যোগেশচন্দ্র ঘোষ
যোগেশচন্দ্র ঘোষ একসময় ছিলেন ভাগলপুর কলেজের অধ্যাপক। সেই কাজে তিনি থেমে থাকেননি। হয়েছেন উদ্যোক্তা। লোকে বলত, হাড় কেপ্প্ন। কিন্তু এই মিতব্যয়িতাই যে তাঁকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে, সেটাও তো জেনে নেওয়া দরকার।
ঢাকা শহরেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন তাঁর সুবিখ্যাত সাধনা ঔষধালয়। ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠান, অথচ তা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। মাত্র ১০-১২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়ে সামলাতেন এই বিপুল সাম্রাজ্য।
একদিন এক কর্মকর্তা হাতের পেনসিলটা নিয়ে এসে বললেন, ‘বাবু, একটা পেনসিল দেন।’
যোগেশচন্দ্র এক সেন্টিমিটার লম্বা পেনসিলটি হাতে নিলেন। ঢোকালেন হোল্ডারে। তারপর লিখলেন কিছু একটা। বললেন, ‘এই তো লেখা যায়, যায় না কে কইল? পেনসিল শ্যাষ হইলে আইস।’
গোমড়ামুখে লোকটা বললেন, ‘আমার খাপে ঢুকলে সিসের ডগা নাগুর পায় না বইলাই তো আইলাম।’
‘আমার হোল্ডার আর তোমার হোল্ডার তো আলাদা না, অম্বিকা। এই তো কেমন সুন্দর লেখা হয়। আরও চার-পাঁচ দিন যাইব।’ ঘরটিতে চক্রাকারে যতগুলো টেবিল, তার সবকটিতেই পেনসিলগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা, যেন একজনের পেনসিল অন্যজন ব্যবহার না করে। পেনসিলের সিস একেবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোল্ডার দিয়ে লিখতে হতো।
সেই যোগেশচন্দ্র ঘোষের কাছে তরুণ মীজানুর রহমান গিয়েছিলেন তাঁর পত্রিকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য। যোগেশবাবু প্রথম সংখ্যাটি দেখে খুশি হলেন। তারপর নড়বড়ে টেবিলের ড্রয়ার খুলে বের করলেন একটা ব্লক। টেবিলে সুতা দিয়ে বাঁধা কলমটা কালিতে চুবিয়ে লিখতে থাকলেন বিজ্ঞাপন। বললেন, ‘প্রুফটা ভালো কইরা দেইখা দিয়ো। ভুল থাকলে কিন্তু বিল কাটুম। আর এই ব্লকটা, এইটা বিল দেওয়ার সময় ফিরায়া দিবা।’
অর্ধপৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন! হাতে চাঁদ পেলেন মীজানুর রহমান।
এভাবে কত মানুষকে যে সাহায্য করেছেন যোগেশচন্দ্র ঘোষ, তার ইয়ত্তা নেই।
এই মাটির মানুষটিকে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করেছিল ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, স্রেফ হিন্দু বলে।
সূত্র: মীজানুর রহমান, ঢাকা পুরাণ, পৃষ্ঠা: ৫৪-৫৫
যোগেশচন্দ্র ঘোষ একসময় ছিলেন ভাগলপুর কলেজের অধ্যাপক। সেই কাজে তিনি থেমে থাকেননি। হয়েছেন উদ্যোক্তা। লোকে বলত, হাড় কেপ্প্ন। কিন্তু এই মিতব্যয়িতাই যে তাঁকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে, সেটাও তো জেনে নেওয়া দরকার।
ঢাকা শহরেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন তাঁর সুবিখ্যাত সাধনা ঔষধালয়। ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠান, অথচ তা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। মাত্র ১০-১২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়ে সামলাতেন এই বিপুল সাম্রাজ্য।
একদিন এক কর্মকর্তা হাতের পেনসিলটা নিয়ে এসে বললেন, ‘বাবু, একটা পেনসিল দেন।’
যোগেশচন্দ্র এক সেন্টিমিটার লম্বা পেনসিলটি হাতে নিলেন। ঢোকালেন হোল্ডারে। তারপর লিখলেন কিছু একটা। বললেন, ‘এই তো লেখা যায়, যায় না কে কইল? পেনসিল শ্যাষ হইলে আইস।’
গোমড়ামুখে লোকটা বললেন, ‘আমার খাপে ঢুকলে সিসের ডগা নাগুর পায় না বইলাই তো আইলাম।’
‘আমার হোল্ডার আর তোমার হোল্ডার তো আলাদা না, অম্বিকা। এই তো কেমন সুন্দর লেখা হয়। আরও চার-পাঁচ দিন যাইব।’ ঘরটিতে চক্রাকারে যতগুলো টেবিল, তার সবকটিতেই পেনসিলগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা, যেন একজনের পেনসিল অন্যজন ব্যবহার না করে। পেনসিলের সিস একেবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোল্ডার দিয়ে লিখতে হতো।
সেই যোগেশচন্দ্র ঘোষের কাছে তরুণ মীজানুর রহমান গিয়েছিলেন তাঁর পত্রিকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য। যোগেশবাবু প্রথম সংখ্যাটি দেখে খুশি হলেন। তারপর নড়বড়ে টেবিলের ড্রয়ার খুলে বের করলেন একটা ব্লক। টেবিলে সুতা দিয়ে বাঁধা কলমটা কালিতে চুবিয়ে লিখতে থাকলেন বিজ্ঞাপন। বললেন, ‘প্রুফটা ভালো কইরা দেইখা দিয়ো। ভুল থাকলে কিন্তু বিল কাটুম। আর এই ব্লকটা, এইটা বিল দেওয়ার সময় ফিরায়া দিবা।’
অর্ধপৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন! হাতে চাঁদ পেলেন মীজানুর রহমান।
এভাবে কত মানুষকে যে সাহায্য করেছেন যোগেশচন্দ্র ঘোষ, তার ইয়ত্তা নেই।
এই মাটির মানুষটিকে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করেছিল ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, স্রেফ হিন্দু বলে।
সূত্র: মীজানুর রহমান, ঢাকা পুরাণ, পৃষ্ঠা: ৫৪-৫৫
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে