ঘুষের লেনদেন স্পষ্ট হারাম

মেহেদী হাসান সাকিফ
Thumbnail image

ঘুষের লেনদেন আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছোট-বড় প্রায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের কথা কারও অজানা নয়। অনেক ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ঘুষের প্রচলন কমার নামগন্ধ নেই। বরং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইসলামে ঘুষ গ্রহণ কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)

অন্যায় সুবিধা গ্রহণের জন্য যেকোনো ধরনের সুবিধা ও আর্থিক লেনদেনকেই ঘুষের অন্তর্ভুক্ত করে ইসলাম। তা যে নামেই প্রচলিত থাকুক না কেন। হাদিয়া, বকশিশ, উপরি আয়, অফিস খরচ, চা-নাশতার খরচ—যে নামেই ডাকুন, ইসলামে তা ঘুষ হিসেবেই গণ্য হবে। রাসুল (সা.)-এর দরবারে এক কর্মচারী কিছু সম্পদ এনে (সেখান থেকে কিছু আলাদা করে) বলল, ‘এটা আপনাদের (বায়তুল মাল) সম্পদ আর এটি আমাকে দেওয়া হাদিয়া।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সে তার মা-বাবার ঘরে বসে থাকল না কেন—তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না?’ (বুখারি)

ঘুষগ্রহীতা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য যোগ্য ব্যক্তির অধিকার নষ্ট করে। অনেকে ঘুষের বিনিময়ে অন্যায়-অনাচারের অনুমোদন দিয়ে দেয়। মহানবী (সা.) ঘুষের লেনদেনে জড়িত সবাইকে অভিশপ্ত বলেছেন। (মুসলিম) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়েই জাহান্নামি।’ (তাবরানি)

ঘুষের কারণে বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে যাচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। তাই ইসলামে ঘুষের লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুষের মতো অবৈধ আয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ইবাদত কবুল করবেন না আল্লাহ তাআলা। হাদিসে এসেছে, ‘বৈধ আয়ের ইবাদত ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হবে না।’ (মুসলিম) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত