নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
ইটপাথরের অবকাঠামোয় ছেয়ে গেছে যে শহরের আকাশ, সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেওয়া যাচ্ছে বৃষ্টির ফোঁটা। বৃষ্টির স্পর্শ শিহরণ জাগায় মন, প্রাণ ও সারা শরীরে। ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে বসে এগুলো বৃষ্টিবিলাস মনে হলেও, ঘর ছেড়ে বাইরে এলেই বদলে যায় পরিবেশ-পরিস্থিতি। কখনো থেমে থেমে, কখনো ঝুমবৃষ্টি দুর্ভোগে ফেলছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। রাস্তাই যাদের উপার্জনের একমাত্র ক্ষেত্র, তাদের জন্য এই বৃষ্টি শরীরে শীতলতা দিলেও, মনে জাগায় শঙ্কা।
সারা দেশের মতো গতকাল রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি নিয়ে মিশ্র অনুভূতি জানিয়েছে নগরবাসী। আপনার চোখে ঢাকা শহরের বৃষ্টি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে বৃষ্টিভেজা ঠোঁটে শুষ্ক হাসি দিলেন রিকশাচালক মো. বাবুল মিয়া। সত্তর ছুঁই ছুঁই বাবুল আট বছর ধরে এখানে রিকশা চালান। তিনি বলেন, ‘আমার উপার্জনের টাকায় সংসার চলে। সারা সপ্তাহে বৃষ্টির জন্য তেমন আয়-উপার্জন হয় নাই। আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৪০ টাকা আয় হয়েছে। সকাল থেকে তিনবার বৃষ্টিতে ভিজছি, এই শরীরে বেশি পরিশ্রম কুলায় না। তাই কামাইও কম।’ নিজের উপার্জন কমলেও বৃষ্টি নিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই। কারণ, এই বৃষ্টি গ্রামের কৃষকের জন্য প্রয়োজন বলে জানালেন তিনি।
মোহাম্মদপুরে থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী রিজভান শিহাব। করপোরেট চাকুরে হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি যা-ই হোক, তাঁকে কাজে পৌঁছাতে হয় ঠিক সময়ে। ব্যক্তিগতভাবে বৃষ্টি পছন্দ হলেও চলাচলের ক্ষেত্রে বৃষ্টি তাঁর জন্য ভোগান্তির কারণ। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি মানেই গরমে শান্তি, এই বিষয়টা আমরা যারা গণপরিবহন ব্যবহার করি, তাদের কাছে মিথ্যে। বৃষ্টির মাঝে অধিকাংশ সময়ই বাস পাওয়া যায় না, আর বাস পেলেও অধিক যাত্রীর জন্য বাসের ভেতর থাকে ভ্যাপসা গরম ৷ তবুও সব মেনেই অফিস ছুটতে হয়।’
ধানমন্ডি ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় মিডলাইন বাসের চালক তৌহিদ মিয়ার সঙ্গে। বৃষ্টির সময়টা তাঁর জন্য বাড়তি চাপের বলে মনে করেন এই চালক। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির সময় যাত্রী কম থাকে। যাত্রীর লাইগা স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ডে বইয়া থাকন লাগে। রোডে বাইর অইলে সময়মতো পৌঁছান যায় না। বাস ছাড়তে লেট হইলে যাত্রীরা গালাগালি করে। আবার যাত্রী বেশি উঠাইলেও যাত্রীরা গালাগালি করে।’
ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। বৃষ্টি হলে এই এলাকায় মানুষ কমে যায়, ভাটা পড়ে তাঁর বিক্রিতে। ঈদের পরে পুরো সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে তাঁকে ক্রেতাসংকটে ভুগতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হইল বড়লোকের জন্য আনন্দের। আমাগো জন্যে কষ্টের। আমাগো বিপদ সব জায়গায়।’
সরোবরেই কথা হয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা সানজিদ হোসেনের সঙ্গে। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা এই তরুণ বলেন, বৃষ্টি ভালো লাগে। আলাদা করে কবিতার ভাষায় ব্যক্ত করার অনুভূতি নেই। সুস্থ থাকলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র এক মিলিমিটার, যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম। তবুও এই বৃষ্টি কারও কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস।
ইটপাথরের অবকাঠামোয় ছেয়ে গেছে যে শহরের আকাশ, সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেওয়া যাচ্ছে বৃষ্টির ফোঁটা। বৃষ্টির স্পর্শ শিহরণ জাগায় মন, প্রাণ ও সারা শরীরে। ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে বসে এগুলো বৃষ্টিবিলাস মনে হলেও, ঘর ছেড়ে বাইরে এলেই বদলে যায় পরিবেশ-পরিস্থিতি। কখনো থেমে থেমে, কখনো ঝুমবৃষ্টি দুর্ভোগে ফেলছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। রাস্তাই যাদের উপার্জনের একমাত্র ক্ষেত্র, তাদের জন্য এই বৃষ্টি শরীরে শীতলতা দিলেও, মনে জাগায় শঙ্কা।
সারা দেশের মতো গতকাল রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি নিয়ে মিশ্র অনুভূতি জানিয়েছে নগরবাসী। আপনার চোখে ঢাকা শহরের বৃষ্টি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে বৃষ্টিভেজা ঠোঁটে শুষ্ক হাসি দিলেন রিকশাচালক মো. বাবুল মিয়া। সত্তর ছুঁই ছুঁই বাবুল আট বছর ধরে এখানে রিকশা চালান। তিনি বলেন, ‘আমার উপার্জনের টাকায় সংসার চলে। সারা সপ্তাহে বৃষ্টির জন্য তেমন আয়-উপার্জন হয় নাই। আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৪০ টাকা আয় হয়েছে। সকাল থেকে তিনবার বৃষ্টিতে ভিজছি, এই শরীরে বেশি পরিশ্রম কুলায় না। তাই কামাইও কম।’ নিজের উপার্জন কমলেও বৃষ্টি নিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই। কারণ, এই বৃষ্টি গ্রামের কৃষকের জন্য প্রয়োজন বলে জানালেন তিনি।
মোহাম্মদপুরে থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী রিজভান শিহাব। করপোরেট চাকুরে হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি যা-ই হোক, তাঁকে কাজে পৌঁছাতে হয় ঠিক সময়ে। ব্যক্তিগতভাবে বৃষ্টি পছন্দ হলেও চলাচলের ক্ষেত্রে বৃষ্টি তাঁর জন্য ভোগান্তির কারণ। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি মানেই গরমে শান্তি, এই বিষয়টা আমরা যারা গণপরিবহন ব্যবহার করি, তাদের কাছে মিথ্যে। বৃষ্টির মাঝে অধিকাংশ সময়ই বাস পাওয়া যায় না, আর বাস পেলেও অধিক যাত্রীর জন্য বাসের ভেতর থাকে ভ্যাপসা গরম ৷ তবুও সব মেনেই অফিস ছুটতে হয়।’
ধানমন্ডি ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় মিডলাইন বাসের চালক তৌহিদ মিয়ার সঙ্গে। বৃষ্টির সময়টা তাঁর জন্য বাড়তি চাপের বলে মনে করেন এই চালক। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির সময় যাত্রী কম থাকে। যাত্রীর লাইগা স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ডে বইয়া থাকন লাগে। রোডে বাইর অইলে সময়মতো পৌঁছান যায় না। বাস ছাড়তে লেট হইলে যাত্রীরা গালাগালি করে। আবার যাত্রী বেশি উঠাইলেও যাত্রীরা গালাগালি করে।’
ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। বৃষ্টি হলে এই এলাকায় মানুষ কমে যায়, ভাটা পড়ে তাঁর বিক্রিতে। ঈদের পরে পুরো সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে তাঁকে ক্রেতাসংকটে ভুগতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হইল বড়লোকের জন্য আনন্দের। আমাগো জন্যে কষ্টের। আমাগো বিপদ সব জায়গায়।’
সরোবরেই কথা হয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা সানজিদ হোসেনের সঙ্গে। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা এই তরুণ বলেন, বৃষ্টি ভালো লাগে। আলাদা করে কবিতার ভাষায় ব্যক্ত করার অনুভূতি নেই। সুস্থ থাকলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র এক মিলিমিটার, যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম। তবুও এই বৃষ্টি কারও কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে