নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম তিন সপ্তাহে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে বিএনপির মূল্যায়ন কী?
আমীর খসরু: দেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার এমন সময় দায়িত্ব নিয়েছে, যখন আইনশৃঙ্খলা, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক অবস্থা—সবই অতলে চলে গেছে। এই অবস্থা থেকে পুরো উদ্ধার করা না গেলেও অন্তত গতিপথ সংশোধন করতে হবে। রাষ্ট্রের মালিকানা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা ও জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি থাকার ব্যাপার আছে। এগুলো করতে হলে সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগে ঠিক করতে হবে। উপদেষ্টারা চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েও তাঁরা দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা সহযোগিতা করছি।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি একটি রোডম্যাপ চেয়েছে। এই রোডম্যাপে কী কী চেয়েছেন আপনারা?
আমীর খসরু: যে সংস্কারগুলোর কথা বলা হচ্ছে, তা সময়-সময় তুলে ধরতে হবে। কারণ এখানে অংশীজনদের ভূমিকা রাখা, তাঁদের মতামত ও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপার আছে। এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পত্রিকা: সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলছে বিএনপি। এতে কতটা সময় লাগতে পারে?
আমীর খসরু: এটা অন্তর্বর্তী সরকার। প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে সময় কতটা লাগতে পারে, তা কেউ কাউকে বলে দেওয়ার বিষয় নয়। আমরা চাচ্ছি সরকার কাজগুলো সঠিকভাবে করুক। এখানে সময় বেঁধে দেওয়ার কিছু নেই। তবে যৌক্তিক সময়ের বিষয়টি সবারই চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকা দরকার। যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদেরও এটা বোঝা দরকার।
আজকের পত্রিকা: নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথমে গণপরিষদ গঠন, আগে সংবিধান প্রণয়ন, গণভোটে তার অনুমোদন, এরপর সেই সংবিধানের আওতায় পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা আসছে। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী?
আমীর খসরু: গণপরিষদ গঠনও একটি নির্বাচন। আর নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সংবিধান রচনা করবে, পরিবর্তন করবে, এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: একই ব্যক্তি সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান না থাকার বিধান করার দাবি উঠছে। বিএনপি কি এটা সমর্থন করে?
আমীর খসরু: বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকেরা যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতেই এ বিষয়ে বলা আছে। প্রয়োজনে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে হয়, সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আজকের পত্রিকা: রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দলগুলোর ভেতরেও সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। বিএনপিতে কী কী সংস্কার দরকার?
আমীর খসরু: দলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যাতে প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচিত নেতৃত্ব উঠে আসে।
আজকের পত্রিকা: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার সারবত্তা (মেরিট) নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য কী?
আমীর খসরু: এটা আদালতের বিষয়। আমরা সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের নীতিতে বিশ্বাস করি। এতে হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।
আজকের পত্রিকা: স্থানীয় পর্যায়ে দখলদারি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কিছু বহিষ্কার ছাড়া বিএনপি আর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
আমীর খসরু: শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে লাখ লাখ লাশ পড়বে, মিলকারখানা দখল হয়ে যাবে, এমনটি বলা হয়েছিল। কিন্তু এত বড় পরিবর্তনের পর যতটুকু হবে আশঙ্কা করা হয়েছে, তেমন কিছু হয়নি। বিএনপি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় দখলসহ যেসব ঘটনা ঘটছে, সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপির লোক জড়িত থাকলে বহিষ্কার করা হচ্ছে। দরকার হলে পুলিশে তুলে দিতে বলা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: দেশে গত ১৫ বছরে ভারতের প্রভাব বেশ বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে দেশের সম্পর্কের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী?
আমীর খসরু: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক সব সময়েই থাকতে হবে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আছে, এমন আলোচনা আছে? বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
আমীর খসরু: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও আদর্শের সঙ্গে বিএনপির কোনো দ্বিমত নেই। শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখের মতো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। দলের লোকজন চাকরি-ব্যবসা হারিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের জন্যই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব থাকার কোনো কারণ নেই।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন কঠিন হতে পারে? কেন এমনটি মনে হচ্ছে?
আমীর খসরু: আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারত্বমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনগণ যাঁদের রায় দেবে, তাঁরা আসবেন। এমন নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমিসহ অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আজকের পত্রিকা: আপনার বিরুদ্ধে মোট ক’টি মামলা করা হয়েছে?
আমীর খসরু: ২৯-৩০টি আছে। তিনবার জেলে গেছি। নিপীড়ন-নির্যাতন যা হয়েছে, তা বলার দরকার নেই। তারপরও যে তাঁকে (শেখ হাসিনা) বিদায় করা গেছে, একটা জগদ্দল পাথর জাতির ওপর থেকে বিদায় হয়েছে, এটিই সফলতা।
আজকের পত্রিকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনি কি আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আশা করছেন?
আমীর খসরু: কেন নয়? আওয়ামী লীগকে আমাদের বাধা দেওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। আওয়ামী লীগের মতো নই যে, একদলীয় নির্বাচন করব। সবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
আজকের পত্রিকা: একসময়ের চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী অন্য কিছু দলের সঙ্গে মিলে আলাদা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আমীর খসরু: কে কার সঙ্গে নির্বাচন করবে, তা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। এটা আমাদের মাথাব্যথা নয়।
আজকের পত্রিকা: আগামী নির্বাচনে বিএনপি কাকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করবে? বেগম খালেদা জিয়া, না তারেক রহমানকে?
আমীর খসরু: দল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সময় নিচ্ছেন? তিনি কবে ফিরবেন?
আমীর খসরু: তিনি সঠিক আইনি-প্রক্রিয়া শেষ করে দেশে ফিরবেন। উনি শেখ হাসিনার মতো সব মামলা উধাও করে দিয়ে দেশে আসতে চাচ্ছেন না। আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি, আমাদের এটা মানতে হবে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে কি বিএনপি ভবিষ্যতে আইনি বৈধতা দেবে?
আমীর খসরু: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে সবাই মিলে গড়তে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম তিন সপ্তাহে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে বিএনপির মূল্যায়ন কী?
আমীর খসরু: দেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার এমন সময় দায়িত্ব নিয়েছে, যখন আইনশৃঙ্খলা, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক অবস্থা—সবই অতলে চলে গেছে। এই অবস্থা থেকে পুরো উদ্ধার করা না গেলেও অন্তত গতিপথ সংশোধন করতে হবে। রাষ্ট্রের মালিকানা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা ও জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি থাকার ব্যাপার আছে। এগুলো করতে হলে সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগে ঠিক করতে হবে। উপদেষ্টারা চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েও তাঁরা দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা সহযোগিতা করছি।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি একটি রোডম্যাপ চেয়েছে। এই রোডম্যাপে কী কী চেয়েছেন আপনারা?
আমীর খসরু: যে সংস্কারগুলোর কথা বলা হচ্ছে, তা সময়-সময় তুলে ধরতে হবে। কারণ এখানে অংশীজনদের ভূমিকা রাখা, তাঁদের মতামত ও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপার আছে। এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পত্রিকা: সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলছে বিএনপি। এতে কতটা সময় লাগতে পারে?
আমীর খসরু: এটা অন্তর্বর্তী সরকার। প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে সময় কতটা লাগতে পারে, তা কেউ কাউকে বলে দেওয়ার বিষয় নয়। আমরা চাচ্ছি সরকার কাজগুলো সঠিকভাবে করুক। এখানে সময় বেঁধে দেওয়ার কিছু নেই। তবে যৌক্তিক সময়ের বিষয়টি সবারই চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকা দরকার। যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদেরও এটা বোঝা দরকার।
আজকের পত্রিকা: নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথমে গণপরিষদ গঠন, আগে সংবিধান প্রণয়ন, গণভোটে তার অনুমোদন, এরপর সেই সংবিধানের আওতায় পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা আসছে। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী?
আমীর খসরু: গণপরিষদ গঠনও একটি নির্বাচন। আর নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সংবিধান রচনা করবে, পরিবর্তন করবে, এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: একই ব্যক্তি সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান না থাকার বিধান করার দাবি উঠছে। বিএনপি কি এটা সমর্থন করে?
আমীর খসরু: বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকেরা যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতেই এ বিষয়ে বলা আছে। প্রয়োজনে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে হয়, সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আজকের পত্রিকা: রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দলগুলোর ভেতরেও সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। বিএনপিতে কী কী সংস্কার দরকার?
আমীর খসরু: দলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যাতে প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচিত নেতৃত্ব উঠে আসে।
আজকের পত্রিকা: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার সারবত্তা (মেরিট) নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য কী?
আমীর খসরু: এটা আদালতের বিষয়। আমরা সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের নীতিতে বিশ্বাস করি। এতে হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।
আজকের পত্রিকা: স্থানীয় পর্যায়ে দখলদারি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কিছু বহিষ্কার ছাড়া বিএনপি আর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
আমীর খসরু: শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে লাখ লাখ লাশ পড়বে, মিলকারখানা দখল হয়ে যাবে, এমনটি বলা হয়েছিল। কিন্তু এত বড় পরিবর্তনের পর যতটুকু হবে আশঙ্কা করা হয়েছে, তেমন কিছু হয়নি। বিএনপি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় দখলসহ যেসব ঘটনা ঘটছে, সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপির লোক জড়িত থাকলে বহিষ্কার করা হচ্ছে। দরকার হলে পুলিশে তুলে দিতে বলা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: দেশে গত ১৫ বছরে ভারতের প্রভাব বেশ বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে দেশের সম্পর্কের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী?
আমীর খসরু: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক সব সময়েই থাকতে হবে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আছে, এমন আলোচনা আছে? বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
আমীর খসরু: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও আদর্শের সঙ্গে বিএনপির কোনো দ্বিমত নেই। শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখের মতো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। দলের লোকজন চাকরি-ব্যবসা হারিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের জন্যই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব থাকার কোনো কারণ নেই।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন কঠিন হতে পারে? কেন এমনটি মনে হচ্ছে?
আমীর খসরু: আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারত্বমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনগণ যাঁদের রায় দেবে, তাঁরা আসবেন। এমন নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমিসহ অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আজকের পত্রিকা: আপনার বিরুদ্ধে মোট ক’টি মামলা করা হয়েছে?
আমীর খসরু: ২৯-৩০টি আছে। তিনবার জেলে গেছি। নিপীড়ন-নির্যাতন যা হয়েছে, তা বলার দরকার নেই। তারপরও যে তাঁকে (শেখ হাসিনা) বিদায় করা গেছে, একটা জগদ্দল পাথর জাতির ওপর থেকে বিদায় হয়েছে, এটিই সফলতা।
আজকের পত্রিকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনি কি আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আশা করছেন?
আমীর খসরু: কেন নয়? আওয়ামী লীগকে আমাদের বাধা দেওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। আওয়ামী লীগের মতো নই যে, একদলীয় নির্বাচন করব। সবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
আজকের পত্রিকা: একসময়ের চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী অন্য কিছু দলের সঙ্গে মিলে আলাদা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আমীর খসরু: কে কার সঙ্গে নির্বাচন করবে, তা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। এটা আমাদের মাথাব্যথা নয়।
আজকের পত্রিকা: আগামী নির্বাচনে বিএনপি কাকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করবে? বেগম খালেদা জিয়া, না তারেক রহমানকে?
আমীর খসরু: দল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সময় নিচ্ছেন? তিনি কবে ফিরবেন?
আমীর খসরু: তিনি সঠিক আইনি-প্রক্রিয়া শেষ করে দেশে ফিরবেন। উনি শেখ হাসিনার মতো সব মামলা উধাও করে দিয়ে দেশে আসতে চাচ্ছেন না। আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি, আমাদের এটা মানতে হবে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে কি বিএনপি ভবিষ্যতে আইনি বৈধতা দেবে?
আমীর খসরু: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে সবাই মিলে গড়তে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে