বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, সিরিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে একক কর্তৃত্বের যুগ শেষ হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে হবে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা বাস্তবতায় একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে না। এক আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য ছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো সাধারণ লক্ষ্য নেই।
আর এ কারণেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি সীমান্তে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষগুলোর সঙ্গে মৌলিক চুক্তি করার চেষ্টা করতে হবে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ও সশস্ত্রবাহিনী সিরিয়া সীমান্তে এবং তার বাইরের বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আল-আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইরানের। কারণ, সিরিয়া ইরানের অন্যতম মূল্যবান মিত্র ছিল। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরান সরকার সিরিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। তবে আল-আসাদের পতনের পর ইরানিরা বুঝে গেছে যে, আইডিএফের পক্ষ থেকে হিজবুল্লাহকে দেওয়া মারাত্মক আঘাত এবং আসাদ সরকারের পতনের পর তাদের যা অবশিষ্ট আছে সেটি হলো তাদের পারমাণবিক প্রকল্প।
তাদের সামনে শিগগিরই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে—পারমাণবিক প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তি করে চার বছরের জন্য স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা পাওয়া।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর এখন তার ভবিষ্যৎ গতিপথের হিসাব পুনরায় কষছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননে অস্ত্র মজুত রক্ষা করার চেষ্টা করছে। হিজবুল্লাহর অন্যতম সমর্থক সিরিয়ায় আল-আসাদের পতনের ফলে তাদের সামরিক ও অন্যান্য বস্তুগত সহায়তা তুলনামূলক বন্ধ হয়ে যাবে।
জর্ডানের বাদশায় দ্বিতীয় আবদুল্লাহ নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সিরিয়ার ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রেখেছেন। তিনি তাঁর গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন যে, এই বিদ্রোহের আগুন যেকোনো সময় জর্ডানে প্রবেশ করতে পারে। আল-আসাদ সরকারের পতন বাদশাহ আবদুল্লাহকে তাঁর নিজ দেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রাখতে বাধ্য করবে। কারণ, এখানে অনেক অভ্যন্তরীণ শক্তি রয়েছে যারা অঞ্চলের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ব্যবহার করে জর্ডানের রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে। ইসরায়েলও জর্ডানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তার দীর্ঘতম এবং তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল সীমান্ত দেশটির সঙ্গেই। জর্ডান সীমান্তে বড় ধরনের নিরাপত্তা পরিবর্তন ইসরায়েলি বাহিনীর কৌশলে আনতে বাধ্য করতে পারে।
সিরিয়ায় সরকারের পতন সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপন্থী সুন্নি অক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। এই পর্যায়ে, সৌদি আরব প্রকৃতপক্ষে কোনো অবস্থান নেওয়ার বা ‘অশুভ অক্ষ’ ভাঙার জন্য প্রভাব বিস্তার করার পরিস্থিতিতে নেই। বিদ্রোহীরা গতি অর্জন করতে পারে এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সিরিয়ার বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন সেনাবাহিনী জর্ডান, সিরিয়া এবং ইরাকের ত্রি-দেশীয় সীমান্ত এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা উপস্থিতি বজায় রেখেছে। অতীতেও, আসাদ সরকারের পতনের আগে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কারণ বর্তমান পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে, এমন একটি প্রত্যাহার দুর্বলতার চিহ্ন হিসেবে ধরা হবে এবং জর্ডানকে আরও বেশি আক্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে। এই পর্যায়ে, সিরিয়া এবং অঞ্চলের প্রতি মার্কিন নীতি অস্পষ্ট, কারণ হোয়াইট হাউস বর্তমানে দ্বিধাগ্রস্ত।
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, সিরিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে একক কর্তৃত্বের যুগ শেষ হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে হবে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা বাস্তবতায় একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে না। এক আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য ছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো সাধারণ লক্ষ্য নেই।
আর এ কারণেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি সীমান্তে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষগুলোর সঙ্গে মৌলিক চুক্তি করার চেষ্টা করতে হবে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ও সশস্ত্রবাহিনী সিরিয়া সীমান্তে এবং তার বাইরের বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আল-আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইরানের। কারণ, সিরিয়া ইরানের অন্যতম মূল্যবান মিত্র ছিল। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরান সরকার সিরিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। তবে আল-আসাদের পতনের পর ইরানিরা বুঝে গেছে যে, আইডিএফের পক্ষ থেকে হিজবুল্লাহকে দেওয়া মারাত্মক আঘাত এবং আসাদ সরকারের পতনের পর তাদের যা অবশিষ্ট আছে সেটি হলো তাদের পারমাণবিক প্রকল্প।
তাদের সামনে শিগগিরই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে—পারমাণবিক প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তি করে চার বছরের জন্য স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা পাওয়া।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর এখন তার ভবিষ্যৎ গতিপথের হিসাব পুনরায় কষছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননে অস্ত্র মজুত রক্ষা করার চেষ্টা করছে। হিজবুল্লাহর অন্যতম সমর্থক সিরিয়ায় আল-আসাদের পতনের ফলে তাদের সামরিক ও অন্যান্য বস্তুগত সহায়তা তুলনামূলক বন্ধ হয়ে যাবে।
জর্ডানের বাদশায় দ্বিতীয় আবদুল্লাহ নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সিরিয়ার ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রেখেছেন। তিনি তাঁর গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন যে, এই বিদ্রোহের আগুন যেকোনো সময় জর্ডানে প্রবেশ করতে পারে। আল-আসাদ সরকারের পতন বাদশাহ আবদুল্লাহকে তাঁর নিজ দেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রাখতে বাধ্য করবে। কারণ, এখানে অনেক অভ্যন্তরীণ শক্তি রয়েছে যারা অঞ্চলের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ব্যবহার করে জর্ডানের রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে। ইসরায়েলও জর্ডানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তার দীর্ঘতম এবং তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল সীমান্ত দেশটির সঙ্গেই। জর্ডান সীমান্তে বড় ধরনের নিরাপত্তা পরিবর্তন ইসরায়েলি বাহিনীর কৌশলে আনতে বাধ্য করতে পারে।
সিরিয়ায় সরকারের পতন সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপন্থী সুন্নি অক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। এই পর্যায়ে, সৌদি আরব প্রকৃতপক্ষে কোনো অবস্থান নেওয়ার বা ‘অশুভ অক্ষ’ ভাঙার জন্য প্রভাব বিস্তার করার পরিস্থিতিতে নেই। বিদ্রোহীরা গতি অর্জন করতে পারে এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সিরিয়ার বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন সেনাবাহিনী জর্ডান, সিরিয়া এবং ইরাকের ত্রি-দেশীয় সীমান্ত এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা উপস্থিতি বজায় রেখেছে। অতীতেও, আসাদ সরকারের পতনের আগে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কারণ বর্তমান পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে, এমন একটি প্রত্যাহার দুর্বলতার চিহ্ন হিসেবে ধরা হবে এবং জর্ডানকে আরও বেশি আক্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে। এই পর্যায়ে, সিরিয়া এবং অঞ্চলের প্রতি মার্কিন নীতি অস্পষ্ট, কারণ হোয়াইট হাউস বর্তমানে দ্বিধাগ্রস্ত।
দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী মেট্রোস্টেশনের কাছে থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ট্রান্সজেন্ডার এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে দীর্ঘদিন ধরে নাম পাল্টে সেখানে বসবাস করছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেঅভিনয় থেকে রাজনীতিতে পা রাখা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনৌত তাঁর একের পর এক মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অটল শ্রদ্ধা প্রকাশ করে চলেছেন। আজ বুধবার এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, ‘চাঁদেরও কলঙ্ক আছে, কিন্তু মোদিজির কোনো কলঙ্ক নেই।’
৮ ঘণ্টা আগেএসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল ছিল ভিয়েতনাম। দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ আসে মার্কিন রপ্তানি থেকে। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধির গল্প এখন ওয়াশিংটনের শাস্তিমূলক শুল্কের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
১৫ ঘণ্টা আগে