নটী বিনোদিনী নামেই তাঁর পরিচয়। দুঃখের সাগর পাড়ি দিয়ে বিনোদিনী দাসী নিজেকে রঙ্গালয়ের পথে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁরই শৈশবের একটি ঘটনা বলছি।
ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি বিনোদিনীকে ধাক্কা দিয়েছিল। তখন তাঁদের অর্থকড়ি ছিল না কিছু। ছেলেকে নিয়ে মা আর নানি ছুটেছেন দাতব্য চিকিৎসালয়ে। বিনোদিনী আর তাঁর বোন তখন থাকতেন বাড়িতে। এক পড়শি ছিলেন, তিনি এ সময় এই ক্ষুদ্র দুই বালিকার খাওয়া-দাওয়া দেখভাল করতেন। খাবার বেঁধে নিতেন মা আর নানির জন্যও। কখনো কখনো মা আর নানিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন খাওয়ার জন্য। তখন বিনোদিনীর ভাইয়ের সঙ্গে তিনি বসে থাকতেন।
এই দাতব্য চিকিৎসালয়েই বিনোদিনীর ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বিনোদিনী বুঝতেই পারছিলেন না, ভাই আর ফিরে আসবে না। কেউ মরে গেলে আর ফিরে আসে না, সে কথা বোঝার মতো ক্ষমতাও তাঁর হয়নি।
এদিকে নানি শুনেছিলেন, হাসপাতালে মৃত্যু হলে ডাক্তাররা মড়া কাটে, পরিবারের কাছে সৎকারের জন্য দেয় না। তাই আতঙ্কে তিনি মৃত বাচ্চাটিকে নিয়ে তিনতলার ওপর থেকে তরতর করে নেমে গঙ্গার দিকে ছুটলেন। বিনোদিনী আর তাঁর বোন কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে চলল নানির পেছন পেছন।
চিকিৎসকেরা এসে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, ‘ব্যস্ত হবেন না। আমরা এই মড়া ধরে রাখব না।’
কিন্তু কে শোনে কার কথা! নানি মাঝে মাঝে পাগলের মতো হেসে উঠছিলেন।
এরপর সৎকার হলে হঠাৎ বিনোদিনী দেখলেন, তাঁর মা নদীতে নেমে যাচ্ছেন। বিনোদিনী তাঁর কাপড় ধরে টেনে রাখলেন আর চিৎকার করতে লাগলেন। মা কাঁদলেন না।
এরপর অনেক দিন অর্ধ-উন্মাদ অবস্থায় ছিলেন বিনোদিনীর মা। একদিন রাতে সবাই যখন শুয়ে পড়েছে, তখন শোনা গেল মায়ের কান্না, ‘ওরে বাবারে, কোথায় গেলিরে!’
সেই কান্না শুনে দিদিমা বললেন, ‘আহ! বাঁচলেম!’
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা,
নটী বিনোদিনী নামেই তাঁর পরিচয়। দুঃখের সাগর পাড়ি দিয়ে বিনোদিনী দাসী নিজেকে রঙ্গালয়ের পথে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁরই শৈশবের একটি ঘটনা বলছি।
ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি বিনোদিনীকে ধাক্কা দিয়েছিল। তখন তাঁদের অর্থকড়ি ছিল না কিছু। ছেলেকে নিয়ে মা আর নানি ছুটেছেন দাতব্য চিকিৎসালয়ে। বিনোদিনী আর তাঁর বোন তখন থাকতেন বাড়িতে। এক পড়শি ছিলেন, তিনি এ সময় এই ক্ষুদ্র দুই বালিকার খাওয়া-দাওয়া দেখভাল করতেন। খাবার বেঁধে নিতেন মা আর নানির জন্যও। কখনো কখনো মা আর নানিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন খাওয়ার জন্য। তখন বিনোদিনীর ভাইয়ের সঙ্গে তিনি বসে থাকতেন।
এই দাতব্য চিকিৎসালয়েই বিনোদিনীর ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বিনোদিনী বুঝতেই পারছিলেন না, ভাই আর ফিরে আসবে না। কেউ মরে গেলে আর ফিরে আসে না, সে কথা বোঝার মতো ক্ষমতাও তাঁর হয়নি।
এদিকে নানি শুনেছিলেন, হাসপাতালে মৃত্যু হলে ডাক্তাররা মড়া কাটে, পরিবারের কাছে সৎকারের জন্য দেয় না। তাই আতঙ্কে তিনি মৃত বাচ্চাটিকে নিয়ে তিনতলার ওপর থেকে তরতর করে নেমে গঙ্গার দিকে ছুটলেন। বিনোদিনী আর তাঁর বোন কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে চলল নানির পেছন পেছন।
চিকিৎসকেরা এসে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, ‘ব্যস্ত হবেন না। আমরা এই মড়া ধরে রাখব না।’
কিন্তু কে শোনে কার কথা! নানি মাঝে মাঝে পাগলের মতো হেসে উঠছিলেন।
এরপর সৎকার হলে হঠাৎ বিনোদিনী দেখলেন, তাঁর মা নদীতে নেমে যাচ্ছেন। বিনোদিনী তাঁর কাপড় ধরে টেনে রাখলেন আর চিৎকার করতে লাগলেন। মা কাঁদলেন না।
এরপর অনেক দিন অর্ধ-উন্মাদ অবস্থায় ছিলেন বিনোদিনীর মা। একদিন রাতে সবাই যখন শুয়ে পড়েছে, তখন শোনা গেল মায়ের কান্না, ‘ওরে বাবারে, কোথায় গেলিরে!’
সেই কান্না শুনে দিদিমা বললেন, ‘আহ! বাঁচলেম!’
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা,
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে