অনলাইন ডেস্ক
কলেরার জীবাণুর মিউটেশন (পরিব্যক্তি) ঘটছে। এমন একটি বিশেষ জিন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যেটির কারণে কলেরা দিন দিন আরও গুরুতর এবং দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটানোর সক্ষমতা অর্জন করছে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই আবিষ্কার তুলে ধরা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এই আবিষ্কার গবেষকদের কলেরা ব্যাকটেরিয়াকে মারাত্মক অসুস্থতা সৃষ্টি করা থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া এমনভাবে বিকশিত হচ্ছে যা কলেরাকে আরও গুরুতর এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তুলছে। গবেষকেরা বাংলাদেশের ছয়টি অঞ্চলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেরা রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়ার নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন। এই উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তাঁরা ২০২২ সালের বিধ্বংসী প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেনের (ধরন) অনন্য জিন এবং মিউটেশনের একটি সেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই জিনগুলো ব্যাকটেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, তীব্র পেটব্যথা, বমি, পানিশূন্যতা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটানোর সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত।
গবেষকেরা বলছেন, এর মধ্যে কিছু জিন ব্যাকটেরিয়াকে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে এবং মানুষের অন্ত্রে টিকে থাকতে সাহায্য করে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জিন ব্যাকটেরিয়াকে পরিবেশগত চাপের জন্য স্থিতিস্থাপক এবং রোগ সৃষ্টিতে আরও দক্ষ করে তোলে।
এই গবেষণার প্রধান যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তানিয়া ডটোরিনি এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরার সংক্রমণ এবং তীব্রতা উভয়কেই চালিত করে এমন মূল জেনেটিক কারণগুলো শনাক্ত করে আমরা আরও কার্যকর চিকিৎসা এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছি। আমাদের অনুসন্ধান কলেরা গবেষণার একটি নতুন যুগের দরজা খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারি এবং সম্ভাব্য গুরুতর প্রাদুর্ভাব ঘটার আগেই প্রতিরোধ করতে পারি।
উল্লেখ্য, কলেরা একটি তীব্র ডায়রিয়াজনিত রোগ। বিশ্বব্যাপী ১৩০ কোটি মানুষ এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে অনুমান করা হয় এবং বছরে প্রায় ১৩ লাখ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন, এর মধ্যে ২১ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার জনের মৃত্যু হয়।
শুধু বাংলাদেশেই আনুমানিক ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর কমপক্ষে ১ লাখ আক্রান্ত হন এবং ৪ হাজার ৫০০ জন মারা যান।
বিশ্বব্যাপী ব্যাকটেরিয়ার ও১ সেরোগ্রুপ কলেরার প্রাথমিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত। ও১ সেরোগ্রুপটি প্রধান সেরোটাইপ ওগাওয়া এবং ইনাবা দুই ভাগে বিভক্ত। এদের আবার দুটি বায়োটাইপ রয়েছে—ক্ল্যাসিক্যাল এবং এল টর (৭ম মহামারির জন্য দায়ী), যা আবার জিনগত ভাবে এবং গঠনগতভাবে স্বতন্ত্র।
বাংলাদেশে কলেরা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ভিব্রিও কলেরি। এই ব্যাকটেরিয়া সময়ের সঙ্গে জিনগত এবং গঠনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অসাধারণ সক্ষমতা দেখিয়েছে। ফলে এটি মহামারির ধারাবাহিক তরঙ্গের জন্ম দিয়েছে। এই রূপগুলো বর্ধিত ক্ষতি, সংক্রমণ সক্ষমতা, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিস্তারের সক্ষমতা দেখায়।
কলেরার জীবাণুর মিউটেশন (পরিব্যক্তি) ঘটছে। এমন একটি বিশেষ জিন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যেটির কারণে কলেরা দিন দিন আরও গুরুতর এবং দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটানোর সক্ষমতা অর্জন করছে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই আবিষ্কার তুলে ধরা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এই আবিষ্কার গবেষকদের কলেরা ব্যাকটেরিয়াকে মারাত্মক অসুস্থতা সৃষ্টি করা থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া এমনভাবে বিকশিত হচ্ছে যা কলেরাকে আরও গুরুতর এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তুলছে। গবেষকেরা বাংলাদেশের ছয়টি অঞ্চলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেরা রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়ার নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন। এই উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তাঁরা ২০২২ সালের বিধ্বংসী প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেনের (ধরন) অনন্য জিন এবং মিউটেশনের একটি সেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই জিনগুলো ব্যাকটেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, তীব্র পেটব্যথা, বমি, পানিশূন্যতা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটানোর সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত।
গবেষকেরা বলছেন, এর মধ্যে কিছু জিন ব্যাকটেরিয়াকে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে এবং মানুষের অন্ত্রে টিকে থাকতে সাহায্য করে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জিন ব্যাকটেরিয়াকে পরিবেশগত চাপের জন্য স্থিতিস্থাপক এবং রোগ সৃষ্টিতে আরও দক্ষ করে তোলে।
এই গবেষণার প্রধান যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তানিয়া ডটোরিনি এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরার সংক্রমণ এবং তীব্রতা উভয়কেই চালিত করে এমন মূল জেনেটিক কারণগুলো শনাক্ত করে আমরা আরও কার্যকর চিকিৎসা এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছি। আমাদের অনুসন্ধান কলেরা গবেষণার একটি নতুন যুগের দরজা খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারি এবং সম্ভাব্য গুরুতর প্রাদুর্ভাব ঘটার আগেই প্রতিরোধ করতে পারি।
উল্লেখ্য, কলেরা একটি তীব্র ডায়রিয়াজনিত রোগ। বিশ্বব্যাপী ১৩০ কোটি মানুষ এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে অনুমান করা হয় এবং বছরে প্রায় ১৩ লাখ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন, এর মধ্যে ২১ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার জনের মৃত্যু হয়।
শুধু বাংলাদেশেই আনুমানিক ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কলেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর কমপক্ষে ১ লাখ আক্রান্ত হন এবং ৪ হাজার ৫০০ জন মারা যান।
বিশ্বব্যাপী ব্যাকটেরিয়ার ও১ সেরোগ্রুপ কলেরার প্রাথমিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত। ও১ সেরোগ্রুপটি প্রধান সেরোটাইপ ওগাওয়া এবং ইনাবা দুই ভাগে বিভক্ত। এদের আবার দুটি বায়োটাইপ রয়েছে—ক্ল্যাসিক্যাল এবং এল টর (৭ম মহামারির জন্য দায়ী), যা আবার জিনগত ভাবে এবং গঠনগতভাবে স্বতন্ত্র।
বাংলাদেশে কলেরা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ভিব্রিও কলেরি। এই ব্যাকটেরিয়া সময়ের সঙ্গে জিনগত এবং গঠনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অসাধারণ সক্ষমতা দেখিয়েছে। ফলে এটি মহামারির ধারাবাহিক তরঙ্গের জন্ম দিয়েছে। এই রূপগুলো বর্ধিত ক্ষতি, সংক্রমণ সক্ষমতা, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিস্তারের সক্ষমতা দেখায়।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে