মাহিদুল ইসলাম কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে ঢুকলে চোখে পড়বে ধলাই নদ। এর পাড়ঘেঁষে একটু সামনে গেলে দেখা যাবে লাল ইটের তৈরি এক দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন। এ ভবনের স্থাপত্য নকশা করা হয়েছে মণিপুরী শাড়ির পাড়ের নকশা মৈরাং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। যে ভবনটির কথা আমরা বলছি, সেটি মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। এই অঞ্চলের মণিপুরি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশের জন্য তৈরি হয়েছে এটি। গত বছর নির্মিত নতুন ভবনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হলেও এই একাডেমির ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরোনো।
১৯৭৬ সালে প্রথম মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীননাথ সিংহ মণিপুরিদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের দাবি পেশ করেন গণভবনে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন কার্যকর হওয়ার পর ২০১০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি সে আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চারতলাবিশিষ্ট আধুনিক ললিতকলা একাডেমি, অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়।
বর্তমানে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে মণিপুরি নৃত্য, সাধারণ নৃত্য, মৃদঙ্গ প্রশিক্ষণ, তবলা প্রশিক্ষণ, সাধারণ সংগীত, মণিপুরি সংগীত, নাটক, কম্পিউটার, সেলাই, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও বর্ণমালা এবং তাঁত বয়ন। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এখানে স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স চালু রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির নামের মধ্যে ‘মণিপুরী’ শব্দটি থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানে সাঁওতাল, গারো, লোহার, চা-শ্রমিক, শব্দকর, রবিদাশ, খাসি, ত্রিপুরা, মুন্ডা, ওঁরাওসহ ১৯টি জনগোষ্ঠীর মানুষ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছিল এই একাডেমির নাচের দল। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে একাডেমির মৃদঙ্গ বাদক দল অংশগ্রহণ করে। সব মিলিয়ে এই এলাকার মানুষের গর্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি।
মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ। তিনি জানান, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এই একাডেমি আজ সিলেট অঞ্চলের সব নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
নিয়মিত না হলেও একাডেমি থেকে মাঝে মাঝে প্রকাশিত হয় একটি ম্যাগাজিন। এ ব্যাপারে একাডেমির গবেষক প্রভাস কুমার সিংহের সঙ্গে কথা হয়। চলতি বছর নতুন ভবনে নতুনভাবে গবেষণার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
খাসি জনগোষ্ঠীর সিলেট অঞ্চলের নেতা সুচিয়ান কডোর জানান, একাডেমির নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সবার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির উপপরিচালক কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন। একাডেমির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানান, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিকে সরকার একটি সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক ইনস্টিটিউশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সবাই। কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো এখানে সাঁওতালদের সোহরাই উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল। শব্দকরদের ধামাইল উৎসব, মণিপুরিদের বিষু উৎসব হয়েছে এই একাডেমির আয়োজনে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে ঢুকলে চোখে পড়বে ধলাই নদ। এর পাড়ঘেঁষে একটু সামনে গেলে দেখা যাবে লাল ইটের তৈরি এক দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন। এ ভবনের স্থাপত্য নকশা করা হয়েছে মণিপুরী শাড়ির পাড়ের নকশা মৈরাং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। যে ভবনটির কথা আমরা বলছি, সেটি মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। এই অঞ্চলের মণিপুরি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশের জন্য তৈরি হয়েছে এটি। গত বছর নির্মিত নতুন ভবনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হলেও এই একাডেমির ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরোনো।
১৯৭৬ সালে প্রথম মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীননাথ সিংহ মণিপুরিদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের দাবি পেশ করেন গণভবনে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন কার্যকর হওয়ার পর ২০১০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি সে আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চারতলাবিশিষ্ট আধুনিক ললিতকলা একাডেমি, অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়।
বর্তমানে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে মণিপুরি নৃত্য, সাধারণ নৃত্য, মৃদঙ্গ প্রশিক্ষণ, তবলা প্রশিক্ষণ, সাধারণ সংগীত, মণিপুরি সংগীত, নাটক, কম্পিউটার, সেলাই, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও বর্ণমালা এবং তাঁত বয়ন। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এখানে স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স চালু রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির নামের মধ্যে ‘মণিপুরী’ শব্দটি থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানে সাঁওতাল, গারো, লোহার, চা-শ্রমিক, শব্দকর, রবিদাশ, খাসি, ত্রিপুরা, মুন্ডা, ওঁরাওসহ ১৯টি জনগোষ্ঠীর মানুষ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছিল এই একাডেমির নাচের দল। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে একাডেমির মৃদঙ্গ বাদক দল অংশগ্রহণ করে। সব মিলিয়ে এই এলাকার মানুষের গর্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি।
মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ। তিনি জানান, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এই একাডেমি আজ সিলেট অঞ্চলের সব নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
নিয়মিত না হলেও একাডেমি থেকে মাঝে মাঝে প্রকাশিত হয় একটি ম্যাগাজিন। এ ব্যাপারে একাডেমির গবেষক প্রভাস কুমার সিংহের সঙ্গে কথা হয়। চলতি বছর নতুন ভবনে নতুনভাবে গবেষণার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
খাসি জনগোষ্ঠীর সিলেট অঞ্চলের নেতা সুচিয়ান কডোর জানান, একাডেমির নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সবার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির উপপরিচালক কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন। একাডেমির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানান, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিকে সরকার একটি সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক ইনস্টিটিউশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সবাই। কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো এখানে সাঁওতালদের সোহরাই উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল। শব্দকরদের ধামাইল উৎসব, মণিপুরিদের বিষু উৎসব হয়েছে এই একাডেমির আয়োজনে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে