Ajker Patrika

আসামে ব্রহ্মপুত্রের রুদ্রমূর্তিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নিহত বেড়ে ৪৬ 

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২: ১১
আসামে ব্রহ্মপুত্রের রুদ্রমূর্তিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নিহত বেড়ে ৪৬ 

বাংলাদেশের উজানে থাকা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে চীন থেকে আসা ব্রহ্মপুত্র। আর এতে আসামের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় থাকা জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ছাড়াও রাজ্যটির অন্য সব বড় নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বন্যায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে এবং পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আরও সাড়ে ১৬ লাখ মানুষ। 

আসাম সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রসহ রাজ্যের সব বড় নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বিশেষ করে দিগারু ও কলং নদীর পানির কারণে বিপুল পরিমাণ এলাকা ডুবে গেছে। এদিকে, আসামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আসামের জেলাগুলো হলো—বারপেতা, বিশ্বনাথ, কাছাড়, চরাইদেও, চিরাং, দররাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি, হোজাই, জোড়হাট, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, পূর্ব কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং, করিমগঞ্জ ও লাকপুর। এ ছাড়া, মাজুলি, মারিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর এবং তিনসুকিয়া জেলাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এদিকে, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলসংলগ্ন আসামে বরাক নদীর পানি এপি ঘাট, বিপি ঘাট, ছোট বাকড়া ও ফুলেট্রাক পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া বরাকের উপনদী ঘারমুড়া, ধলেশ্বরী, মাটিজুরির কাটাখাল ও করিমগঞ্জ শহরের কুশিয়ারা নদীতেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

অন্যদিকে, আসামে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফার বন্যায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের প্রাণ গেছে। এ নিয়ে রাজ্যটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬। এ বিষয়ে আসামের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) মুখপাত্র বলেছেন, ‘মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দুই ধাপের বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত