নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
জন্মসূত্রে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বাড়ি ছিল পূর্ব বাংলার ফরিদপুরের চান্দ্রা গ্রামে; অর্থাৎ তিনি বাঙাল। কলকাতায় তাঁর উত্থান হলেও নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে ফরিদপুরকে এড়াতে পারতেন না তিনি।
কে বাঙাল, আর কে বাঙাল নয়, সেটা ঠিক করার ব্যাপারে কবির বন্ধু সুরঞ্জন সরকারের একটা অদ্ভুত তত্ত্ব ছিল: ‘শেয়ালদা ইস্টিশন থেকে রেলগাড়িতে চেপে যারা দেশের বাড়িতে যায়, তারা সবাই বাঙাল।’
চান্দ্রা গ্রামের একটি বাড়ি ছাড়া অন্য বাড়ির লোকদের পদবি ছিল চক্রবর্তী, ঘোষ, বসু, শিকদার আর দাশ; অর্থাৎ সবাই ভদ্দরলোক। তাঁরা কেউ নিজের জমি চাষ করতেন না, অন্যকে দিয়ে করাতেন। তাঁদের মধ্যে রসিক প্রামাণিক শুধু সবার চুল ছাঁটতেন আর নিজের জমিতে চাষ করতেন। তাঁর বাড়িতে চুল কাটাতে গেলে কখনো কখনো তাঁর স্ত্রী হেসে বলতেন, ‘ও ভাই, এখন তো তোমাগো দাদারে এইহানে পাবা না, সে তো মাঠে গেছে।’
একবার চুল ছাঁটাতেই হবে। এমনিতে রসিকদাকে বাড়িতে না পেলে পরে আরেক দিন আসা যেত। কিন্তু সেবার অন্যের গরজটা ছিল বেশি। গ্রাম-সম্পর্কে এক দাদার বিয়ে, নীরেনকে নিতবর হয়ে যেতে হবে, তাই চুল ছাঁটানো বাধ্যতামূলক। নীরেন গেলেন রসিকদার বাড়ি। গিয়ে শুনলেন তিনি বাড়ি নেই। লাঙল ঠেলতে গেছেন। অনেক ভেবে নীরেন বললেন, ‘বউদি, ঠিক আছে, তার যন্তরগুলো দাও তো।’
যন্তর মানে দাঁতভাঙা মোটা চিরুনি, কাঁচি আর ক্ষুর।
এই সব যে বাক্সে থাকে, সেই বাক্সটা কাঁধে করে নিয়ে নীরেন হাজির হলেন রসিকদার চাষের জমিতে। আলের ওপর বাবু হয়ে বসে থাকলেন আর রসিকদা ছেঁটে দিলেন চুল।
ফেরার সময় রসিকদা বললেন, ‘ঠাউর ভাই, কাউরে য্যান কইয়ো না যে মাঠের মধ্যে আমি তোমার চুল ফালাইছি। কইলে কিন্তু রইক্ষা নাই। হক্কলে যদি এইখানে আইসা আমারে ধরে, তাইলে আর মাঠের কাম করণ যাইব না।’
সূত্র: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নীরবিন্দু, পৃষ্ঠা ১১-১২
জন্মসূত্রে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বাড়ি ছিল পূর্ব বাংলার ফরিদপুরের চান্দ্রা গ্রামে; অর্থাৎ তিনি বাঙাল। কলকাতায় তাঁর উত্থান হলেও নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে ফরিদপুরকে এড়াতে পারতেন না তিনি।
কে বাঙাল, আর কে বাঙাল নয়, সেটা ঠিক করার ব্যাপারে কবির বন্ধু সুরঞ্জন সরকারের একটা অদ্ভুত তত্ত্ব ছিল: ‘শেয়ালদা ইস্টিশন থেকে রেলগাড়িতে চেপে যারা দেশের বাড়িতে যায়, তারা সবাই বাঙাল।’
চান্দ্রা গ্রামের একটি বাড়ি ছাড়া অন্য বাড়ির লোকদের পদবি ছিল চক্রবর্তী, ঘোষ, বসু, শিকদার আর দাশ; অর্থাৎ সবাই ভদ্দরলোক। তাঁরা কেউ নিজের জমি চাষ করতেন না, অন্যকে দিয়ে করাতেন। তাঁদের মধ্যে রসিক প্রামাণিক শুধু সবার চুল ছাঁটতেন আর নিজের জমিতে চাষ করতেন। তাঁর বাড়িতে চুল কাটাতে গেলে কখনো কখনো তাঁর স্ত্রী হেসে বলতেন, ‘ও ভাই, এখন তো তোমাগো দাদারে এইহানে পাবা না, সে তো মাঠে গেছে।’
একবার চুল ছাঁটাতেই হবে। এমনিতে রসিকদাকে বাড়িতে না পেলে পরে আরেক দিন আসা যেত। কিন্তু সেবার অন্যের গরজটা ছিল বেশি। গ্রাম-সম্পর্কে এক দাদার বিয়ে, নীরেনকে নিতবর হয়ে যেতে হবে, তাই চুল ছাঁটানো বাধ্যতামূলক। নীরেন গেলেন রসিকদার বাড়ি। গিয়ে শুনলেন তিনি বাড়ি নেই। লাঙল ঠেলতে গেছেন। অনেক ভেবে নীরেন বললেন, ‘বউদি, ঠিক আছে, তার যন্তরগুলো দাও তো।’
যন্তর মানে দাঁতভাঙা মোটা চিরুনি, কাঁচি আর ক্ষুর।
এই সব যে বাক্সে থাকে, সেই বাক্সটা কাঁধে করে নিয়ে নীরেন হাজির হলেন রসিকদার চাষের জমিতে। আলের ওপর বাবু হয়ে বসে থাকলেন আর রসিকদা ছেঁটে দিলেন চুল।
ফেরার সময় রসিকদা বললেন, ‘ঠাউর ভাই, কাউরে য্যান কইয়ো না যে মাঠের মধ্যে আমি তোমার চুল ফালাইছি। কইলে কিন্তু রইক্ষা নাই। হক্কলে যদি এইখানে আইসা আমারে ধরে, তাইলে আর মাঠের কাম করণ যাইব না।’
সূত্র: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নীরবিন্দু, পৃষ্ঠা ১১-১২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে