সম্পাদকীয়
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। পরিবার থেকে কোনো রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা পাননি। ক্যাডেট কলেজ শিখিয়েছিল, যা-ই হোক না কেন, পাকিস্তানই ফার্স্ট। কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁর মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে একাত্তর পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছে, তাতে মোটেই আলোড়িত হননি সৈয়দ জামিল আহমেদ; বরং তিনি বুঝতে পারতেন না, কেন পাকিস্তান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। একবার তো বেফাঁস কথা বলতে গিয়ে একটুর জন্য মারের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।
সাতই মার্চের ভাষণও তাঁকে স্বাধিকারের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেনি; বরং পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে তিনি ভাবতেন, এসব কী কথা! এরা পাকিস্তান ভাঙবে নাকি?
বোধোদয় হলো ২৬ মার্চ। ২৬ মার্চ রাত দুটোর সময় জামিলকে ডেকে তুলেছিলেন তাঁর বাবা। সে সময় তাঁরা থাকতেন সিদ্ধেশ্বরীতে। বাড়ি থেকে দক্ষিণের দিকে তাকিয়ে দেখেন লাল আকাশ। এ রকম লাল আকাশ তিনি আগে কখনো দেখেননি। ২৭ মার্চ দুই ঘণ্টার জন্য কারফিউ তুলে নিলে শান্তিনগর বাজার, গুলিস্তান, কাঠপট্টি, নয়াবাজার ঘুরে দেখলেন সব পুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ফিরে আসছিলেন যখন, তখন গুলিস্তান সিনেমা হলের পাশে একজন মানুষের লাশ দেখতে পেলেন। খুলি উড়ে গেছে। মগজটা যেন ফাঁকা কতবেল। দেখেই বোঝা যায়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে অল্প কিছুক্ষণ আগে। মাথা ফাঁকা, মাছি ভন ভন করছে। শান্তিনগর বাজার যেন পোড়ো ভূমি।
এসব দেখার পর সৈয়দ জামিল আহমেদকে আর কিছু বলে দিতে হয়নি। তিনি উপলব্ধি করলেন—আর কেন পাকিস্তান?
পাকিস্তানের প্রেমে মত্ত ছেলেটি এরপর ঢাকা শহরেই ৫-৬টা অপারেশন করেছেন। যুদ্ধের সময় পিন খুলে ক্লিপের ওপর হাতের বুড়ো আঙুল চাপা দিয়ে একটা গ্রেনেড পকেটে নিয়ে হাঁটতেন তিনি। যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলে আসে, গ্রেনেডের পিন খুলতে সময় লাগবে, সেটা ভেবেই সেভাবে চলতেন। সেই লাজুক ছেলেটাকে একাত্তর শিখিয়েছে ভয় না পেতে।
সূত্র: সাখাওয়াত টিপু সম্পাদিত ‘তর্কবাংলা’, পৃষ্ঠা ৪৮-৫০
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। পরিবার থেকে কোনো রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা পাননি। ক্যাডেট কলেজ শিখিয়েছিল, যা-ই হোক না কেন, পাকিস্তানই ফার্স্ট। কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁর মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে একাত্তর পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছে, তাতে মোটেই আলোড়িত হননি সৈয়দ জামিল আহমেদ; বরং তিনি বুঝতে পারতেন না, কেন পাকিস্তান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। একবার তো বেফাঁস কথা বলতে গিয়ে একটুর জন্য মারের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।
সাতই মার্চের ভাষণও তাঁকে স্বাধিকারের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেনি; বরং পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে তিনি ভাবতেন, এসব কী কথা! এরা পাকিস্তান ভাঙবে নাকি?
বোধোদয় হলো ২৬ মার্চ। ২৬ মার্চ রাত দুটোর সময় জামিলকে ডেকে তুলেছিলেন তাঁর বাবা। সে সময় তাঁরা থাকতেন সিদ্ধেশ্বরীতে। বাড়ি থেকে দক্ষিণের দিকে তাকিয়ে দেখেন লাল আকাশ। এ রকম লাল আকাশ তিনি আগে কখনো দেখেননি। ২৭ মার্চ দুই ঘণ্টার জন্য কারফিউ তুলে নিলে শান্তিনগর বাজার, গুলিস্তান, কাঠপট্টি, নয়াবাজার ঘুরে দেখলেন সব পুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ফিরে আসছিলেন যখন, তখন গুলিস্তান সিনেমা হলের পাশে একজন মানুষের লাশ দেখতে পেলেন। খুলি উড়ে গেছে। মগজটা যেন ফাঁকা কতবেল। দেখেই বোঝা যায়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে অল্প কিছুক্ষণ আগে। মাথা ফাঁকা, মাছি ভন ভন করছে। শান্তিনগর বাজার যেন পোড়ো ভূমি।
এসব দেখার পর সৈয়দ জামিল আহমেদকে আর কিছু বলে দিতে হয়নি। তিনি উপলব্ধি করলেন—আর কেন পাকিস্তান?
পাকিস্তানের প্রেমে মত্ত ছেলেটি এরপর ঢাকা শহরেই ৫-৬টা অপারেশন করেছেন। যুদ্ধের সময় পিন খুলে ক্লিপের ওপর হাতের বুড়ো আঙুল চাপা দিয়ে একটা গ্রেনেড পকেটে নিয়ে হাঁটতেন তিনি। যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলে আসে, গ্রেনেডের পিন খুলতে সময় লাগবে, সেটা ভেবেই সেভাবে চলতেন। সেই লাজুক ছেলেটাকে একাত্তর শিখিয়েছে ভয় না পেতে।
সূত্র: সাখাওয়াত টিপু সম্পাদিত ‘তর্কবাংলা’, পৃষ্ঠা ৪৮-৫০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে