কর্ণফুলী পেপার মিল: ১৯২ কোটি টাকা ঢেলেও সাদা হয়নি কাগজ

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ০২
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ১২

কাগজ সাদা ধবধবে করে উন্নত মান নিশ্চিত করতে ১৯২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) কর্তৃপক্ষ। সেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও ১০ বছর আগে। কিন্তু কাগজ সাদাও হয়নি, ‘উন্নতমানের’ কাগজও পাওয়া যায়নি কেপিএম থেকে।

সেই কেপিএম এখন আবার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতে যাচ্ছে। ইন্টিগ্রেটেড প্রকল্প নামে এই প্রকল্প গ্রহণের তোড়জোড় চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কেপিএম থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মন্ড পরিষ্কার করে উন্নত সাদা ধবধবে কাগজ তৈরি করতে ১৯২ কোটি টাকার প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। পরের বছর শুরু হয় প্রকল্পের কাজ, শেষ হয় ২০১৩ সালে। ওই প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয় ব্লিচিং টাওয়ার। কিন্তু প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এক দিনের জন্যও চালু হয়নি ব্লিচিং টাওয়ার। আধুনিকায়ন না হওয়া ১০ বছর ধরে ওই প্রকল্প থেকে কোনো সুবিধাই নিতে পারছে না কেপিএম।

সম্প্রতি প্রকল্পস্থল ঘুরে দেখা যায়, পেপার মিলের মূল কারখানা ভবনের ঠিক দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ব্লিচিং টাওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এটি বন্ধ রয়েছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশনস) মাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্লিচিং টাওয়ার প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। এই ত্রুটির কারণ হিসেবে একটি ছোটখাটো দুর্ঘটনার কথাও বলেন তিনি।  

জানতে চাইলে কর্ণফুলী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত কথা বলতে চাননি। একপর্যায়ে তিনি নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতেও বারণ করেন।

আর প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন কেপিএমের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বাদশা (বর্তমানে ছাতক সিমেন্টের প্রকল্প পরিচালক) বলেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পর ব্লিচিং টাওয়ার প্রকল্প থেকে কোনো সুবিধা পায়নি কেপিএম। এখন আমি অন্য স্টেশনে আছি। এ নিয়ে আর বেশি কথা বলতে চাই না।’

এই অবস্থায় কেপিএমের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এখন আবার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্টিগ্রেটেড প্রকল্প বানানোর আয়োজন করছে বলে জানা গেছে। গত আগস্ট মাসে ওয়াসো নামের একটি সংস্থাকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসোর প্রকৌশলী এম কে রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেপিএমে ইন্টিগ্রেটেড পাঁচটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আমাদের বিসিআইসি নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের কাজ শেষ দিকে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত