শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে

ডা. তাহমিদা খানম
Thumbnail image

প্রকৃতিতে বাজছে শীতের আগমনী ধ্বনি। দিনে গরম আর রাতের শেষ প্রহরে ঠান্ডার প্রভাব জানিয়ে দিচ্ছে শীত এল বলে। ঋতুচক্রের এই পালাবদলে তাই বিভিন্ন ধরনের অসুখের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশির পাশাপাশি মূলত ফ্লু এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা প্রকট হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই অ্যালার্জির কারণ হতে পারে জীবনযাত্রা। তাই বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জির কারণ ও লক্ষণ জানা এবং সেই অনুসারে প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।

যেহেতু শীতকালে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে, তাই এ সময় বাতাসে শুষ্কতা বেশি থাকে। ফলে প্রকৃতিতে ধুলাবালি ও বাতাসে বৃদ্ধি পায় রোগ-জীবাণুর সংখ্যা। এসব পরিবর্তনের কারণে অনেকের শরীরে অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির চর্চা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে বায়ুদূষণজনিত এবং মানুষ থেকে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।

পশুপাখি পালন এবং এদের সঙ্গে সময় কাটানো একটি বহুল চর্চিত শখ। কিন্তু পশুর লোম, পাখির পালক ও বিষ্ঠা থেকে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাই বাড়তি সচেতনতা কাম্য। ফুলের রেণু, পরাগ ইত্যাদি বাতাসে মিশে থাকে। অ্যালার্জিক মানুষেরা মোটামুটি সারা বছরই এ সমস্যায় কমবেশি ভুগলেও শীতকালে একটু বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও মাস্কের নিয়মিত ব্যবহার উপকার দেবে।

আমাদের দেশে মোটামুটি নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি—এই তিন মাসে বেশ শীত পড়ে। তাই শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

»    ব্যক্তিগত জীবনযাপনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মাস্ক ব্যবহার করা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস করতে হবে। 

»    পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, স্ট্রবেরি, জাম্বুরা, কাঁচা মরিচ, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ও তাজা শাকসবজি নিয়মিত খেতে হবে।
»    নিয়মিত সাইকেল চালানো, হাঁটা, যোগব্যায়ামের মতো শরীরচর্চা করতে হবে।

সচেতনতা সত্ত্বেও আমরা আক্রান্ত হতে পারি। সে ক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ, নাকের স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সচেতনতা আর সুষ্ঠু জীবনাচরণ শীতকালে আপনাকে রাখবে সুস্থ।

ডা. তাহমিদা খানম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, খুলনা মেডিকেল কলেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত