রজত কান্তি রায়, ঢাকা
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ও সুন্দরবন হোটেলের মাঝখানে যে শ্রীহীন পার্ক, সেটির নাম পান্থকুঞ্জ। তখন দুপুর। শামিয়ানা টাঙানো শেডের নিচে বসে বিভিন্ন বয়সী বেশ কিছু মানুষ খাবার খাচ্ছেন। কেউ খাবার নেওয়ার জন্য নাম লিখে দিচ্ছেন। দেখেই বুঝবেন, এই মানুষগুলো রাজধানী ঢাকায় ভীষণভাবে প্রান্তিক! এ হোটেলে খেতে টাকা লাগে না, কিন্তু করতে হয় যেকোনো একটি ভালো কাজ! এ হোটেল ‘ভালো কাজের হোটেল’ হিসেবে বিখ্যাত।
ব্যাপক কৌতূহলে শীতের এক দুপুরে হোটেলটিতে ঢুকে গেলাম। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী সেখানে খাবারদাবার তদারক করছিলেন। রুবেল নামের এক স্বেচ্ছাসেবী খাবার খেতে আসা মানুষদের নামধাম লিখে নিচ্ছিলেন। রুবেলের পাশে দাঁড়িয়ে খাবারপ্রত্যাশী মানুষদের ভালো কাজের কথা শুনতে লাগলাম। বিচিত্র সেই সব কাজ। কেউ বললেন, তিনি এক অন্ধকে রাস্তা পার করে দিয়েছেন। কেউ বললেন, তিনি এক সপ্তাহ থেকে আর নেশা করছেন না। রুবেলকে বললাম, সব সত্যি? তিনি হাসলেন। এখানে দিনে দেড়-দুই শ মানুষ খেতে আসেন।
মেয়ের লেমিনেটিং ছবি হাতে এক নারী দাঁড়ালেন লাইনে। চোখ ছলছল। ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন রুবেলের দিকে। রুবেল কিছু বলার আগেই তিনি বললেন, তাঁর মেয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের জন্য ভিক্ষা করছেন। কিন্তু সকালবেলা এক বৃদ্ধাকে ১০ টাকা দিয়েছেন নাশতা খেতে। তাই দুপুরে তিনি এখানে খেতে চান। তাতে যে টাকা বেঁচে যাবে, সেটা মেয়ের চিকিৎসায় খুব দরকার।
রুবেল বাক্যহারা। হাতের ইশারায় খেতে যেতে বললেন। নাম লিখতেও ভুলে গেলেন সেই নারীর। বেশ কিছুক্ষণ এমন সব ঘটনার মুখোমুখি হয়ে এক অদ্ভুত শীতের দুপুর দেখতে দেখতে রাজধানীর জন-অরণ্যে মিশে গেলাম। কিন্তু ভেতরে রয়ে গেল এই অসমাপ্ত গল্প সমাপ্ত করার ইচ্ছা।
দুই দিনের মধ্যে জানতে পারলাম, ঢাকার সবুজবাগ এলাকার কালীবাড়ি পানির পাম্পের পাশে প্রশান্তিবাগে ভালো কাজের হোটেলের রান্নাঘর।গতকাল সেই রান্নাঘরের দরজার সামনে বাইক থেকে যখন নামলাম, সকাল নয়টা। সবুজ ফ্লুরোসেন্ট রঙের টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ দরজা খুলে হাত বাড়িয়ে দিলেন। হাত ঝাঁকিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, দুটি বড় ডেকচিতে রান্না করা ভাত ঢেকে রাখা হয়েছে। বিশাল এক কড়াইয়ে তখন রান্না হচ্ছে সবজি। পাশেই বেশ বড় আকারের একটি গামলায় রাখা আছে ভাজা সেদ্ধ ডিম। জানা গেল, কোনো কোনো দিন এখানেই রান্না হয় খিচুড়ি অথবা পোলাও কিংবা চিকেন বিরিয়ানি! না। এটি কোনো ক্যাটারিং সার্ভিসের রান্নাঘর নয়। এখান থেকেই পান্থকুঞ্জ, সাতরাস্তা, বনানী ১১ নম্বর, কমলাপুর ও খিলগাঁওয়ের যে পাঁচটি ভালো কাজের হোটেল আছে, সেগুলোয় খাবার পাঠানো হয়। এ রান্নাঘরে প্রতিদিন ১১ শ থেকে ১২ শ মানুষের খাবার রান্না করা হয়!
‘ইয়ুথ ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এ প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান। মূলত সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চাঁদার টাকায় চলে প্রকল্পটি। সংগঠনটিতে প্রায় ১৮ শ সদস্য আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতি মাসে আনুমানিক দেড় হাজার সদস্য ৩০০ টাকা করে চাঁদা দেন। সেটার সঙ্গে কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর দেওয়া টাকায় চলে পুরো প্রকল্প।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ও সুন্দরবন হোটেলের মাঝখানে যে শ্রীহীন পার্ক, সেটির নাম পান্থকুঞ্জ। তখন দুপুর। শামিয়ানা টাঙানো শেডের নিচে বসে বিভিন্ন বয়সী বেশ কিছু মানুষ খাবার খাচ্ছেন। কেউ খাবার নেওয়ার জন্য নাম লিখে দিচ্ছেন। দেখেই বুঝবেন, এই মানুষগুলো রাজধানী ঢাকায় ভীষণভাবে প্রান্তিক! এ হোটেলে খেতে টাকা লাগে না, কিন্তু করতে হয় যেকোনো একটি ভালো কাজ! এ হোটেল ‘ভালো কাজের হোটেল’ হিসেবে বিখ্যাত।
ব্যাপক কৌতূহলে শীতের এক দুপুরে হোটেলটিতে ঢুকে গেলাম। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী সেখানে খাবারদাবার তদারক করছিলেন। রুবেল নামের এক স্বেচ্ছাসেবী খাবার খেতে আসা মানুষদের নামধাম লিখে নিচ্ছিলেন। রুবেলের পাশে দাঁড়িয়ে খাবারপ্রত্যাশী মানুষদের ভালো কাজের কথা শুনতে লাগলাম। বিচিত্র সেই সব কাজ। কেউ বললেন, তিনি এক অন্ধকে রাস্তা পার করে দিয়েছেন। কেউ বললেন, তিনি এক সপ্তাহ থেকে আর নেশা করছেন না। রুবেলকে বললাম, সব সত্যি? তিনি হাসলেন। এখানে দিনে দেড়-দুই শ মানুষ খেতে আসেন।
মেয়ের লেমিনেটিং ছবি হাতে এক নারী দাঁড়ালেন লাইনে। চোখ ছলছল। ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন রুবেলের দিকে। রুবেল কিছু বলার আগেই তিনি বললেন, তাঁর মেয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের জন্য ভিক্ষা করছেন। কিন্তু সকালবেলা এক বৃদ্ধাকে ১০ টাকা দিয়েছেন নাশতা খেতে। তাই দুপুরে তিনি এখানে খেতে চান। তাতে যে টাকা বেঁচে যাবে, সেটা মেয়ের চিকিৎসায় খুব দরকার।
রুবেল বাক্যহারা। হাতের ইশারায় খেতে যেতে বললেন। নাম লিখতেও ভুলে গেলেন সেই নারীর। বেশ কিছুক্ষণ এমন সব ঘটনার মুখোমুখি হয়ে এক অদ্ভুত শীতের দুপুর দেখতে দেখতে রাজধানীর জন-অরণ্যে মিশে গেলাম। কিন্তু ভেতরে রয়ে গেল এই অসমাপ্ত গল্প সমাপ্ত করার ইচ্ছা।
দুই দিনের মধ্যে জানতে পারলাম, ঢাকার সবুজবাগ এলাকার কালীবাড়ি পানির পাম্পের পাশে প্রশান্তিবাগে ভালো কাজের হোটেলের রান্নাঘর।গতকাল সেই রান্নাঘরের দরজার সামনে বাইক থেকে যখন নামলাম, সকাল নয়টা। সবুজ ফ্লুরোসেন্ট রঙের টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ দরজা খুলে হাত বাড়িয়ে দিলেন। হাত ঝাঁকিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, দুটি বড় ডেকচিতে রান্না করা ভাত ঢেকে রাখা হয়েছে। বিশাল এক কড়াইয়ে তখন রান্না হচ্ছে সবজি। পাশেই বেশ বড় আকারের একটি গামলায় রাখা আছে ভাজা সেদ্ধ ডিম। জানা গেল, কোনো কোনো দিন এখানেই রান্না হয় খিচুড়ি অথবা পোলাও কিংবা চিকেন বিরিয়ানি! না। এটি কোনো ক্যাটারিং সার্ভিসের রান্নাঘর নয়। এখান থেকেই পান্থকুঞ্জ, সাতরাস্তা, বনানী ১১ নম্বর, কমলাপুর ও খিলগাঁওয়ের যে পাঁচটি ভালো কাজের হোটেল আছে, সেগুলোয় খাবার পাঠানো হয়। এ রান্নাঘরে প্রতিদিন ১১ শ থেকে ১২ শ মানুষের খাবার রান্না করা হয়!
‘ইয়ুথ ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এ প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান। মূলত সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চাঁদার টাকায় চলে প্রকল্পটি। সংগঠনটিতে প্রায় ১৮ শ সদস্য আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতি মাসে আনুমানিক দেড় হাজার সদস্য ৩০০ টাকা করে চাঁদা দেন। সেটার সঙ্গে কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর দেওয়া টাকায় চলে পুরো প্রকল্প।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে