ডা. মাজহারুল হক তানিম
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যেখানে শর্করাজাতীয় খাবার বিপাকের জন্য শরীরে যতটুকু ইনসুলিন প্রয়োজন হয়, ততটুকু থাকে না। আপনারা জেনে থাকবেন, ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়—টাইপ-১ ও টাইপ-২। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ইনসুলিন একেবারেই থাকে না। তাই রোগ ধরা পড়ার সময় থেকেই ইনসুলিন নিতে হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন থাকে, কিন্তু ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের জন্য সেটি কাজ করতে পারে না। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগে শর্করাজাতীয় খাবারের বিপাকে সমস্যা হয়, তাই আমরা চিকিৎসকেরা এ ধরনের খাবার, যেমন চিনি, মিষ্টি, ভাত, মিষ্টি ফল, মধু ইত্যাদি পরিমাণমতো খেতে বলি।
মধু ও মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে কি নামধু ও মিষ্টি ফল সহজেই রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। তাই মধু ও মিষ্টি ফল না খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবার যেমন হবে
ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবারে সব উপাদান পরিমাণমতো থাকতে হবে। তাঁরা অল্প অল্প করে বারবার খাবেন। এখানে শস্যদানা, ফল, আমিষ, চর্বি, শর্করা সব পরিমাণমতো থাকতে হবে। চিনি, মিষ্টি, মধু—এগুলো সহজেই রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। এগুলোকে বলে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। এগুলো এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে।
অন্যদিকে শস্যদানা, সবজি, আঁশযুক্ত ফল থেকে যে শর্করা আসে, তা ধীরে ধীরে রক্তে মিশতে থাকে বলে দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায় না। এ ধরনের খাবারকে বলে জটিল শর্করা। তাই লাল আখ, চিড়া, ভুট্টা, শাকসবজি বেশি খেতে বলা হয়। এগুলো ধীরে ধীরে
ব্লাড সুগার বাড়ায়।
যেসব সবজি খেতে পারেন
সব ধরনের শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা টমেটো, শসা, শিম, করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, শজনে, পানিকুমড়া, কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
মিষ্টি ফল খেতে পারবেন কি না
মিষ্টি ফল, যেমন আম, কাঁঠাল, মাল্টা, আঙুর, কমলা দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের এগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়। খেলেও কম পরিমাণে, যেমন ১ বা ২ পিস খেতে বলা হয়। অন্যদিকে সবুজ আপেল, নাশপাতি, বরই—এগুলো ধীরে ধীরে রক্তে মেশে, তাই ব্লাড সুগার ধীরে বাড়ে। সে জন্য এগুলো খাওয়া যাবে।
হার্টের জন্য ভালো মাছ
ডায়াবেটিসের রোগীরা মাছ খেতে পারেন। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
যা বর্জন করতে হবে
ডায়াবেটিসের রোগীরা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাবার হার্ট ব্লক করতে পারে এবং এগুলো স্ট্রোকের জন্য দায়ী। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। গরু ও খাসির মাংস, ফাস্ট ফুড, শিঙাড়া, সমুচা—এগুলোতে ট্রান্সফ্যাট, মানে খারাপ কোলেস্টেরল থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা, যেমন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক, কিডনি রোগ ও হাত-পা জ্বালা-পোড়া করা থেকে বাঁচাতে পারে। তাই সুষম খাবারের প্রতি নজর দিন।
ডা. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ,ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যেখানে শর্করাজাতীয় খাবার বিপাকের জন্য শরীরে যতটুকু ইনসুলিন প্রয়োজন হয়, ততটুকু থাকে না। আপনারা জেনে থাকবেন, ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়—টাইপ-১ ও টাইপ-২। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ইনসুলিন একেবারেই থাকে না। তাই রোগ ধরা পড়ার সময় থেকেই ইনসুলিন নিতে হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন থাকে, কিন্তু ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের জন্য সেটি কাজ করতে পারে না। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগে শর্করাজাতীয় খাবারের বিপাকে সমস্যা হয়, তাই আমরা চিকিৎসকেরা এ ধরনের খাবার, যেমন চিনি, মিষ্টি, ভাত, মিষ্টি ফল, মধু ইত্যাদি পরিমাণমতো খেতে বলি।
মধু ও মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে কি নামধু ও মিষ্টি ফল সহজেই রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। তাই মধু ও মিষ্টি ফল না খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবার যেমন হবে
ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবারে সব উপাদান পরিমাণমতো থাকতে হবে। তাঁরা অল্প অল্প করে বারবার খাবেন। এখানে শস্যদানা, ফল, আমিষ, চর্বি, শর্করা সব পরিমাণমতো থাকতে হবে। চিনি, মিষ্টি, মধু—এগুলো সহজেই রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। এগুলোকে বলে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। এগুলো এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে।
অন্যদিকে শস্যদানা, সবজি, আঁশযুক্ত ফল থেকে যে শর্করা আসে, তা ধীরে ধীরে রক্তে মিশতে থাকে বলে দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায় না। এ ধরনের খাবারকে বলে জটিল শর্করা। তাই লাল আখ, চিড়া, ভুট্টা, শাকসবজি বেশি খেতে বলা হয়। এগুলো ধীরে ধীরে
ব্লাড সুগার বাড়ায়।
যেসব সবজি খেতে পারেন
সব ধরনের শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা টমেটো, শসা, শিম, করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, শজনে, পানিকুমড়া, কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
মিষ্টি ফল খেতে পারবেন কি না
মিষ্টি ফল, যেমন আম, কাঁঠাল, মাল্টা, আঙুর, কমলা দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের এগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়। খেলেও কম পরিমাণে, যেমন ১ বা ২ পিস খেতে বলা হয়। অন্যদিকে সবুজ আপেল, নাশপাতি, বরই—এগুলো ধীরে ধীরে রক্তে মেশে, তাই ব্লাড সুগার ধীরে বাড়ে। সে জন্য এগুলো খাওয়া যাবে।
হার্টের জন্য ভালো মাছ
ডায়াবেটিসের রোগীরা মাছ খেতে পারেন। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
যা বর্জন করতে হবে
ডায়াবেটিসের রোগীরা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাবার হার্ট ব্লক করতে পারে এবং এগুলো স্ট্রোকের জন্য দায়ী। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। গরু ও খাসির মাংস, ফাস্ট ফুড, শিঙাড়া, সমুচা—এগুলোতে ট্রান্সফ্যাট, মানে খারাপ কোলেস্টেরল থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা, যেমন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক, কিডনি রোগ ও হাত-পা জ্বালা-পোড়া করা থেকে বাঁচাতে পারে। তাই সুষম খাবারের প্রতি নজর দিন।
ডা. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ,ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৮ ঘণ্টা আগে