অনলাইন ডেস্ক
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এই কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তবে ট্রাম্পের হুমকির পরও তাঁর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনা’ করতে চান। তাঁর মতে, এটি ‘দ্রুততর’ হবে এবং মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে যাওয়ার চেয়ে সরাসরি আলোচনা বেশি ফলপ্রসূ হবে। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যে দেশ জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে ক্রমাগত বলপ্রয়োগের হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে, তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কোনো মানে হয় না। তিনি জানান, ‘আমরা কূটনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরোক্ষ আলোচনার পথে এগোতে প্রস্তুত।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরাগচি বলেন, ‘ইরান সব সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। কূটনীতি ও আলোচনায় যেমন গুরুত্বের সঙ্গে অংশ নেয়, তেমনি জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান দৃঢ় থাকবে।’ এর আগে গত শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সমান পদক্ষেপে’ আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক। তিনি ওয়াশিংটনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আলোচনা চাইলে, আলোচনা হবে; কিন্তু হুমকি দেওয়ার মানে কী?’
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক অস্থিতিশীল। যদিও ওমানের মতো কিছু আঞ্চলিক দেশ উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে, তবে আজ পর্যন্ত তাদের চেষ্টা খুব একটা ভালো ফল বয়ে আনেনি।
ট্রাম্পের চিঠিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ইরানে পৌঁছানো হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মার্চের শেষে ইরান ওমানের মাধ্যমে এই চিঠির জবাব দেয়। রোববার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেন, তাদের জবাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের অঞ্চলে শান্তি চাই। আমরা এখনো যুদ্ধ শুরু করিনি, করতে চাই না। কিন্তু যেকোনো হুমকির জবাব আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়েই দেব।’
পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দশকের পর দশক ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে। ইরান এই অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যে। ২০১৫ সালে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করে।
‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ নামে পরিচিত এ চুক্তি ইরানকে তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এক বছর পর ইরান চুক্তির শর্ত থেকে সরে এসে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্বরান্বিত করে।
গত সোমবার খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলী লারিজানি সতর্ক করে বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র চায় না। তবে ইরান আক্রান্ত হলে ‘এটি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এই কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তবে ট্রাম্পের হুমকির পরও তাঁর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনা’ করতে চান। তাঁর মতে, এটি ‘দ্রুততর’ হবে এবং মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে যাওয়ার চেয়ে সরাসরি আলোচনা বেশি ফলপ্রসূ হবে। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যে দেশ জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে ক্রমাগত বলপ্রয়োগের হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে, তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কোনো মানে হয় না। তিনি জানান, ‘আমরা কূটনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরোক্ষ আলোচনার পথে এগোতে প্রস্তুত।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরাগচি বলেন, ‘ইরান সব সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। কূটনীতি ও আলোচনায় যেমন গুরুত্বের সঙ্গে অংশ নেয়, তেমনি জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান দৃঢ় থাকবে।’ এর আগে গত শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সমান পদক্ষেপে’ আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক। তিনি ওয়াশিংটনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আলোচনা চাইলে, আলোচনা হবে; কিন্তু হুমকি দেওয়ার মানে কী?’
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক অস্থিতিশীল। যদিও ওমানের মতো কিছু আঞ্চলিক দেশ উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে, তবে আজ পর্যন্ত তাদের চেষ্টা খুব একটা ভালো ফল বয়ে আনেনি।
ট্রাম্পের চিঠিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ইরানে পৌঁছানো হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মার্চের শেষে ইরান ওমানের মাধ্যমে এই চিঠির জবাব দেয়। রোববার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেন, তাদের জবাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের অঞ্চলে শান্তি চাই। আমরা এখনো যুদ্ধ শুরু করিনি, করতে চাই না। কিন্তু যেকোনো হুমকির জবাব আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়েই দেব।’
পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দশকের পর দশক ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে। ইরান এই অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যে। ২০১৫ সালে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করে।
‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ নামে পরিচিত এ চুক্তি ইরানকে তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এক বছর পর ইরান চুক্তির শর্ত থেকে সরে এসে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্বরান্বিত করে।
গত সোমবার খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলী লারিজানি সতর্ক করে বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র চায় না। তবে ইরান আক্রান্ত হলে ‘এটি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
দেড় বছরের আগ্রাসনে ৫১ হাজার মানুষকে হত্যার পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসসহ অঞ্চলটির প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকেও নিরস্ত্র করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে হামাস।
৩ ঘণ্টা আগেওবেসিটি বা স্থূলতা প্রতিরোধে ট্যাবলেট-জাতীয় ওষুধ দানুগ্লিপ্রন-এর উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় এক রোগীর মধ্যে ওই ওষুধের কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে—এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফাইজার এই সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই রোগী ওষুধটি
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশটির সামরিক চৌকি এবং এবড়োখেবড়ো কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের শেষ প্রান্তে জেগে উঠেছে একটি আগ্নেয়গিরি এবং একটি গভীরতম হ্রদ। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মাউন্ট পাইকতু হলো কোরীয় উপদ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। শুধু তাই নয়, যে উপাখ্যানের...
৫ ঘণ্টা আগেএবার গ্রীষ্মের শুরুতেই ভারত ও পাকিস্তানে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। এতে দেশ দুটির কোটি কোটি মানুষ এক ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাপন। ভারত, পাকিস্তান, গরম, তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা, জলবায়ু
৬ ঘণ্টা আগে