রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার খরপা গ্রামের বাসিন্দা লইমুদ্দিন (৬০)। দিনমজুরের আয়ে চলে তাঁর সংসার। একদিন কাজ না করলে ধার করতে হয়। কাজ শেষে ৩০০-৩৫০ টাকা মজুরি পান। কিন্তু যে হারে তেল-সবজির দাম বাড়ছে, তাতে দিনমজুরির এই টাকায় কুলিয়ে ওঠা কঠিন বলে তিনি মনে করেন। এক বছর আগে তিনি এক লিটারের বোতলজাত ভোজ্যতেল কিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু এখন দাম প্রায় দ্বিগুণ। তাই প্যাকেট করে খোলা তেল কিনতে দেখা গেছে তাঁকে।
শুধু লইমুদ্দিন নয়। ভোজ্যতেল, সবজি আর নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালানো নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁর মতো উপজেলার হাজার মানুষ। সবকিছুর দাম বাড়লেও দিনমজুরের মজুরি বাড়ে না কেন—এমন প্রশ্ন এখন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলোর।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ আছেন বিপদে। অপরদিকে দোকানে মূল্য তালিকা টানানোর কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই দামের পার্থক্য দেখতে হয় ক্রেতাদের।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ ও ১৭০ টাকায়। নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে। পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে দিতে হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা।
টিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা ও খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ৬৫ টাকার ডাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। এ ছাড়া ৫৫ টাকার চিনি খোলা বাজারে ৮০ টাকা, ৩০ টাকার চাল খোলা বাজারে ৫০ টাকা ও ২৩ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
অটো ভ্যানচালক উপজেলার হাতিয়র গ্রামের নূর ইসলাম বলেন, ‘সারা দিনে যা আয় করি তা দিয়ে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ কিনে সন্ধ্যায় বাড়ি যাই। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে চাল কিনতে পারি না। একদিন তেল কিনি, আরেকদিন চাল কিনি।’
এক সপ্তাহের ব্যবধানের সবজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত দর বেড়েছে। কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। সব নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।’
কালাই হাটের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী গোলাম মাসুদ বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।’
উপজেলার মেসার্স নাবহান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান রুবেল বলেন, ‘খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫০ টাকা ও কেজি ১৬৫-১৬৮ টাকা দরে এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকায় বিক্রি করছি। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫-১০০ টাকা’
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রত্যেক দোকান বা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।’
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার খরপা গ্রামের বাসিন্দা লইমুদ্দিন (৬০)। দিনমজুরের আয়ে চলে তাঁর সংসার। একদিন কাজ না করলে ধার করতে হয়। কাজ শেষে ৩০০-৩৫০ টাকা মজুরি পান। কিন্তু যে হারে তেল-সবজির দাম বাড়ছে, তাতে দিনমজুরির এই টাকায় কুলিয়ে ওঠা কঠিন বলে তিনি মনে করেন। এক বছর আগে তিনি এক লিটারের বোতলজাত ভোজ্যতেল কিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু এখন দাম প্রায় দ্বিগুণ। তাই প্যাকেট করে খোলা তেল কিনতে দেখা গেছে তাঁকে।
শুধু লইমুদ্দিন নয়। ভোজ্যতেল, সবজি আর নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালানো নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁর মতো উপজেলার হাজার মানুষ। সবকিছুর দাম বাড়লেও দিনমজুরের মজুরি বাড়ে না কেন—এমন প্রশ্ন এখন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলোর।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ আছেন বিপদে। অপরদিকে দোকানে মূল্য তালিকা টানানোর কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই দামের পার্থক্য দেখতে হয় ক্রেতাদের।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ ও ১৭০ টাকায়। নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে। পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে দিতে হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা।
টিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা ও খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ৬৫ টাকার ডাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। এ ছাড়া ৫৫ টাকার চিনি খোলা বাজারে ৮০ টাকা, ৩০ টাকার চাল খোলা বাজারে ৫০ টাকা ও ২৩ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
অটো ভ্যানচালক উপজেলার হাতিয়র গ্রামের নূর ইসলাম বলেন, ‘সারা দিনে যা আয় করি তা দিয়ে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ কিনে সন্ধ্যায় বাড়ি যাই। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে চাল কিনতে পারি না। একদিন তেল কিনি, আরেকদিন চাল কিনি।’
এক সপ্তাহের ব্যবধানের সবজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত দর বেড়েছে। কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। সব নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।’
কালাই হাটের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী গোলাম মাসুদ বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।’
উপজেলার মেসার্স নাবহান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান রুবেল বলেন, ‘খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫০ টাকা ও কেজি ১৬৫-১৬৮ টাকা দরে এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকায় বিক্রি করছি। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫-১০০ টাকা’
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রত্যেক দোকান বা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে