ডা. মনিরুল ইসলাম ফাহিম
কিডনির বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে কিছু যেমন প্রকট লক্ষণ নিয়ে হাজির হয়, তেমনি কিছু ক্ষতি করে যায় নীরবে। এর এক উদাহরণ হাইড্রোনেফ্রোসিস। হাইড্রোনেফ্রোসিস হলো, প্রস্রাব জমার কারণে কিডনি ফুলে যাওয়া বা বড় হয়ে যাওয়া। সাধারণত কিডনি থেকে প্রস্রাব তৈরি হয়ে মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রথলিতে যায়। সেখান থেকে মূত্রাশয়ের মাধ্যমে নির্গত হয়। যখন কোনো বাধা বা ব্লকের কারণে প্রস্রাব কিডনি থেকে মূত্রাশয় দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে না, তখন হাইড্রোনেফ্রোসিস হয়। এটি এক দিকের বা উভয় কিডনিতে ঘটতে পারে।
লক্ষণ
হাইড্রোনেফ্রোসিস উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে বা না-ও করতে পারে। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে:
কীভাবে হয়
হাইড্রোনেফ্রোসিস সাধারণত অন্য অন্তর্নিহিত অসুস্থতা বা ঝুঁকির কারণে সৃষ্টি হয়। যেমন:
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
চিকিৎসা
হাইড্রোনেফ্রোসিস সাধারণত অন্তর্নিহিত রোগ বা কারণের সমাধান করে চিকিৎসা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়াই সমাধান করা যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। কখনো কখনো অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
জটিল হাইড্রোনেফ্রোসিসের ক্ষেত্রে মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব নিষ্কাশনের জন্য একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করে বা কিডনি থেকে প্রস্রাব বের করার জন্য নেফ্রোস্টোমি নামক একটি বিশেষ টিউব ব্যবহার করে অতিরিক্ত প্রস্রাব অপসারণ করতে হতে পারে। একদম শেষ পর্যায়ে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে। কিডনির স্থায়ী ক্ষতি এড়াতে চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটির সমাধান করা।
লেখক: আবাসিক চিকিৎসক নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কিডনির বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে কিছু যেমন প্রকট লক্ষণ নিয়ে হাজির হয়, তেমনি কিছু ক্ষতি করে যায় নীরবে। এর এক উদাহরণ হাইড্রোনেফ্রোসিস। হাইড্রোনেফ্রোসিস হলো, প্রস্রাব জমার কারণে কিডনি ফুলে যাওয়া বা বড় হয়ে যাওয়া। সাধারণত কিডনি থেকে প্রস্রাব তৈরি হয়ে মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রথলিতে যায়। সেখান থেকে মূত্রাশয়ের মাধ্যমে নির্গত হয়। যখন কোনো বাধা বা ব্লকের কারণে প্রস্রাব কিডনি থেকে মূত্রাশয় দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে না, তখন হাইড্রোনেফ্রোসিস হয়। এটি এক দিকের বা উভয় কিডনিতে ঘটতে পারে।
লক্ষণ
হাইড্রোনেফ্রোসিস উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে বা না-ও করতে পারে। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে:
কীভাবে হয়
হাইড্রোনেফ্রোসিস সাধারণত অন্য অন্তর্নিহিত অসুস্থতা বা ঝুঁকির কারণে সৃষ্টি হয়। যেমন:
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
চিকিৎসা
হাইড্রোনেফ্রোসিস সাধারণত অন্তর্নিহিত রোগ বা কারণের সমাধান করে চিকিৎসা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়াই সমাধান করা যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। কখনো কখনো অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
জটিল হাইড্রোনেফ্রোসিসের ক্ষেত্রে মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব নিষ্কাশনের জন্য একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করে বা কিডনি থেকে প্রস্রাব বের করার জন্য নেফ্রোস্টোমি নামক একটি বিশেষ টিউব ব্যবহার করে অতিরিক্ত প্রস্রাব অপসারণ করতে হতে পারে। একদম শেষ পর্যায়ে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে। কিডনির স্থায়ী ক্ষতি এড়াতে চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটির সমাধান করা।
লেখক: আবাসিক চিকিৎসক নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৪ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৪ ঘণ্টা আগে