আয়নাল হোসেন, ঢাকা
‘এই বছর আমন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আধা শুকনা ধান ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। আর সরকার দর দিয়েছে ১ হাজার ১২০ টাকা। সরকারকে ধান দিতে গেলে শুকিয়ে দিতে হয়, তা-ও আবার কর্মকর্তাদের চাহিদামতো সময়ে। যাঁরা কার্ড করতে পারেননি, তাঁরা ইচ্ছা করলেও ধান দিতে পারবেন না।’ এমন মন্তব্য নেত্রকোনার সদর উপজেলার নবীসপুর গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়ার। একই উপজেলার হরগাতি গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এবার ভেজা ধান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় আমি সরকারকে ধান দিইনি। শুকনা ধান দিতে গেলে মণে ৫ কেজি ঘাটতি হয়। আবার টাকা পেতেও ভোগান্তি হয়। গত বোরো মৌসুমে ধান দিয়ে টাকা পেতে ধরনা দিতে হয়েছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে কর্মকর্তারা বাড়তি টাকা দাবি করায় সরকারি গুদামে ধান দিতে উৎসাহ পান না তাঁরা।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে কেউ টাকা আদায় করে থাকলে, তা লিখিতভাবে জানালে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে সরকার ৩ লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন চাল অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
দাম ধরা হয় প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা এবং চাল ৪২ টাকা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ এবং ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৬ টন ধান আর ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টন চাল সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ ধান সংগ্রহ হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ, চাল ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, যাতে কৃষকেরা ভালো দাম পায়। ধান কেনা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। ধানের দাম কমে গেলেও যাতে কৃষক লোকসান না দেয়, সে জন্য ধান কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে চাল ৫০ শতাংশ সরবরাহ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট চাল নির্ধারিত সময়ে পাওয়া সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী জানান, জাতীয়ভাবে সরকারি গুদামে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টনের মতো। দেশে সর্বকালের রেকর্ড মজুত আছে।
জয়পুরহাট জেলার মেসার্স বারী রাইস মিলের মালিক আমিনুল বারী বলেন, সরকার ধানের যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার চেয়ে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক সরকারকে ধান দিচ্ছেন না। মিলমালিকদের কেজিপ্রতি ২-৫ টাকা লোকসান হওয়ার পরও চাল সরকারকে সরবরাহ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, চাল সরবরাহ করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নীরদ বরণ সাহা জানান, সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছেন। এ ছাড়া ধান বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু সরকারের কাছে বিক্রি করলে কৃষককে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। সেটি নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কয়েক দিন পর পাস হয়। আবার ওজনে এক কেজি বেশি দিতে হচ্ছে।
একাধিক চালকল মালিক জানান, সরকারকে ধান-চাল দিতে গিয়ে কৃষক ও মিলাররা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। বিশেষ করে স্থানীয় কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। চালে আর্দ্রতা ১৫ শতাংশের কম হলে কিছুটা ভেঙে যায়। তখন বাড়তি টাকা চাওয়া হয়। ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয় তুষ বেশি। এসব অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়।
এবার উৎপাদন খরচ বেশি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক পরিচালক (গবেষণা) আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর আমন উৎপাদনে সেচ ব্যবহার করতে হয়েছে। জ্বালানির দামও বেশি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। সরকার ধানের দাম আরও বেশি দিলে কৃষক সরবরাহ করতে আগ্রহী হতেন।
‘এই বছর আমন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আধা শুকনা ধান ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। আর সরকার দর দিয়েছে ১ হাজার ১২০ টাকা। সরকারকে ধান দিতে গেলে শুকিয়ে দিতে হয়, তা-ও আবার কর্মকর্তাদের চাহিদামতো সময়ে। যাঁরা কার্ড করতে পারেননি, তাঁরা ইচ্ছা করলেও ধান দিতে পারবেন না।’ এমন মন্তব্য নেত্রকোনার সদর উপজেলার নবীসপুর গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়ার। একই উপজেলার হরগাতি গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এবার ভেজা ধান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় আমি সরকারকে ধান দিইনি। শুকনা ধান দিতে গেলে মণে ৫ কেজি ঘাটতি হয়। আবার টাকা পেতেও ভোগান্তি হয়। গত বোরো মৌসুমে ধান দিয়ে টাকা পেতে ধরনা দিতে হয়েছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে কর্মকর্তারা বাড়তি টাকা দাবি করায় সরকারি গুদামে ধান দিতে উৎসাহ পান না তাঁরা।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে কেউ টাকা আদায় করে থাকলে, তা লিখিতভাবে জানালে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে সরকার ৩ লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন চাল অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
দাম ধরা হয় প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা এবং চাল ৪২ টাকা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ এবং ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৬ টন ধান আর ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টন চাল সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ ধান সংগ্রহ হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ, চাল ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, যাতে কৃষকেরা ভালো দাম পায়। ধান কেনা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। ধানের দাম কমে গেলেও যাতে কৃষক লোকসান না দেয়, সে জন্য ধান কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে চাল ৫০ শতাংশ সরবরাহ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট চাল নির্ধারিত সময়ে পাওয়া সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী জানান, জাতীয়ভাবে সরকারি গুদামে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টনের মতো। দেশে সর্বকালের রেকর্ড মজুত আছে।
জয়পুরহাট জেলার মেসার্স বারী রাইস মিলের মালিক আমিনুল বারী বলেন, সরকার ধানের যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার চেয়ে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক সরকারকে ধান দিচ্ছেন না। মিলমালিকদের কেজিপ্রতি ২-৫ টাকা লোকসান হওয়ার পরও চাল সরকারকে সরবরাহ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, চাল সরবরাহ করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নীরদ বরণ সাহা জানান, সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছেন। এ ছাড়া ধান বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু সরকারের কাছে বিক্রি করলে কৃষককে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। সেটি নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কয়েক দিন পর পাস হয়। আবার ওজনে এক কেজি বেশি দিতে হচ্ছে।
একাধিক চালকল মালিক জানান, সরকারকে ধান-চাল দিতে গিয়ে কৃষক ও মিলাররা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। বিশেষ করে স্থানীয় কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। চালে আর্দ্রতা ১৫ শতাংশের কম হলে কিছুটা ভেঙে যায়। তখন বাড়তি টাকা চাওয়া হয়। ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয় তুষ বেশি। এসব অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়।
এবার উৎপাদন খরচ বেশি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক পরিচালক (গবেষণা) আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর আমন উৎপাদনে সেচ ব্যবহার করতে হয়েছে। জ্বালানির দামও বেশি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। সরকার ধানের দাম আরও বেশি দিলে কৃষক সরবরাহ করতে আগ্রহী হতেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে