তানিম আহমেদ, ঢাকা
টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকারে থাকতে মরিয়া। এ জন্য ঘর গুছিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। সেই সঙ্গে মোকাবিলা করছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মেয়াদের শেষ বছরে মাঠের আন্দোলন ঠেকানো আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি আরও দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা হলো, চলমান অর্থনৈতিক সংকট, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ।
আগের তিনটি নির্বাচন ভালোমতো পার করলেও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় আন্দোলন মোকাবিলা করতে হতে পারে ক্ষমতাসীন দলকে। সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি এরই মধ্যে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি আসবে, এমন আভাস দিচ্ছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা ক্ষমতাসীনদের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন দানা বাঁধছে। তা মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জও ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে। এটা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কর্তৃত্ববাদের নীতি অনুসরণ করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গেলে সেটা গণতান্ত্রিক হবে না।
টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকায় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামী নির্বাচন করাটাও কঠিন হবে আওয়ামী লীগের জন্য। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দলটির নেতারাও বলছেন, রংপুর জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এটা মানা যায় না। প্রার্থী পছন্দ না হওয়া নেতা-কর্মীরা প্রচারে তেমন অংশ নেননি। এমনটা জাতীয় নির্বাচনেও হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। সেখানে ভালো করতে গেলে নির্বাচনী কৌশল ও ইশতেহার ভালোভাবে করতে হবে। দলটি টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী বাছাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই দলীয় কোন্দল দেখা যাচ্ছে। সেটাকে সমাধান করে নেতা-কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বড় অবকাঠামো নির্মাণে মনোযোগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ। চালুর অপেক্ষায় আছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথেও ট্রেন চলবে শিগগির। দ্রুতগতিতে চলছে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচার করে নির্বাচনী বৈতরণি পার করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু বিষয়টি কঠিন করে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা এবং দেশে ডলারের সংকট। ২০২০ সালে ৪৮ বিলিয়নের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ডলার সংকট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে কমেছে সরকারের রাজস্ব আহরণও। সব মিলিয়ে সংকটের মধ্য দিয়ে চলা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সামনের দিনে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলার সংকট চলছে। এই সংকট কবে কাটবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তারল্য সংকটে অনেক ব্যাংক হুমকির মুখে। আর্থিক সেক্টরে এটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের অবস্থাও ভালো না। টাকার অভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় গোলমাল লেগেছে। সব মিলিয়ে বিরাজমান আর্থিক অবস্থা সরকারের বিপক্ষেই আছে।
অবশ্য সংকট মোকাবিলার পথও বাতলে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ নিয়ে গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারকে পঞ্চম বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি, সাশ্রয়ী বিনিয়োগ ও অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় আহরণে নজর দিতে হবে। ঋণ ও কর খেলাপি এবং মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।
অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতাও আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চললেও মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান আওয়ামী লীগের জন্য স্বস্তির নয়। এ ছাড়া অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপানও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে বার্তা দিয়েছে এরই মধ্যে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুত থাকলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সমালোচনাগুলো আছে, সেগুলো খুব একটা গুরুত্ব পাবে না। কারণ, আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে লাভটাই হলো মুখ্য। আমেরিকা ও ইউরোপ যদি দেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের মাধ্যমে তারা লাভ পাচ্ছে, সেখানে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাইবে না।
তবে আওয়ামী লীগ আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারের সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, বিদেশিরা কী বলল, কী করল, সেটা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের জনগণকে সন্তুষ্ট করা। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা। সারা বিশ্বে চলমান মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করে মানুষের জন্য কাজ ও আয়ের সংস্থান করতে পারাই সরকারের চ্যালেঞ্জ।
টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকারে থাকতে মরিয়া। এ জন্য ঘর গুছিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। সেই সঙ্গে মোকাবিলা করছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মেয়াদের শেষ বছরে মাঠের আন্দোলন ঠেকানো আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি আরও দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা হলো, চলমান অর্থনৈতিক সংকট, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ।
আগের তিনটি নির্বাচন ভালোমতো পার করলেও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় আন্দোলন মোকাবিলা করতে হতে পারে ক্ষমতাসীন দলকে। সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি এরই মধ্যে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি আসবে, এমন আভাস দিচ্ছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা ক্ষমতাসীনদের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন দানা বাঁধছে। তা মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জও ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে। এটা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কর্তৃত্ববাদের নীতি অনুসরণ করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গেলে সেটা গণতান্ত্রিক হবে না।
টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকায় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামী নির্বাচন করাটাও কঠিন হবে আওয়ামী লীগের জন্য। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দলটির নেতারাও বলছেন, রংপুর জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এটা মানা যায় না। প্রার্থী পছন্দ না হওয়া নেতা-কর্মীরা প্রচারে তেমন অংশ নেননি। এমনটা জাতীয় নির্বাচনেও হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। সেখানে ভালো করতে গেলে নির্বাচনী কৌশল ও ইশতেহার ভালোভাবে করতে হবে। দলটি টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী বাছাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই দলীয় কোন্দল দেখা যাচ্ছে। সেটাকে সমাধান করে নেতা-কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বড় অবকাঠামো নির্মাণে মনোযোগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ। চালুর অপেক্ষায় আছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথেও ট্রেন চলবে শিগগির। দ্রুতগতিতে চলছে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচার করে নির্বাচনী বৈতরণি পার করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু বিষয়টি কঠিন করে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা এবং দেশে ডলারের সংকট। ২০২০ সালে ৪৮ বিলিয়নের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ডলার সংকট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে কমেছে সরকারের রাজস্ব আহরণও। সব মিলিয়ে সংকটের মধ্য দিয়ে চলা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সামনের দিনে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলার সংকট চলছে। এই সংকট কবে কাটবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তারল্য সংকটে অনেক ব্যাংক হুমকির মুখে। আর্থিক সেক্টরে এটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের অবস্থাও ভালো না। টাকার অভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় গোলমাল লেগেছে। সব মিলিয়ে বিরাজমান আর্থিক অবস্থা সরকারের বিপক্ষেই আছে।
অবশ্য সংকট মোকাবিলার পথও বাতলে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ নিয়ে গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারকে পঞ্চম বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি, সাশ্রয়ী বিনিয়োগ ও অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় আহরণে নজর দিতে হবে। ঋণ ও কর খেলাপি এবং মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।
অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতাও আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চললেও মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান আওয়ামী লীগের জন্য স্বস্তির নয়। এ ছাড়া অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপানও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে বার্তা দিয়েছে এরই মধ্যে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুত থাকলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সমালোচনাগুলো আছে, সেগুলো খুব একটা গুরুত্ব পাবে না। কারণ, আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে লাভটাই হলো মুখ্য। আমেরিকা ও ইউরোপ যদি দেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের মাধ্যমে তারা লাভ পাচ্ছে, সেখানে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাইবে না।
তবে আওয়ামী লীগ আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারের সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, বিদেশিরা কী বলল, কী করল, সেটা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের জনগণকে সন্তুষ্ট করা। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা। সারা বিশ্বে চলমান মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করে মানুষের জন্য কাজ ও আয়ের সংস্থান করতে পারাই সরকারের চ্যালেঞ্জ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে