বিদ্রোহীদের কাছে ঘাঁটির দখল ও ৬২ সেনা হারাল মিয়ানমার জান্তা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৫
Thumbnail image

মিয়ানমারে দেশজুড়ে চলমান সহিংসতায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইএও) জান্তা শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। এতে গত তিন দিনে জান্তা বাহিনী আরও বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি এবং ৬২ জন সৈন্য হারিয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনাগুলো সাগাইং, ম্যাগওয়ে, মান্দালয়, কাচিন ও কারেন রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে। মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী পিডিএফ এবং ইএওয়ের হামলার খবর জানিয়েছে। আরও কিছু হতাহতের খবর তাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা জানান, গত বছর এসব অঞ্চলের কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছিল পিডিএফ এবং ইএও জোট। এলাকাগুলো আবারও দখলের জন্য জানুয়ারির শেষ দিকে অভিযান শুরু করেছিল জান্তা বাহিনী।

সবচেয়ে বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন মান্দালয় জেলার সান পিয়া এবং কারেন প্রদেশের থান্ডুয়াঙ্গি শহরে। পিডিএফের তথ্যমতে, এ দুই এলাকায় জান্তা-বিদ্রোহী সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন সেনাসদস্য।

পিডিএফ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ঘাঁটি থেকে ১৫ জন জান্তা সেনার মরদেহ খুঁজে পেয়েছে। সংঘর্ষের সময় শাসক বাহিনীর আরও ৪০ জন সেনা আহত হয়েছেন বলে জানায় পিডিএফ।

গত শনিবার সাগাইং অঞ্চলের হোমালিন টাউনশিপের শোয়ে পাই আয়ে শহর পুনরুদ্ধার করার মিশন ত্যাগ করেছে মিয়ানমার জান্তা। হোমালিনে পিডিএফ বাহিনী বলেছে, ১০ দিন ধরে শহরটির দখল সফলভাবে ধরে রেখেছিল তারা।

গত ২৬ জানুয়ারি থেকে প্রায় জান্তা এবং জান্তা-সমর্থিত শান্নি ন্যাশনালিটিস আর্মির (এসএনএ) প্রায় ৪০০ সেনা শহরটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে আসছিল। পিডিএফ বাহিনী গত বছরের ২২ নভেম্বর শহরটি দখল করেছিল।

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে। তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহ-আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। জান্তা বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো শুরু করলে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।

সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে।

এই অ্যালায়েন্স পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গেও জোট করে কাচিন রাজ্য ও সাগাইং অঞ্চলে জান্তার সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত