খান রফিক, বরিশাল
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব কেটে যাওয়ায় সাগর-নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশালের জেলেরা। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ৭৮ হাজার জেলে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তবে জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর এবার জালে দেখা নেই মাছের। নদ-নদীতে ইলিশ একেবারেই কম। অবশ্য বৈরী আবহাওয়ায়ও মঙ্গলবার সাগরের ইলিশবোঝাই বোট এসেছে বরিশালে। বিশেষজ্ঞরা নদীতে ইলিশ না আসার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণও দেখিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল বুধবার সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুরটা ছিল রোদ-ঝলমলে। বিকেলের দিকে আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কীর্তনখোলা পানিতে ভরা থাকলেও ছিল অনেকটা শান্ত। এর উত্তরে বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ৬টি সাগরগামী ট্রলার দেখা গেল অনেক দিন পর। এগুলো গত মঙ্গলবার রাতে ইলিশ নামিয়ে বুধবার দুপুরে গন্তব্যে ছোটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১ মে থেকে ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও কীর্তনখোলা, মেঘনা কালাবদরে ইলিশের তেমন একটা দেখা নেই। কিন্তু সাগরের বোট অসময়ে ইলিশ নিয়ে আসায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নগরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইলিশ আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, লোকাল নদীর ইলিশ তেমন একটা নেই। তবে সাগরের মাছ ধরার ৬টি বোট এসেছে। ১ কেজি ওজনের সাগরের ইলিশ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪২৫ টাকা দরে। এই শ্রেণির সাগরের ইলিশ গতকাল মোকামে প্রায় ৩০০ মণ উঠেছে।
আড়তদার মিজান বলেন, নদীর ১ কেজি আকারের ইলিশ গতকাল ১ হাজার ৫০০ টাকা, এলসি (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) ১ হাজার ২০০ টাকা, আধা কেজি ওজনের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটশ্রমিক আলতাফ হোসেন বলেন, ইলিশ এখন কম। তবে সামনে ইলিশ আসতে পারে। তিনি বলেন, ঘাটে মাছ না থাকায় তাঁদের জীবন-জীবিকাও অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে।
কালাবদর নদীতীরের চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে মো. রাজু জানান, ১ মে থেকে নদীতে ইলিশ ধরায় বাধা নেই। যে কারণে জাল, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেও ইলিশ তেমন একটা মিলছে না। তিনি অবশ্য বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় ইলিশ মিলবে শিগগিরই।
এদিকে অশনির প্রভাব কেটে যাওয়ায় সাগর-নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের ঘাটে কথা হয় ফিশিং ট্রলার এফবি মা-৫ এর জেলে সালাম মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মাছ ভালোই পেয়েছিলেন। আবারও সাগরে যাচ্ছেন।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পানিপ্রবাহ ও গুণাগুণ, অক্সিজেনের মাত্রা, পানিতে লবণের পরিমাণসহ আরও কিছু বিষয় ইলিশ উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। সহনীয় মাত্রার পরিবেশ পেলেই ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে শুরু করে। তবে নদীতে মাছের সহজলভ্যতা না থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে পলি ও দূষণ। মোহনায় অতিরিক্ত পলি জমার ফলে নদীর মুখগুলো ভরাট হয়ে নদীতে ইলিশ আসা ব্যাহত হচ্ছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, অশনির প্রভাবে জেলেরা সাগরে ইলিশ ধরতে যেতে পারেননি। যে কয়টি ট্রলার সাগর থেকে এসেছিল, তাতে ভালো মাছ পেয়েছে। দামও সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু নদীতে ইলিশ কম। বিমল চন্দ্র আশার আলো জাগিয়ে বলেন, অশনির প্রভাব কেটে যাচ্ছে। জেলেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন নদী, সাগরে নামার। বৃষ্টি হলে সামনের জো-তে ইলিশের দেখা মিলবে। কেননা জাটকা পরিণত হয়ে এখন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজন হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব কেটে যাওয়ায় সাগর-নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশালের জেলেরা। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ৭৮ হাজার জেলে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তবে জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর এবার জালে দেখা নেই মাছের। নদ-নদীতে ইলিশ একেবারেই কম। অবশ্য বৈরী আবহাওয়ায়ও মঙ্গলবার সাগরের ইলিশবোঝাই বোট এসেছে বরিশালে। বিশেষজ্ঞরা নদীতে ইলিশ না আসার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণও দেখিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল বুধবার সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুরটা ছিল রোদ-ঝলমলে। বিকেলের দিকে আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কীর্তনখোলা পানিতে ভরা থাকলেও ছিল অনেকটা শান্ত। এর উত্তরে বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ৬টি সাগরগামী ট্রলার দেখা গেল অনেক দিন পর। এগুলো গত মঙ্গলবার রাতে ইলিশ নামিয়ে বুধবার দুপুরে গন্তব্যে ছোটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১ মে থেকে ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও কীর্তনখোলা, মেঘনা কালাবদরে ইলিশের তেমন একটা দেখা নেই। কিন্তু সাগরের বোট অসময়ে ইলিশ নিয়ে আসায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নগরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইলিশ আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, লোকাল নদীর ইলিশ তেমন একটা নেই। তবে সাগরের মাছ ধরার ৬টি বোট এসেছে। ১ কেজি ওজনের সাগরের ইলিশ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪২৫ টাকা দরে। এই শ্রেণির সাগরের ইলিশ গতকাল মোকামে প্রায় ৩০০ মণ উঠেছে।
আড়তদার মিজান বলেন, নদীর ১ কেজি আকারের ইলিশ গতকাল ১ হাজার ৫০০ টাকা, এলসি (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) ১ হাজার ২০০ টাকা, আধা কেজি ওজনের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটশ্রমিক আলতাফ হোসেন বলেন, ইলিশ এখন কম। তবে সামনে ইলিশ আসতে পারে। তিনি বলেন, ঘাটে মাছ না থাকায় তাঁদের জীবন-জীবিকাও অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে।
কালাবদর নদীতীরের চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে মো. রাজু জানান, ১ মে থেকে নদীতে ইলিশ ধরায় বাধা নেই। যে কারণে জাল, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেও ইলিশ তেমন একটা মিলছে না। তিনি অবশ্য বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় ইলিশ মিলবে শিগগিরই।
এদিকে অশনির প্রভাব কেটে যাওয়ায় সাগর-নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের ঘাটে কথা হয় ফিশিং ট্রলার এফবি মা-৫ এর জেলে সালাম মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মাছ ভালোই পেয়েছিলেন। আবারও সাগরে যাচ্ছেন।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, পানিপ্রবাহ ও গুণাগুণ, অক্সিজেনের মাত্রা, পানিতে লবণের পরিমাণসহ আরও কিছু বিষয় ইলিশ উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। সহনীয় মাত্রার পরিবেশ পেলেই ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে শুরু করে। তবে নদীতে মাছের সহজলভ্যতা না থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে পলি ও দূষণ। মোহনায় অতিরিক্ত পলি জমার ফলে নদীর মুখগুলো ভরাট হয়ে নদীতে ইলিশ আসা ব্যাহত হচ্ছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, অশনির প্রভাবে জেলেরা সাগরে ইলিশ ধরতে যেতে পারেননি। যে কয়টি ট্রলার সাগর থেকে এসেছিল, তাতে ভালো মাছ পেয়েছে। দামও সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু নদীতে ইলিশ কম। বিমল চন্দ্র আশার আলো জাগিয়ে বলেন, অশনির প্রভাব কেটে যাচ্ছে। জেলেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন নদী, সাগরে নামার। বৃষ্টি হলে সামনের জো-তে ইলিশের দেখা মিলবে। কেননা জাটকা পরিণত হয়ে এখন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজন হয়ে গেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে