নেপালে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৯ 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৫৭
Thumbnail image

নেপালে ভারী বর্ষণজনিত সাম্প্রতিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ২৯ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুসংলগ্ন এলাকাগুলোতে গতকাল বৃষ্টির মধ্যেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হয়। তবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বিভিন্ন নদীর কাছাকাছি অবস্থিত হাজার হাজার বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বেশির ভাগ মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ঘরবাড়ির ছাদে আটকা পড়েছে অনেকে। তাদের উদ্ধার প্রসঙ্গে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঋষি রাম তিওয়ারি বলেছেন, ‘আমরা যারা অসুস্থ বা এখনো নিরাপদে আনা দরকার, তাদের জন্য বিমান উদ্ধার জোরদার করেছি।’ 

কাঠমান্ডুর পূর্বে ভক্তপুরে ভূমিধসে একটি ভবন বিধ্বস্ত হলে সন্তানসম্ভবা এক নারী, তাঁর চার বছরের কন্যাশিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। রাজধানী শহরের পশ্চিমে অবস্থিত ঢাদিং নামের একটি এলাকায় ভূমিধসে চাপা পড়া একটি বাস থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটিতে চালকসহ ১২ জন ছিল বলে জানা গেছে। 

মাকওয়ানপুর এলাকায় অল নেপাল ফুটবল ফেডারেশন পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ছয় খেলোয়াড় ভূমিধসে নিহত হয়েছেন। সেখানে বানের পানিতে ভেসে গেছে আরও কয়েকজন। বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টারত চারজন দক্ষিণ কাঠমান্ডুর নাকখু নদীর পানির তোড়ে ভেসে যান। জিতেন্দ্র ভান্ডারি নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন তাঁরা। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারিনি।’ 

হারি ওম মালা নামের একজন নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারলেও তাঁর ট্রাকটি হারিয়ে ফেলেছেন। কাঠমান্ডুতে পানিতে ডুবে যায় ট্রাকটি। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কেবিনে পানি ঢুকে পড়ে। আমরা লাফ দিয়ে বেরিয়ে পড়ি। পরে কোনোমতে সাঁতার কেটে সেখান থেকে সরে আসি। কিন্তু আমার মানিব্যাগ, ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নদীতে ভেসে গেছে। আমার কাছে এখন কিছুই নেই। গোটা রাত প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাটাতে হয়েছে আমাদের।’ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত