বাড়তি বোর্ড ফির টাকা ফেরত পায়নি শিক্ষার্থীরা

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২২, ০৭: ৩২
আপডেট : ২০ মে ২০২২, ১৫: ৫৫

গত বছর করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা আংশিক (তিনটি বিষয়ে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেসব বিষয় পরীক্ষা হয়নি, সেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া ফরম পূরণের টাকা নিজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফেরত দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর।

তবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা বোর্ড ফি থেকে ৩১০ টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন টাকা ফেরত পেলেও ৭০ শিক্ষার্থীর অর্থ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করে।

আক্কাছ আলী হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মো. জনি প্রামাণিক বলে, শিক্ষা বোর্ড থেকে ফেরত দেওয়া টাকা চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে অপমান করে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের বেতন বাবদ ওই টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রশংসাপত্র আনতে গেলে ওই অতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তি স্বাক্ষরসহ প্রশংসাপত্র বাবদ আরও ২০০ টাকা আদায় করেন।

শিক্ষার্থী মো. আতিয়ার রহমান বলে, ‘আমার বেতন মওকুফ ছিল। তারপরও আমার টাকা ফেরত দেননি হেড স্যার। তিনি আমাদের টাকা আত্মসাৎ করায় আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছি।’

এদিকে নদীভাঙনের কারণে স্কুলটি কয়েক বছর আগে উপজেলার আইনদ্দিন ব্যাপারীপাড়ায় স্থানান্তর করা হয়। আগের স্থানে থাকা স্কুলঘরটি অনুমতি ছাড়া বিক্রি করে সেই টাকাও প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষেই তাদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এ মর্মে তারা স্বাক্ষরও করেছে। তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেননি দাবি করে বলেন, শিক্ষার্থীদের টাকা তাঁর কাছে আছে, কেউ ফেরত চাইলে তা দিয়ে দেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ৫২ হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করা হয়। সেই টাকা বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতির কাছে ছিল। তিনি ওই টাকা স্কুলের ফান্ডে জমা দেননি। এ কারণে ওই টাকা বিদ্যালয়ের নথিতে আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবে নেই।

ইউএনও মো. আজিজুল হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত