সম্পাদকীয়
অন্য অনেক বিজ্ঞানীর মতোই সত্যেন বোস ছিলেন আত্মভোলা এক মানুষ। চেহারার মধ্যে ছিল উড়ু-উড়ু রোমান্টিকতা। তিনি তখন বসতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পশ্চিম দিকের একটা ঘরে। দিন-দুনিয়া বলে কিছু যে আছে, সেটা বেশির ভাগ সময়ই তাঁর মনে থাকত না। থেকেছেন অঙ্কের নেশায়, আবিষ্কারের নেশায়।
ছাত্রদের মধ্যে কে হিন্দু, কে মুসলমান, সেসব নিয়ে ভাবেননি। কেউ ভালো কিছু করলেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। একবার কাজী মোতাহার হোসেন বাংলায় কিছু লিখেছিলেন, সেটা পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন সত্যেন বোস। সবাইকে ডেকে ডেকে বলছিলেন, ‘দেখো দেখো, আমার ছেলে এ রকম বাংলায় লিখেছে, তোমরা কেউ কি এ রকম বাংলা লিখতে পারো?’
একবার মেয়েকে নিয়ে গেছেন মুকুল সিনেমায় ছবি দেখতে। সবাই যে রকম যায়, টিকিট কাটে, সেভাবেই গেছেন, কিন্তু সবার বেলায় যা ঘটে, তাঁর বেলায় তা ঘটবে কেন? টিকিট করতে হলে টাকা লাগে আর টাকা থাকে মানিব্যাগে। একটু পরেই তিনি আবিষ্কার করলেন, সঙ্গে মানিব্যাগ নেই। মেয়েকে নিয়ে এসেছেন, সিনেমা না দেখিয়ে ফেরেন কী করে! মেয়েকে বললেন, ‘মা, তুই এখানে বস। আমি বাড়ি থেকে মানিব্যাগটা নিয়ে আসি।’
ঘোড়ার গাড়িতে করে তিনি বাড়ি ফিরলেন। টেবিলেই ছিল মানিব্যাগ। সেটি হাতে নিতে গিয়ে দেখলেন, পাশেই একটি আনসলভড অঙ্ক। মুহূর্তে ভুলে গেলেন পূর্বাপর। বসে পড়লেন সমাধান করতে। অনেকক্ষণ পর গাড়োয়ান সাহস করে এসে বলল, ‘হুজুর, আপনি যাবেন না? আপনার মেয়েকে আপনি সিনেমা হলে বসিয়ে রেখে এসেছেন।’
হুঁশ হলো সত্যেন বোসের। ‘ও, তাই তো! মেয়েকে সিনেমা হলে রেখে এসেছি, চলো চলো।’
কর্মীরা অবশ্য সত্যেন বোসের মেয়েকে চিনতে পেরে সিনেমা হলের সিটে বসিয়ে দিয়েছিল। সত্যেন বোস যাওয়ার পর তারা বলল, ‘সিনেমা তো এখনই শেষ হয়ে যাবে। আপনি একটু অপেক্ষা করুন, ও বেরিয়ে আসবে।’
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, আমি সরদার বলছি, পৃষ্ঠা ৩০
অন্য অনেক বিজ্ঞানীর মতোই সত্যেন বোস ছিলেন আত্মভোলা এক মানুষ। চেহারার মধ্যে ছিল উড়ু-উড়ু রোমান্টিকতা। তিনি তখন বসতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পশ্চিম দিকের একটা ঘরে। দিন-দুনিয়া বলে কিছু যে আছে, সেটা বেশির ভাগ সময়ই তাঁর মনে থাকত না। থেকেছেন অঙ্কের নেশায়, আবিষ্কারের নেশায়।
ছাত্রদের মধ্যে কে হিন্দু, কে মুসলমান, সেসব নিয়ে ভাবেননি। কেউ ভালো কিছু করলেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। একবার কাজী মোতাহার হোসেন বাংলায় কিছু লিখেছিলেন, সেটা পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন সত্যেন বোস। সবাইকে ডেকে ডেকে বলছিলেন, ‘দেখো দেখো, আমার ছেলে এ রকম বাংলায় লিখেছে, তোমরা কেউ কি এ রকম বাংলা লিখতে পারো?’
একবার মেয়েকে নিয়ে গেছেন মুকুল সিনেমায় ছবি দেখতে। সবাই যে রকম যায়, টিকিট কাটে, সেভাবেই গেছেন, কিন্তু সবার বেলায় যা ঘটে, তাঁর বেলায় তা ঘটবে কেন? টিকিট করতে হলে টাকা লাগে আর টাকা থাকে মানিব্যাগে। একটু পরেই তিনি আবিষ্কার করলেন, সঙ্গে মানিব্যাগ নেই। মেয়েকে নিয়ে এসেছেন, সিনেমা না দেখিয়ে ফেরেন কী করে! মেয়েকে বললেন, ‘মা, তুই এখানে বস। আমি বাড়ি থেকে মানিব্যাগটা নিয়ে আসি।’
ঘোড়ার গাড়িতে করে তিনি বাড়ি ফিরলেন। টেবিলেই ছিল মানিব্যাগ। সেটি হাতে নিতে গিয়ে দেখলেন, পাশেই একটি আনসলভড অঙ্ক। মুহূর্তে ভুলে গেলেন পূর্বাপর। বসে পড়লেন সমাধান করতে। অনেকক্ষণ পর গাড়োয়ান সাহস করে এসে বলল, ‘হুজুর, আপনি যাবেন না? আপনার মেয়েকে আপনি সিনেমা হলে বসিয়ে রেখে এসেছেন।’
হুঁশ হলো সত্যেন বোসের। ‘ও, তাই তো! মেয়েকে সিনেমা হলে রেখে এসেছি, চলো চলো।’
কর্মীরা অবশ্য সত্যেন বোসের মেয়েকে চিনতে পেরে সিনেমা হলের সিটে বসিয়ে দিয়েছিল। সত্যেন বোস যাওয়ার পর তারা বলল, ‘সিনেমা তো এখনই শেষ হয়ে যাবে। আপনি একটু অপেক্ষা করুন, ও বেরিয়ে আসবে।’
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, আমি সরদার বলছি, পৃষ্ঠা ৩০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে