এ কে এম শামসুদ্দিন
নতুন বছর ২০২৩ সাল শুরু হতে না হতেই দু-দুটো গোলাগুলির ঘটনা ঘটে গেল। পাঠক হয়তো ভাবছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নতুন কোনো গোলাগুলির ঘটনার কথা বলছি। নতুন বছরে বিরোধী দলের সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গুলির ঘটনা ঘটলেও; যে দুটো ঘটনার কথা বলতে চাইছি, সেই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ নয়, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনেই। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটু ও তাঁর অনুসারীরা ১ জানুয়ারি ভোরে বিজয় মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই উপজেলা ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ডজনখানেককে মারাত্মকভাবে আহত করেন। হামলার সময় সামনে থেকেই পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য মাঈন উদ্দিন টিটুকে অবশ্য দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না এবং যে পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছে, সেটার কোনো লাইসেন্স আছে কি না, সে সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায়নি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ১৫ জানুয়ারি ঢাকার গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে। এই ঘটনার নায়কও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত হয়েছে বলে নতুন করে এখানে আর উল্লেখ করা হলো না। বিকাশে টাকা পাঠানোকে কেন্দ্র করে ডিএনসিসি মার্কেটের মোবাইল এজেন্ট দোকানি হাবিবুর রহমানকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেধড়ক মারধর করলে মার্কেটের অন্য দোকানিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং মিন্টু ও তাঁর লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ সময় মিন্টু তাঁর কোমর থেকে পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। মিন্টুর পিস্তল থেকে ছোড়া গুলিতে একজন ভ্যানচালক ও একজন গাড়িচালক আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হয় এবং গুলশান থানার পুলিশ মিন্টুসহ তিনজনকে আটক করে। ঘটনায় যে পিস্তলটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেই পিস্তলের লাইসেন্স আছে। ২০১৬ সালে পিস্তলটির লাইসেন্স নেওয়া হয়। দেশে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের এমন খোলামেলা ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং নানা পেশা ও শ্রেণির প্রভাবশালী মানুষের এসব অস্ত্র ব্যবহার আজকাল মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার সমাজে আরও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বৈধভাবে পাওয়া এসব অস্ত্র সাধারণত ব্যবহার হয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে। এমনকি এসব বৈধ অস্ত্র অবৈধভাবে ভাড়া দেওয়াও হচ্ছে। এসব অস্ত্র প্রকাশ্যে উঁচিয়ে মানুষকে যেমন ভয়ভীতি দেখানো হয়, তেমনি ব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক গুন্ডামি, সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখলসহ নানা অনৈতিক কাজে। গত বছরের বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দলীয় কোন্দলে অস্ত্রের ব্যবহার, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে সংঘর্ষে অস্ত্র দিয়ে যে পরিমাণ প্রাণ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে অধিকসংখ্যক প্রাণ সংহার হচ্ছে সমমনা দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে। প্রায়ই বড় বড় নেতার মুখে একটি কমন বাক্য শোনা যায়, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এসব নেতার ছায়াতলে বসেই দলের নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। রাজনৈতিক নেতাদের ভেতর জাতীয় ও দলীয় স্বার্থের ওপর ব্যক্তিস্বার্থ ভর করাতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল, এর অঙ্গসংগঠন ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা নামধারী কতিপয় ব্যক্তি অস্ত্রের জোরে যেমন নিজে দলের বিপক্ষদের কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করে থাকে, তেমনি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা অস্ত্রের মহড়া দিলেও তাদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। অথচ এ ধরনের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নিরীহ পথচারী ও সাধারণ মানুষ হতাহতের শিকার হয়। ১৫ জানুয়ারির ঘটনায় একজন ভ্যানচালক ও গাড়িচালকের আহত হওয়ার ঘটনা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় এক যুগ ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের অনেক স্বজনও অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কিংবা দলীয় কোন্দলে লাইসেন্সধারী অস্ত্রও ব্যবহার হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। প্রশ্ন হচ্ছে, কাউকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার আগে তার লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে কি না। অনেক সময় দেখা যায়, যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়, তাদের আদৌ অস্ত্র রাখার যোগ্যতা আছে কি না, সেটা দেখা হয় না। এসব অস্ত্রের অপব্যবহার হলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হয় না। এ জন্য এসব অস্ত্রের অপব্যবহার কমছে না। অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে হলে কিছু শর্ত আছে, সেই শর্তগুলো পূরণ হলেই একজন নাগরিক অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। যিনি আবেদন করবেন, তাঁর জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়করদাতা হতে হবে; বছরে ৩ লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে। অস্ত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ৩০ থেকে ৭০ বছরের নিচে হতে হবে। ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় যেকোনো সামরিক বা বেসামরিক নাগরিক বৈধ অস্ত্রের আবেদন করতে পারেন। ব্যক্তিগত অস্ত্রের বিষয়ে সর্বশেষ ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’ আইনে কেবল আত্মরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া, এই অস্ত্র অন্য কোনো প্রয়োজনে ব্যবহারের বিধিনিষেধ আছে। এমনকি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ‘টেস্ট ফায়ার’ও করা যাবে না। ব্যক্তিগত অস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও ব্যবহারের অনুমতি নেই। এমনকি কোনো ব্যক্তি দেহরক্ষীকে ব্যবহারের জন্যও দিতে পারবেন না; বিশেষ কোনো প্রয়োজনে দেহরক্ষীকে ব্যবহার করতে হলে তার নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে আরও বিস্তারিত ব্যবহারবিধি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’-এর অনুচ্ছেদ ২৫ (গ) অনুযায়ী, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি নিজ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা সম্পত্তি রক্ষার জন্য অস্ত্রধারী প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারবে না।’ একই ধারার অনুচ্ছেদ ২৫ (ক) অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি স্বীয় লাইসেন্স এন্ট্রিকৃত অস্ত্র আত্মরক্ষার নিমিত্ত নিজে বহন/ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্যের ভীতি/বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে, এরূপভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না।’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এই আইন অনুসরণপূর্বক প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ কিন্তু আমাদের দেশে দেখা গেছে, এত পরিষ্কার আইন থাকা সত্ত্বেও এ আইনের যথেচ্ছ বরখেলাপ হচ্ছে।
বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যেমন হচ্ছে, তেমনি বৈধ অস্ত্রের দোকানের আড়ালে অবৈধ অস্ত্র বিক্রির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বৈধ অস্ত্রের পরিচিতিমূলক কোড নম্বর ও কোম্পানির নাম মুছে বেশি মূল্যে বিক্রি করছে পিস্তল, রিভলবারসহ ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে একে-৪৭-এর মতো মারাত্মক অস্ত্র। এভাবেই পেশাদার অপরাধী, রাজনৈতিক ক্যাডারদের হাতে অবৈধ অস্ত্র চলে যাচ্ছে। ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা সংসদ উপনির্বাচনের সময় নির্বাচনী সহিংসতায় এসব অস্ত্রের বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়। এ ধরনের অস্ত্র কিনতে লাইসেন্সের দরকার হয় না। উপরন্তু এসব অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা করলেও সহজে শনাক্ত করা যায় না।
দেশে ৮৪ জন বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা অস্ত্র আমদানি করেন। আবার কেউ কেউ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। কোনো কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র সংগ্রহের সময় চাহিদাপত্রের বাইরে অস্ত্র কিনে থাকেন। অতিরিক্ত এই অস্ত্রের লিখিত দলিল স্থানীয় ডিপুটি কালেক্টরের কাছে গোপন রাখেন। অতঃপর ওই সব অস্ত্রের ব্র্যান্ড ও নম্বর মুছে ফেলে চড়া দামে বিক্রি করেন। এসব অস্ত্রের ব্যবসা ও ব্যবহারের বিষয় পুলিশের বিশেষ শাখা ও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ থাকলেও ঠিকমতো নজরে রাখা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তো সন্দেহ রয়েই গেছে।
কেউ যদি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম আছে। প্রমাণ সাপেক্ষে ওই ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করার বিধানও আছে। বিগত বছরগুলোয় বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের ফলে অনেকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সেসব ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেসব ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, কোনোভাবেই সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি, তেমন কিছু লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি কিংবা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনা যে ঘটেনি, তা নয়। অনেক সময় দেখা গেছে, ‘চুজ অ্যান্ড পিক’ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হোক, দেশের সব নাগরিকই চান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর যদি উচ্চমহলের চাপ না থাকে, তাহলে শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব না হলেও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ কে এম শামসুদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলাম লেখক
নতুন বছর ২০২৩ সাল শুরু হতে না হতেই দু-দুটো গোলাগুলির ঘটনা ঘটে গেল। পাঠক হয়তো ভাবছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নতুন কোনো গোলাগুলির ঘটনার কথা বলছি। নতুন বছরে বিরোধী দলের সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গুলির ঘটনা ঘটলেও; যে দুটো ঘটনার কথা বলতে চাইছি, সেই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ নয়, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনেই। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটু ও তাঁর অনুসারীরা ১ জানুয়ারি ভোরে বিজয় মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই উপজেলা ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ডজনখানেককে মারাত্মকভাবে আহত করেন। হামলার সময় সামনে থেকেই পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য মাঈন উদ্দিন টিটুকে অবশ্য দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না এবং যে পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছে, সেটার কোনো লাইসেন্স আছে কি না, সে সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায়নি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ১৫ জানুয়ারি ঢাকার গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে। এই ঘটনার নায়কও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত হয়েছে বলে নতুন করে এখানে আর উল্লেখ করা হলো না। বিকাশে টাকা পাঠানোকে কেন্দ্র করে ডিএনসিসি মার্কেটের মোবাইল এজেন্ট দোকানি হাবিবুর রহমানকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেধড়ক মারধর করলে মার্কেটের অন্য দোকানিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং মিন্টু ও তাঁর লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ সময় মিন্টু তাঁর কোমর থেকে পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। মিন্টুর পিস্তল থেকে ছোড়া গুলিতে একজন ভ্যানচালক ও একজন গাড়িচালক আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হয় এবং গুলশান থানার পুলিশ মিন্টুসহ তিনজনকে আটক করে। ঘটনায় যে পিস্তলটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেই পিস্তলের লাইসেন্স আছে। ২০১৬ সালে পিস্তলটির লাইসেন্স নেওয়া হয়। দেশে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের এমন খোলামেলা ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং নানা পেশা ও শ্রেণির প্রভাবশালী মানুষের এসব অস্ত্র ব্যবহার আজকাল মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার সমাজে আরও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বৈধভাবে পাওয়া এসব অস্ত্র সাধারণত ব্যবহার হয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে। এমনকি এসব বৈধ অস্ত্র অবৈধভাবে ভাড়া দেওয়াও হচ্ছে। এসব অস্ত্র প্রকাশ্যে উঁচিয়ে মানুষকে যেমন ভয়ভীতি দেখানো হয়, তেমনি ব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক গুন্ডামি, সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখলসহ নানা অনৈতিক কাজে। গত বছরের বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দলীয় কোন্দলে অস্ত্রের ব্যবহার, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে সংঘর্ষে অস্ত্র দিয়ে যে পরিমাণ প্রাণ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে অধিকসংখ্যক প্রাণ সংহার হচ্ছে সমমনা দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে। প্রায়ই বড় বড় নেতার মুখে একটি কমন বাক্য শোনা যায়, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এসব নেতার ছায়াতলে বসেই দলের নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। রাজনৈতিক নেতাদের ভেতর জাতীয় ও দলীয় স্বার্থের ওপর ব্যক্তিস্বার্থ ভর করাতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল, এর অঙ্গসংগঠন ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা নামধারী কতিপয় ব্যক্তি অস্ত্রের জোরে যেমন নিজে দলের বিপক্ষদের কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করে থাকে, তেমনি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা অস্ত্রের মহড়া দিলেও তাদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। অথচ এ ধরনের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নিরীহ পথচারী ও সাধারণ মানুষ হতাহতের শিকার হয়। ১৫ জানুয়ারির ঘটনায় একজন ভ্যানচালক ও গাড়িচালকের আহত হওয়ার ঘটনা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় এক যুগ ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের অনেক স্বজনও অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কিংবা দলীয় কোন্দলে লাইসেন্সধারী অস্ত্রও ব্যবহার হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। প্রশ্ন হচ্ছে, কাউকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার আগে তার লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে কি না। অনেক সময় দেখা যায়, যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়, তাদের আদৌ অস্ত্র রাখার যোগ্যতা আছে কি না, সেটা দেখা হয় না। এসব অস্ত্রের অপব্যবহার হলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হয় না। এ জন্য এসব অস্ত্রের অপব্যবহার কমছে না। অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে হলে কিছু শর্ত আছে, সেই শর্তগুলো পূরণ হলেই একজন নাগরিক অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। যিনি আবেদন করবেন, তাঁর জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়করদাতা হতে হবে; বছরে ৩ লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে। অস্ত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ৩০ থেকে ৭০ বছরের নিচে হতে হবে। ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় যেকোনো সামরিক বা বেসামরিক নাগরিক বৈধ অস্ত্রের আবেদন করতে পারেন। ব্যক্তিগত অস্ত্রের বিষয়ে সর্বশেষ ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’ আইনে কেবল আত্মরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া, এই অস্ত্র অন্য কোনো প্রয়োজনে ব্যবহারের বিধিনিষেধ আছে। এমনকি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ‘টেস্ট ফায়ার’ও করা যাবে না। ব্যক্তিগত অস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও ব্যবহারের অনুমতি নেই। এমনকি কোনো ব্যক্তি দেহরক্ষীকে ব্যবহারের জন্যও দিতে পারবেন না; বিশেষ কোনো প্রয়োজনে দেহরক্ষীকে ব্যবহার করতে হলে তার নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে আরও বিস্তারিত ব্যবহারবিধি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’-এর অনুচ্ছেদ ২৫ (গ) অনুযায়ী, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি নিজ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা সম্পত্তি রক্ষার জন্য অস্ত্রধারী প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারবে না।’ একই ধারার অনুচ্ছেদ ২৫ (ক) অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি স্বীয় লাইসেন্স এন্ট্রিকৃত অস্ত্র আত্মরক্ষার নিমিত্ত নিজে বহন/ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্যের ভীতি/বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে, এরূপভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না।’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এই আইন অনুসরণপূর্বক প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ কিন্তু আমাদের দেশে দেখা গেছে, এত পরিষ্কার আইন থাকা সত্ত্বেও এ আইনের যথেচ্ছ বরখেলাপ হচ্ছে।
বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যেমন হচ্ছে, তেমনি বৈধ অস্ত্রের দোকানের আড়ালে অবৈধ অস্ত্র বিক্রির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বৈধ অস্ত্রের পরিচিতিমূলক কোড নম্বর ও কোম্পানির নাম মুছে বেশি মূল্যে বিক্রি করছে পিস্তল, রিভলবারসহ ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে একে-৪৭-এর মতো মারাত্মক অস্ত্র। এভাবেই পেশাদার অপরাধী, রাজনৈতিক ক্যাডারদের হাতে অবৈধ অস্ত্র চলে যাচ্ছে। ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা সংসদ উপনির্বাচনের সময় নির্বাচনী সহিংসতায় এসব অস্ত্রের বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়। এ ধরনের অস্ত্র কিনতে লাইসেন্সের দরকার হয় না। উপরন্তু এসব অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা করলেও সহজে শনাক্ত করা যায় না।
দেশে ৮৪ জন বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা অস্ত্র আমদানি করেন। আবার কেউ কেউ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। কোনো কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র সংগ্রহের সময় চাহিদাপত্রের বাইরে অস্ত্র কিনে থাকেন। অতিরিক্ত এই অস্ত্রের লিখিত দলিল স্থানীয় ডিপুটি কালেক্টরের কাছে গোপন রাখেন। অতঃপর ওই সব অস্ত্রের ব্র্যান্ড ও নম্বর মুছে ফেলে চড়া দামে বিক্রি করেন। এসব অস্ত্রের ব্যবসা ও ব্যবহারের বিষয় পুলিশের বিশেষ শাখা ও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ থাকলেও ঠিকমতো নজরে রাখা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তো সন্দেহ রয়েই গেছে।
কেউ যদি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম আছে। প্রমাণ সাপেক্ষে ওই ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করার বিধানও আছে। বিগত বছরগুলোয় বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের ফলে অনেকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সেসব ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেসব ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, কোনোভাবেই সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি, তেমন কিছু লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি কিংবা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনা যে ঘটেনি, তা নয়। অনেক সময় দেখা গেছে, ‘চুজ অ্যান্ড পিক’ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হোক, দেশের সব নাগরিকই চান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর যদি উচ্চমহলের চাপ না থাকে, তাহলে শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব না হলেও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ কে এম শামসুদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলাম লেখক
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে