পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ১৮
Thumbnail image

বহু বাধা রিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছিল পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প। এই মাসের শুরুতে মাটি ভরাটের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এতে আবারও স্থবিরতা নেমেছে এই প্রকল্পে।

তবে ওয়াসার দাবি, এই বিষয়টি আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। হয়তো বাদীপক্ষ আদালতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। এখন আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি।

১৯৬২ সালে হালিশহরের চৌচালা এলাকায় ১৬৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াসা। সেখানে পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প তৈরির চিন্তা শুরু থেকেই ছিল সংস্থাটির। তবে বহুদিন পড়ে থাকায় জায়গাটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অধিগ্রহণ করা জায়গা ফেরত পেতে এলাকাবাসী ২০০১ সালে হাই কোর্টে রিট করে। সে জন্য ২০১৬ সালে অধিগ্রহণ করা জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে ওয়াসা।

এরপর ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের ভূমি জটিলতা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা স্থিরতায় এসেছিল। অবশ্য এরপরও বাধা পুরোপুরি কাটেনি। ২০২০ সালে সীমানা প্রাচীরের কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়ে সংস্থাটি। অবশ্য এরপর বিষয়টির এক ধরনের সমাধান হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই আবারও বিপত্তি।

গত ৪ এপ্রিল শুনানি শেষে গত বুধবার ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাদীর অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে আদেশে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মামলার বাদী ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী বলেছেন, ‘ওয়াসা বর্তমানে যেখানে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেখানে স্থানীয়দের জায়গা আছে। এ জায়গা নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে অন্যথায় স্থানীয়দের জায়গা স্থানীয়দের বুঝিয়ে দিতে হবে। এই অধিকার আদায়ে আমরা মামলা করেছিলাম। আদালত মামলার শুনানি শেষে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।’

তবে প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আগেই উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর তো আমরা দুই বছর আগে সীমানা দেয়াল করলাম। এখন কাজও শুরু করেছি। হয়তো পুরো বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়নি। উচ্চ আদালতের নজরে আনলে নিশ্চয় একটি সমাধান আমাদের দেবেন। অবশ্য আমরা এখনো আদালতের নির্দেশনার কপি এখনো পাইনি। সেটি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

বাদীপক্ষ অনেক কিছু গোপন করেছে জানিয়ে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা যেগুলো গোপন করেছে, সেগুলো আমরা পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করব। সেখানে আসল তথ্যটা তুলে ধরা হবে। আশা করছি, দ্রুতই এর সমাধান হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত