিম জাগরণের সময়। আব্বাসউদ্দীন তখন পল্লির গানগুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন। উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া, পূর্ব বাংলার ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি, মুর্শিদি, মারফতি, সারি ইত্যাদি গান সুধীসমাজে পরিচিত হলো আব্বাসউদ্দীনের মাধ্যমেই। মুকুন্দ দাসের পর আব্বাসউদ্দীনই ছিলেন প্রকৃত গণশিল্পী। পল্লির হাজার হাজার মানুষের সামনে তিনি গান করেছেন।
আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ…’ গানটি এখন ধ্রুপদি সংগীতে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: আবদুল আহাদ, আসা যাওয়ার পথের ধারে, পৃষ্ঠা ৪৬-৪৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে