নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর পাঁচটি এলাকাকে ডায়রিয়ার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব এলাকার প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী মাসে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বুধবার দেশে চলমান ডায়রিয়ার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলমান ডায়রিয়ার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। ওই এলাকায় সপ্তাহে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন, যা অন্যান্য এলাকার দ্বিগুণ। এর পরই রয়েছে মিরপুর, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দেশজুড়ে ডায়রিয়া রোগী বাড়তে থাকলেও সবাইকে কলেরার টিকা দেওয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই কলেরার ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। আমরা যা পেয়েছি, সেগুলো নাইজেরিয়া থেকে কিছু অংশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের দিয়েছে। সরবরাহ বাড়লে ঢাকার বাইরেও দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশসহ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার ৪৭টি দেশে কলেরা দেখা যায়। বিশ্বে প্রতিবছর ১ থেকে ৪ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। আর বাংলাদেশসহ আটটি দেশে কলেরার শিকার হয় লাখের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে শীত, বর্ষা ও গরমের সময় কলেরার প্রকোপ বাড়ে। সে অনুযায়ী এপ্রিলের শুরুতে বাড়তে থাকে। তবে এবার হয়েছে ব্যতিক্রম। নির্ধারিত সময়ের আগে গরম আর রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় নিরাপদ পানির অভাবে মার্চেই প্রকোপ শুরু হয়। গত বছরের মার্চেও ডায়রিয়া রোগী দৈনিক ৬০০ থাকলেও এবার সেটি দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।
চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ২০০ রোগী আসছে কেবল ডায়রিয়ার প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে।
এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়া ও কলেরায় ভুগে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তাদের কাছে চারজনের তথ্য রয়েছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি যেসব মৃত্যুর কথা বলেছে, সেগুলো আমাদের দিলে আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে সেসব তথ্য পাইনি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় অনেক উন্নতি করেছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। আমরা সবাই জানি, পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খেতে হবে। আক্রান্তরা যদি স্যালাইন খাওয়া ও স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারে, তাহলে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে হয় না।
এ সময় অধিদপ্তরের আরেক মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে নিরাপদ পানির সবচেয়ে বেশি সংকট। সাপ্লাইয়ের পানি যত দিন ঠিক না হবে, পানির উৎস নিরাপদ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। তাই এসব এলাকার মানুষকে ব্যক্তি স্বাস্থ্যসচেতনতা ও সতর্কতা বাড়াতে হবে।
যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর পাঁচটি এলাকাকে ডায়রিয়ার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব এলাকার প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী মাসে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বুধবার দেশে চলমান ডায়রিয়ার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলমান ডায়রিয়ার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। ওই এলাকায় সপ্তাহে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন, যা অন্যান্য এলাকার দ্বিগুণ। এর পরই রয়েছে মিরপুর, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দেশজুড়ে ডায়রিয়া রোগী বাড়তে থাকলেও সবাইকে কলেরার টিকা দেওয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই কলেরার ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। আমরা যা পেয়েছি, সেগুলো নাইজেরিয়া থেকে কিছু অংশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের দিয়েছে। সরবরাহ বাড়লে ঢাকার বাইরেও দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশসহ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার ৪৭টি দেশে কলেরা দেখা যায়। বিশ্বে প্রতিবছর ১ থেকে ৪ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। আর বাংলাদেশসহ আটটি দেশে কলেরার শিকার হয় লাখের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে শীত, বর্ষা ও গরমের সময় কলেরার প্রকোপ বাড়ে। সে অনুযায়ী এপ্রিলের শুরুতে বাড়তে থাকে। তবে এবার হয়েছে ব্যতিক্রম। নির্ধারিত সময়ের আগে গরম আর রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় নিরাপদ পানির অভাবে মার্চেই প্রকোপ শুরু হয়। গত বছরের মার্চেও ডায়রিয়া রোগী দৈনিক ৬০০ থাকলেও এবার সেটি দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।
চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ২০০ রোগী আসছে কেবল ডায়রিয়ার প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে।
এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়া ও কলেরায় ভুগে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তাদের কাছে চারজনের তথ্য রয়েছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি যেসব মৃত্যুর কথা বলেছে, সেগুলো আমাদের দিলে আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে সেসব তথ্য পাইনি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় অনেক উন্নতি করেছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। আমরা সবাই জানি, পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খেতে হবে। আক্রান্তরা যদি স্যালাইন খাওয়া ও স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারে, তাহলে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে হয় না।
এ সময় অধিদপ্তরের আরেক মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে নিরাপদ পানির সবচেয়ে বেশি সংকট। সাপ্লাইয়ের পানি যত দিন ঠিক না হবে, পানির উৎস নিরাপদ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। তাই এসব এলাকার মানুষকে ব্যক্তি স্বাস্থ্যসচেতনতা ও সতর্কতা বাড়াতে হবে।
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৫ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৫ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৫ ঘণ্টা আগে