সে সময় সৈয়দ শামসুল হক থাকতেন লক্ষ্মীবাজারে। সেখান থেকে হেঁটে বিউটি বোর্ডিংয়ে আসতেন। তখন তাঁর নিজের লেখার জায়গা ছিল না। লেখার জন্য বিউটি বোর্ডিংই ছিল সেরা আশ্রয়। ভবনের পাশের কোনায় যে জানালাটি, তার পাশে টেবিল-চেয়ার পেতে লেখালেখির কাজটা করতেন। সকাল ৮টা থেকে ১০টা-১১টা পর্যন্ত লিখতেন। বাড়িতে গিয়ে খেয়ে এসে আবার বেলা দুইটা-আড়াইটায় বসে লেখা চলত বিকেল ৫টা-৬টা পর্যন্ত। এরপর আড্ডা। চলত রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত। আড্ডা ভেঙে গেলে আবার সেই টেবিলের কোনায় বসে চলত লেখালেখি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সৈয়দ শামসুল হকের যত লেখালেখি, তার সবই মূলত বিউটি বোর্ডিংয়ে বসে লেখা।
১৯৫৭ সালের ঘটনা। একদিন বেলা দুইটা-আড়াইটার দিকে লিখছেন সৈয়দ হক। এ সময় পুলিশের একজন দারোগা এসে বললেন, ‘আপনি একটু আসুন তো!’ একটু ভড়কে গেলেন সৈয়দ হক। কী এমন ঘটল যে পুলিশ তাঁকে ডাকছে! তারপরও কৌতূহল নিয়েই দারোগার সঙ্গে গেলেন সেই দিকটায়, যেদিকে রান্নাবান্না হতো। যাঁরা রান্নাবান্না করতেন, তাঁদেরই একজন গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছেন। দারোগা নামাতে পারছেন না। একজন নাগরিকের সাক্ষ্য দরকার। সে কারণেই সৈয়দ হককে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি জীবনে প্রথম ফাঁসিতে ঝোলানো লাশ দেখলেন। দারোগা সাহেব সৈয়দ হকের স্বাক্ষর নিলেন।
ভীষণ নার্ভাস হয়ে সৈয়দ হক একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলেন শামসুর রাহমানের বাড়িতে। সদ্য বিবাহিত শামসুর রাহমান দুপুরের ঘুম দিয়ে কেবল উঠেছেন। তিনি ভাবলেন, হয়তো ‘কবিতা’ পত্রিকাটি এসেছে, তাই সৈয়দ হক সেটা নিয়ে এসেছেন। সে কথাই বললেন, ‘কবিতা বেরিয়েছে?’ ‘না।’ ‘তাহলে পূর্বাশা?’‘না।’
শামসুর রাহমান তারপর একে একে কলকাতা থেকে বের হওয়া সব কাগজের নাম করলেন, কিন্তু ক্রমাগত ‘না’ বলে সৈয়দ শামসুল হক বললেন, ‘একটা লাশ।’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, পূর্ণিমার মধ্য বয়সে বিউটি বোর্ডিং, সম্পাদনা ইমরুল চৌধুরী, পৃষ্ঠা ৬-৭
সে সময় সৈয়দ শামসুল হক থাকতেন লক্ষ্মীবাজারে। সেখান থেকে হেঁটে বিউটি বোর্ডিংয়ে আসতেন। তখন তাঁর নিজের লেখার জায়গা ছিল না। লেখার জন্য বিউটি বোর্ডিংই ছিল সেরা আশ্রয়। ভবনের পাশের কোনায় যে জানালাটি, তার পাশে টেবিল-চেয়ার পেতে লেখালেখির কাজটা করতেন। সকাল ৮টা থেকে ১০টা-১১টা পর্যন্ত লিখতেন। বাড়িতে গিয়ে খেয়ে এসে আবার বেলা দুইটা-আড়াইটায় বসে লেখা চলত বিকেল ৫টা-৬টা পর্যন্ত। এরপর আড্ডা। চলত রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত। আড্ডা ভেঙে গেলে আবার সেই টেবিলের কোনায় বসে চলত লেখালেখি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সৈয়দ শামসুল হকের যত লেখালেখি, তার সবই মূলত বিউটি বোর্ডিংয়ে বসে লেখা।
১৯৫৭ সালের ঘটনা। একদিন বেলা দুইটা-আড়াইটার দিকে লিখছেন সৈয়দ হক। এ সময় পুলিশের একজন দারোগা এসে বললেন, ‘আপনি একটু আসুন তো!’ একটু ভড়কে গেলেন সৈয়দ হক। কী এমন ঘটল যে পুলিশ তাঁকে ডাকছে! তারপরও কৌতূহল নিয়েই দারোগার সঙ্গে গেলেন সেই দিকটায়, যেদিকে রান্নাবান্না হতো। যাঁরা রান্নাবান্না করতেন, তাঁদেরই একজন গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছেন। দারোগা নামাতে পারছেন না। একজন নাগরিকের সাক্ষ্য দরকার। সে কারণেই সৈয়দ হককে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি জীবনে প্রথম ফাঁসিতে ঝোলানো লাশ দেখলেন। দারোগা সাহেব সৈয়দ হকের স্বাক্ষর নিলেন।
ভীষণ নার্ভাস হয়ে সৈয়দ হক একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলেন শামসুর রাহমানের বাড়িতে। সদ্য বিবাহিত শামসুর রাহমান দুপুরের ঘুম দিয়ে কেবল উঠেছেন। তিনি ভাবলেন, হয়তো ‘কবিতা’ পত্রিকাটি এসেছে, তাই সৈয়দ হক সেটা নিয়ে এসেছেন। সে কথাই বললেন, ‘কবিতা বেরিয়েছে?’ ‘না।’ ‘তাহলে পূর্বাশা?’‘না।’
শামসুর রাহমান তারপর একে একে কলকাতা থেকে বের হওয়া সব কাগজের নাম করলেন, কিন্তু ক্রমাগত ‘না’ বলে সৈয়দ শামসুল হক বললেন, ‘একটা লাশ।’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, পূর্ণিমার মধ্য বয়সে বিউটি বোর্ডিং, সম্পাদনা ইমরুল চৌধুরী, পৃষ্ঠা ৬-৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে