লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি কারিগরি ত্রুটিকে দায়

আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ০৫
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ২০: ১১

গৌরীপুরে দিন দিন বাড়ছে লোডশেডিং। দিনে ৮ থেকে ১০ বার যাওয়া-আসা করে বিদ্যুৎ। নানা অজুহাতে বন্ধ হচ্ছে সরবরাহ। এতে তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, কখনো কখনো টানা দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ আসে না। অথচ বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

তবে গৌরীপুরের আবাসিক প্রকৌশলী এর দায় চাপাচ্ছেন ময়মনসিংহ পাওয়ার গ্রিডের ওপর। পাওয়ার গ্রিডে বারবার সমস্যার কারণেই এমন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপজেলার বাসিন্দারা বলছেন, গত বুধবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা লোডশেডিং ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। এ ছাড়া বারবার আসা-যাওয়া করছে বিদ্যুৎ। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অথচ কিছুদিন আগেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) বিল্লাল হোসেন অবসরে গেছেন। নতুন দায়িত্বে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। তবে বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনা আর অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ মিলছে না।

গৌরীপুর কালিখলার ফটোকপি ও কম্পিউটার প্রিন্টিং ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কোনো কাজ করতে পারছি না। আর যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে।’

এদিকে গত ২৬ মার্চ গৌরীপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে অতিথিদের বক্তব্যের সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এ সময় স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ গৌরীপুরের আবাসিক প্রকৌশলীর কাছে ফোনে এর কারণ জানতে চান। এ সময় তুচ্ছ অজুহাতে এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য সাংসদ ভর্ৎসনা করেন প্রকৌশলীকে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন অনেক বেশি রয়েছে। লোডশেডিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও এভাবে লোডশেডিং হওয়ার কারণ তাঁদের কাছে বোধগম্য নয়।

গৌরীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি। তারপরও গৌরীপুরে এত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ বোধগম্য নয়। অনেক সময় দেখা যায় ছোট সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।’

গৌরীপুরের আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ময়মনসিংহ পাওয়ার গ্রিডে টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য বিদ্যুতের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শিগগিরই এর সমাধান হবে। বাজার গ্রিডের সঙ্গে গ্রামের যে সংযোগ রয়েছে তাও আলাদা করা হচ্ছে। এতেও মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হচ্ছে।

ময়মনসিংহের প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে। এগুলো সমাধানের জন্য আবাসিক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত