সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভুগছে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বিপুলসংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর একমাত্র অবলম্বন এলাকার পুকুরগুলোর পানি। কিন্তু দীর্ঘদিন খনন না করা, শুষ্ক মৌসুম ও দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। এতে সুপেয় পানির অভাব আরও বেড়েছে, বিশেষ করে এই রমজানে এলাকাবাসী অবর্ণনীয় কষ্টের মুখে পড়েছে।
মোংলাবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো সুপেয় খাবার পানির। সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার নলকূপগুলো থেকে লবণপানি ওঠে। এ কারণে উপজেলাবাসীকে বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে বাধ্য হয়েই পুকুরের পানি পান করে চাহিদা মেটাতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাতে গোনা কয়েকটি সুপেয় পানির পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর থেকেই খাবার পানি সংগ্রহ করেন উপজেলাবাসী। সব থেকে বেশি দুর্দশা উপজেলার চাঁদপাই ও চিলা ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের। সুপেয় পানির জন্য দশটি গ্রামের মানুষকে একটি ছোট্ট পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও জানা গেছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ পুকুরের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় দূর–দূরান্তর পুকুর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে গ্রামবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের শিউলী বেগম বলেন, ‘চার মাইল হেঁটে তুষার বাবুর পুকুর থেকে এক কলস পানি নিয়ে আসি। যেতে-আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। তিনজন মানুষের সংসারে রান্না করতে ও খেতে চাইর কলস পানি লাগে। সকালে দুবার পানি আনতে যাই। বিকেলে দুবার যাই। সারা দিনে পানির জন্য চার ঘণ্টা সময় যায়, কষ্টের কথা আর কি বলব। এই কয় ঘণ্টা কারওর বাড়িতে কাজ করলেও দুইশত টাকা পেতাম। পানি ছাড়া যদি বাঁচা যেত তাহলে এত কষ্ট করা লাগত না।
সোনাইলতলা ইউনিয়নের জয় খাঁ গ্রামের আ. কালাম বলেন, ‘এ গ্রামের একমাত্র মিষ্টি পানির পুকুরের পানি খেয়ে বেঁচে রয়েছেন উপজেলার ৪ ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষ। প্রতিদিন বহু দূর-দুরান্ত থেকে নারী ও পুরুষ খাওয়ার পানি সংগ্রহের জন্য এ পুকুরে আসেন। পানির জন্য এ হাহাকার চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।’
চিলা গ্রামের অসীম মণ্ডল জানান, ‘ক্ষেত্র বিশেষে ১০–১৫ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে এক কলস খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ কাজ বিশেষত নারীরা করে থাকেন। পার্শ্ববর্তী রামপাল থানার একটি পুকুরের পানির ওপর চার গ্রামের মানুষকে নির্ভর করতে হচ্ছে। আর যাঁরা ভ্যানওয়ালাদের কাছ থেকে পানি কিনছেন তাঁদের ২৫ লিটার পানি ২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।
মিঠেখালী গ্রামের ৮০ বছর বয়স্ক প্রবীণ আ. কাদের বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পানির কষ্ট দেখে আসছি। তারপর পাকিস্তান আমল গেল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, কত সরকার ক্ষমতায় আসল-গেল, কিন্তু আমাদের পানির কষ্ট দূর হলো না। শেখ হাসিনা যদি আমাদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য কিছু করত তাহলে আমরা বেঁচে যেতাম।’
উপজেলা প্রশাসন পানির কষ্ট দূর করার জন্য কি করছে এর জবাবে মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের এ এলাকায় পুকুর খনন বা সংস্কারের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আমরা উপজেলায় বেশ কয়েকটি মিষ্টি পানির পুকুর খনন করেছি, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলাবাসীকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য পানির ট্যাংক দেয়। উপজেলার সবাইকে যদি ট্যাংক দেওয়া হতো তাহলে কিছুটা হলেও উপকার হতো। সরকারের উচিত, লবণপানি অধ্যুষিত মোংলার জন্য আলাদা বরাদ্দ দেওয়া।’
সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভুগছে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বিপুলসংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর একমাত্র অবলম্বন এলাকার পুকুরগুলোর পানি। কিন্তু দীর্ঘদিন খনন না করা, শুষ্ক মৌসুম ও দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। এতে সুপেয় পানির অভাব আরও বেড়েছে, বিশেষ করে এই রমজানে এলাকাবাসী অবর্ণনীয় কষ্টের মুখে পড়েছে।
মোংলাবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো সুপেয় খাবার পানির। সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার নলকূপগুলো থেকে লবণপানি ওঠে। এ কারণে উপজেলাবাসীকে বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে বাধ্য হয়েই পুকুরের পানি পান করে চাহিদা মেটাতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাতে গোনা কয়েকটি সুপেয় পানির পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর থেকেই খাবার পানি সংগ্রহ করেন উপজেলাবাসী। সব থেকে বেশি দুর্দশা উপজেলার চাঁদপাই ও চিলা ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের। সুপেয় পানির জন্য দশটি গ্রামের মানুষকে একটি ছোট্ট পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও জানা গেছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ পুকুরের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় দূর–দূরান্তর পুকুর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে গ্রামবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের শিউলী বেগম বলেন, ‘চার মাইল হেঁটে তুষার বাবুর পুকুর থেকে এক কলস পানি নিয়ে আসি। যেতে-আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। তিনজন মানুষের সংসারে রান্না করতে ও খেতে চাইর কলস পানি লাগে। সকালে দুবার পানি আনতে যাই। বিকেলে দুবার যাই। সারা দিনে পানির জন্য চার ঘণ্টা সময় যায়, কষ্টের কথা আর কি বলব। এই কয় ঘণ্টা কারওর বাড়িতে কাজ করলেও দুইশত টাকা পেতাম। পানি ছাড়া যদি বাঁচা যেত তাহলে এত কষ্ট করা লাগত না।
সোনাইলতলা ইউনিয়নের জয় খাঁ গ্রামের আ. কালাম বলেন, ‘এ গ্রামের একমাত্র মিষ্টি পানির পুকুরের পানি খেয়ে বেঁচে রয়েছেন উপজেলার ৪ ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষ। প্রতিদিন বহু দূর-দুরান্ত থেকে নারী ও পুরুষ খাওয়ার পানি সংগ্রহের জন্য এ পুকুরে আসেন। পানির জন্য এ হাহাকার চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।’
চিলা গ্রামের অসীম মণ্ডল জানান, ‘ক্ষেত্র বিশেষে ১০–১৫ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে এক কলস খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ কাজ বিশেষত নারীরা করে থাকেন। পার্শ্ববর্তী রামপাল থানার একটি পুকুরের পানির ওপর চার গ্রামের মানুষকে নির্ভর করতে হচ্ছে। আর যাঁরা ভ্যানওয়ালাদের কাছ থেকে পানি কিনছেন তাঁদের ২৫ লিটার পানি ২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।
মিঠেখালী গ্রামের ৮০ বছর বয়স্ক প্রবীণ আ. কাদের বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পানির কষ্ট দেখে আসছি। তারপর পাকিস্তান আমল গেল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, কত সরকার ক্ষমতায় আসল-গেল, কিন্তু আমাদের পানির কষ্ট দূর হলো না। শেখ হাসিনা যদি আমাদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য কিছু করত তাহলে আমরা বেঁচে যেতাম।’
উপজেলা প্রশাসন পানির কষ্ট দূর করার জন্য কি করছে এর জবাবে মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের এ এলাকায় পুকুর খনন বা সংস্কারের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আমরা উপজেলায় বেশ কয়েকটি মিষ্টি পানির পুকুর খনন করেছি, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলাবাসীকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য পানির ট্যাংক দেয়। উপজেলার সবাইকে যদি ট্যাংক দেওয়া হতো তাহলে কিছুটা হলেও উপকার হতো। সরকারের উচিত, লবণপানি অধ্যুষিত মোংলার জন্য আলাদা বরাদ্দ দেওয়া।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪