সম্পাদকীয়
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যখন নতুন গানের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তখন শহীদুল ইসলাম, টি এইচ শিকদার, সরদার আলাউদ্দিন, মোর্শেদ আলী, শফি বাঙালি প্রমুখ লিখতে শুরু করলেন গান।
সে সময় কামাল লোহানীর হাতে এসে পৌঁছাল গোবিন্দ হালদারের লেখা দুটো গানের খাতা। খাতা দুটো পৌঁছে দিলেন মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক, চলচ্চিত্রকর্মী ও চারুশিল্পী কামাল আহমেদ। কামাল লোহানী খাতা দুটো পেয়ে সমর দাসকে দিলেন বাছাই করে সুরারোপ করতে। আপেল মাহমুদকে বললেন, ‘কী হে, তোমরা নতুন গান করতে পারো না?’
আপেল মাহমুদ গান চাইলেন। সমর দাসের কাছ থেকে একটি খাতা নিয়ে দেওয়া হলো আপেলকে। ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে...’ গানটি সুর করে ফেললেন তিনি। সমর দাস কোরাসে করালেন ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল...’। পটুয়া কামরুল হাসানের নেতৃত্বে রেকর্ড হলো ব্রতচারী গান, ‘মানুষ হ মানুষ হ আবার তোরা মানুষ হ...’।
এভাবেই গানের সংখ্যা বাড়তে লাগল। সময় বয়ে যেতে লাগল কায়-ক্লেশে। অবশেষে এসে পৌঁছাল বিজয়-বার্তা। জানা হয়ে গেল, পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রেসকোর্সে আত্মসমর্পণ করেছে। ফলে এক নম্বর স্টুডিও থেকে একটা বিশেষ সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হতে হবে। আনন্দ আর ক্ষোভের মিশ্রণে কামাল লোহানী সেটা লিখে ফেললেন। নিয়মিত বুলেটিন পড়ার কথা বাবুল আখতারের। তখন হাসান ইমামও এসেছেন। তিনি পড়তে চাইলেন বিশেষ বুলেটিন। বারণ করা হলো তাঁকে। রেকর্ডিং করতে বসলেন বাবুল। কিন্তু তাঁর কণ্ঠে বাক্যবিন্যাস অনুযায়ী ক্রোধ, ক্ষোভ ফুটে উঠছিল না।
তখন অন্যরা বললেন, ‘লোহানী ভাই, আপনি ভয়েস দেন।’
একটু দ্বিধা ছিল লোহানীর মনে। তিনি তো হাসান ইমামকে নিষেধ করেছেন! তারপরও ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় সংবাদটি পড়লেন কামাল লোহানী। বিজয়ের সংবাদ পাঠ করে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন তিনি।
সূত্র: কামাল লোহানী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ৬১-৬২
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যখন নতুন গানের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তখন শহীদুল ইসলাম, টি এইচ শিকদার, সরদার আলাউদ্দিন, মোর্শেদ আলী, শফি বাঙালি প্রমুখ লিখতে শুরু করলেন গান।
সে সময় কামাল লোহানীর হাতে এসে পৌঁছাল গোবিন্দ হালদারের লেখা দুটো গানের খাতা। খাতা দুটো পৌঁছে দিলেন মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক, চলচ্চিত্রকর্মী ও চারুশিল্পী কামাল আহমেদ। কামাল লোহানী খাতা দুটো পেয়ে সমর দাসকে দিলেন বাছাই করে সুরারোপ করতে। আপেল মাহমুদকে বললেন, ‘কী হে, তোমরা নতুন গান করতে পারো না?’
আপেল মাহমুদ গান চাইলেন। সমর দাসের কাছ থেকে একটি খাতা নিয়ে দেওয়া হলো আপেলকে। ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে...’ গানটি সুর করে ফেললেন তিনি। সমর দাস কোরাসে করালেন ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল...’। পটুয়া কামরুল হাসানের নেতৃত্বে রেকর্ড হলো ব্রতচারী গান, ‘মানুষ হ মানুষ হ আবার তোরা মানুষ হ...’।
এভাবেই গানের সংখ্যা বাড়তে লাগল। সময় বয়ে যেতে লাগল কায়-ক্লেশে। অবশেষে এসে পৌঁছাল বিজয়-বার্তা। জানা হয়ে গেল, পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রেসকোর্সে আত্মসমর্পণ করেছে। ফলে এক নম্বর স্টুডিও থেকে একটা বিশেষ সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হতে হবে। আনন্দ আর ক্ষোভের মিশ্রণে কামাল লোহানী সেটা লিখে ফেললেন। নিয়মিত বুলেটিন পড়ার কথা বাবুল আখতারের। তখন হাসান ইমামও এসেছেন। তিনি পড়তে চাইলেন বিশেষ বুলেটিন। বারণ করা হলো তাঁকে। রেকর্ডিং করতে বসলেন বাবুল। কিন্তু তাঁর কণ্ঠে বাক্যবিন্যাস অনুযায়ী ক্রোধ, ক্ষোভ ফুটে উঠছিল না।
তখন অন্যরা বললেন, ‘লোহানী ভাই, আপনি ভয়েস দেন।’
একটু দ্বিধা ছিল লোহানীর মনে। তিনি তো হাসান ইমামকে নিষেধ করেছেন! তারপরও ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় সংবাদটি পড়লেন কামাল লোহানী। বিজয়ের সংবাদ পাঠ করে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন তিনি।
সূত্র: কামাল লোহানী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ৬১-৬২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে