১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সকালে কবীর সুমনের ভবানীপুরের বাড়িতে কড়া নাড়লেন শুভেন্দু মাইতি। একমুখ হাসি নিয়ে নিজের পরিচয় দিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন সুমন। বানাচ্ছিলেন কফি। শুভেন্দু মাইতি সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আমার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিন।’
সুমন এই মানবিক মানুষটির মধ্যে আত্মপ্রত্যয় আর সততারও দেখা পেলেন।
পাশের বাড়ির দুটি বাচ্চা টুইংকল আর টম ততক্ষণে হাজির হয়েছে সুমনের ঘরে। শুভেন্দুবাবু বাচ্চা দুটোকে কোলে নিয়ে বললেন, ‘গান শোনান।’
সুমন গান ধরলেন। সদ্য বাঁধা একটা গান করলেন। তাকিয়ে দেখেন, শুভেন্দুবাবু কাঁদছেন। ধুতির কোঁচা দিয়ে চোখ মুছছেন। সুমনের কাছে শুভেন্দু মাইতির এই ছবিটিই স্থিরচিত্র হয়ে রয়েছে।
এরপর শুভেন্দুদার কথায় ঘরে বসে টেপ রেকর্ডারে তোলা নিজেরই কয়েকটি গান ক্যাসেটে ভরে গ্রামোফোন কোম্পানির সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে হলো সুমনকে। কোম্পানির প্রেসিডেন্টকে গানগুলো শোনানো হলো। তাঁর প্রতিক্রিয়া: ‘এই ব্যক্তির সংগীত সম্পর্কে কোনো আইডিয়া নেই। এর লিরিক নেহাতই মামুলি। বাথরুম সিঙ্গারের মতো গায়।’ এ কথাগুলো জানিয়ে দেওয়া হলো সুমনকে। কিন্তু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বা রবি কিচলু তাতে খুবই খেপে গেলেন। রবিবাবু তো বলেই বসলেন, এই গান রেকর্ড করা না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করবেন।
পদত্যাগ অবশ্য করতে হলো না, রবি কিচলুর অগ্নিমূর্তি দেখে প্রেসিডেন্ট গানগুলো রেকর্ড করার অনুমতি দিলেন এবং ‘তোমাকে চাই’ রেকর্ড হলো। এরপর যা হলো, তা তো ইতিহাস।
রবি কিচলু বাঙালি ছিলেন না। আধুনিক বাংলা গানে নতুন ধারার এই গানগুলোর ক্যাসেট বের হলো একজন অবাঙালির হাত ধরে। ‘তোমাকে চাই’-এর জন্য গোল্ড ডিস্ক আর ‘বসে আঁকো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেই প্রেসিডেন্টই তাঁর পকেট থেকে ‘পার্ট রয়্যালটি পেমেন্ট’-এর চেক বের করে দিয়েছিলেন।
সূত্র: কবীর সুমন, আলখাল্লা, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সকালে কবীর সুমনের ভবানীপুরের বাড়িতে কড়া নাড়লেন শুভেন্দু মাইতি। একমুখ হাসি নিয়ে নিজের পরিচয় দিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন সুমন। বানাচ্ছিলেন কফি। শুভেন্দু মাইতি সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আমার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিন।’
সুমন এই মানবিক মানুষটির মধ্যে আত্মপ্রত্যয় আর সততারও দেখা পেলেন।
পাশের বাড়ির দুটি বাচ্চা টুইংকল আর টম ততক্ষণে হাজির হয়েছে সুমনের ঘরে। শুভেন্দুবাবু বাচ্চা দুটোকে কোলে নিয়ে বললেন, ‘গান শোনান।’
সুমন গান ধরলেন। সদ্য বাঁধা একটা গান করলেন। তাকিয়ে দেখেন, শুভেন্দুবাবু কাঁদছেন। ধুতির কোঁচা দিয়ে চোখ মুছছেন। সুমনের কাছে শুভেন্দু মাইতির এই ছবিটিই স্থিরচিত্র হয়ে রয়েছে।
এরপর শুভেন্দুদার কথায় ঘরে বসে টেপ রেকর্ডারে তোলা নিজেরই কয়েকটি গান ক্যাসেটে ভরে গ্রামোফোন কোম্পানির সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে হলো সুমনকে। কোম্পানির প্রেসিডেন্টকে গানগুলো শোনানো হলো। তাঁর প্রতিক্রিয়া: ‘এই ব্যক্তির সংগীত সম্পর্কে কোনো আইডিয়া নেই। এর লিরিক নেহাতই মামুলি। বাথরুম সিঙ্গারের মতো গায়।’ এ কথাগুলো জানিয়ে দেওয়া হলো সুমনকে। কিন্তু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বা রবি কিচলু তাতে খুবই খেপে গেলেন। রবিবাবু তো বলেই বসলেন, এই গান রেকর্ড করা না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করবেন।
পদত্যাগ অবশ্য করতে হলো না, রবি কিচলুর অগ্নিমূর্তি দেখে প্রেসিডেন্ট গানগুলো রেকর্ড করার অনুমতি দিলেন এবং ‘তোমাকে চাই’ রেকর্ড হলো। এরপর যা হলো, তা তো ইতিহাস।
রবি কিচলু বাঙালি ছিলেন না। আধুনিক বাংলা গানে নতুন ধারার এই গানগুলোর ক্যাসেট বের হলো একজন অবাঙালির হাত ধরে। ‘তোমাকে চাই’-এর জন্য গোল্ড ডিস্ক আর ‘বসে আঁকো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেই প্রেসিডেন্টই তাঁর পকেট থেকে ‘পার্ট রয়্যালটি পেমেন্ট’-এর চেক বের করে দিয়েছিলেন।
সূত্র: কবীর সুমন, আলখাল্লা, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে